Post Updated at 2 Nov, 2023 – 7:48 AM

যেসব কারণে ওজু ভেঙ্গে যায় – ওজু ভঙ্গের কারণ

  1. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া।
  2. শরীরের কোনো স্থান থেকে রক্ত পুঁজ বা পানি বেরিয়ে গড়িয়ে পড়া।
  3. মুখ ভরে বমি করা।
  4. দাঁত দিয়ে রক্ত বের হলে তা থুথুর সমান বা বেশি হওয়া।
  5. চিৎ-কাত হয়ে কিংবা কিছুতে হেলান দিয়ে ঘুমানো।
  6. বেহুঁশ অচেতন বা পাগল হয়ে যাওয়া।
  7. নামাজে শব্দ করে হাসা।

ওজু ভঙ্গ সম্পর্কিত কয়েকটি মাসআলা

মাসআলা : কোনো ক্ষতস্থান থেকে যদি রক্ত-পুঁজ ইত্যাদি বের হয়ে গড়িয়ে না পড়ে, তাহলে এতে ওজু ভাঙবে না। ক্ষতস্থান থেকে গড়িয়ে পড়লে ওজু ভাঙবে। এমনকি যদি অল্প অল্প করে বের হয় আর সঙ্গে সঙ্গে কেউ তা মুছে ফেলে, তাহলে দেখতে হবে, যদি মুছে ফেলা না হতো, তাহলে গড়িয়ে পড়ত কি না। যদি গড়িয়ে পড়ার পরিমাণ রক্ত-পুঁজ ইত্যাদি বের হয় তাহলে ওজু ভেঙে যাবে। আর যদি গড়িয়ে পড়ার পরিমাণ না হয় তাহলে ওজু ভাঙবে না।

মাসআলা : একাধিক ক্ষতস্থান থেকে যদি এগুলো বের হয় তাহলে প্রত্যেক ক্ষতস্থানের রক্ত-পুঁজ ভিন্ন ভিন্ন হিসাব করতে হবে। সবগুলো একসঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে না।

মাসআলা : রক্ত বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে তো ওজু ভেঙ্গে যায়। যদি পরীক্ষা করার জন্যে কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে  সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত বের করা হয় তাহলেও ওজু ভেঙ্গে যাবে।

মাসআলা : স্বাভাবিক কোনো ইঞ্জেকশন পুশ করলেও সামান্য রক্ত বের হয়। তবে এর পরিমাণ খুবই কম বলে তাতে ওজু ভাঙবে না। আর যদি এতটুকু রক্ত বের হয়, যা মুছে না ফেললে গড়িয়ে পড়ত, তাহলে ওজু ভেঙ্গে যাবে।

মাসআলা : মুখ ভরে বমি করার অর্থ হলো, বমির পরিমাণ এত বেশি হওয়া, যা মুখে আটকে রাখা কষ্টকর। এভাবে মুখ ভরে বমি করলে ওজু ভেঙ্গে যায়। বমি যদি মুখ ভরে না হয় তাহলে ওজু ভাঙ্গে না। যদি থেমে থেমে অল্প অল্প করে বমি হয়, তাহলে দেখতে হবে, যতটুকু বমি হয়েছে তা যদি একসঙ্গে হতো তাহলে তা মুখ ভরে হতো কি না। যদি মুখ ভরে হওয়ার মতো হয় তাহলে ওজু ভেঙ্গে যাবে, অন্যথায় ভাঙবে না।

মাসআলা : দাঁতের মাড়ি থেকে যদি রক্ত বের হয় তাহলে দেখতে হবে, তা কমপক্ষে থুথুর সমান হয় কি না। থুথুর সমান বা বেশি হলে ওজু ভেঙ্গে যাবে। এর চেয়ে কম হলে ওজু ভাঙবে না।

মাসআলা : শুয়ে বা কোনো কিছুতে হেলান দিয়ে ঘুমালে ওজু ভেঙে যায়। হেলান না দিয়ে কেউ যদি সোজা বসে বসে কিংবা দাঁড়ানো অবস্থায় তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে তাহলে ওজু ভাঙ্গবে না। সোজা চারজানু হয়ে বসে কেউ যদি ঘুমায় তাহলে এতেও ওজু ভাঙ্গবে না।

মাসআলা : নামাজে দাঁড়ানো রুকু বসা কিংবা সেজদায় কেউ যদি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয় আর তার অঙ্গগুলো স্বাভাবিক জায়গায় থাকে, তাহলে ওজু ভাঙ্গবে না।

মাসআলা : নামাজে উচ্চস্বরে হাসলে ওজু ভেঙ্গে যায়। আর ওজু ভেঙ্গে গেলে নামাজ তো ভাঙবেই। তবে কেউ যদি মুচকি হাসে তাহলে ওজু ভাঙবে না।

এসব কারণেও ওজু ভাঙ্গে না

  1. ওজু করার পর সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ালে কিংবা দুধ নিংড়িয়ে বের করলে।
  2. লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে বা দেখলে।
  3. ওজু করার পর হাত-পায়ের নখ কাটলে।
  4. বিড়ি-সিগারেট ইত্যাদি খেলে।
  5. সতরের পুরোটা কিংবা আংশিক খুলে গেলে।
  6. কোনো কারণে অন্য কারও লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে বা দেখলে।
  7. ওজু করার পর নখ-চুল কাটলে।
  8. হাত-পা বা শরীরের অন্য কোনো জায়গার চামড়া কাটলে, উঠিয়ে ফেললে কিংবা উপড়িয়ে ফেললে (যদি এতে রক্ত বের না হয়)।
  9. নাক বা চোখ দিয়ে পানি পড়লে।
  10. ওজু করার পর আয়নায় চেহারা দেখলে।
Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

- আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ
ক্যাটাগরি সমূহ
ট্যাগ সমূহ
error: অনুগ্রহ করে লেখাটি কপি করবেন না। লিংক শেয়ার করুন। ধন্যবাদ