Post Updated at 7 Apr, 2023 – 10:41 AM

ফিতরা সম্পর্কিত সকল পোস্ট একত্রে পাওয়া যাবে এখান থেকে। ফিতরা বিষয়ে যে পোস্টগুলো করা হয়েছে তা নিম্নরূপ:

  1. ২০২৩ সালের ফিতরার পরিমাণ ও মাসআলা
  2. ফিতরা কাকে দেয়া যাবে? কোন সময়ে ফিতরা আদায় করতে হয়? (আপনি এটি এখন পড়ছেন)
  3. ফিতরা কেন আমাদের উপর ওয়াজিব হয়েছে? ফিতরা কার উপর ওয়াজিব?
  4. ফিতরা খাদ্য দিয়েই আদায় করতে হবে? নাকি টাকা দিয়েও আদায় করা যাবে?

ফিতরা কাকে দেয়া যাবে?

ফিতরার হকদার হচ্ছে গরীব লোক। আপনার জন্য সবচেয়ে উত্তম হবে যদি আপনার নিকটাত্মীয়দের মধ্যে দরিদ্র কেউ থাকে তাকে দেয়া। এমন কি যদি ভাই-বোনের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকে তাহলে তাদেরকে দেয়াও অনেক ভাল কাজ হবে। অর্থাৎ ভাই-বোন ও আত্মীয়স্বজনকে ফিতরা দেয়া যাবে। এতে ফিতরা আদায় হবে এবং আত্মীয়স্বজনের দেখাশোনা করা বা তাদের হক্ব আদায়ের সওয়াবও ইনশাআল্লাহ হবে।

একজনের ফিতরা একজনকে দেয়াই উত্তম। কিন্তু একজনের ফিতরা একাধিকজনের মধ্যেও ভাগ করে দেয়া যেতে পারে। টাকার পরিমাণের উপর ভিত্তি করে নিজেরা বুঝে বন্টন করতে পারি। যেমন কেউ যদি তার ফিতরা বাবদ ১০০ টাকা কয়েকজনকে ভাগ করে দেন তাহলে আসলে খুব অল্প পরিমাণ টাকা প্রত্যেকে পাবে। কারোরই সেই টাকায় ঈদ উদযাপন হয়ে উঠবে না। আবার যিনি ফিতরা হিসাবে ৩০০০ টাকা দিবেন। তিনি হয়ত মনে করতে পারেন ৩ টি পরিবারকে ১০০০ টাকা করে দিলে তাদের সবার ঈদের দিনটা ভাল কাটবে। সেটাও হতে পারে।

ফিতরা কাকে দেয়া যাবে না?

মসজিদ মাদরাসা নির্মানের জন্য ফিতরার টাকা দেয়া যাবে না। এটা শুধু দরিদ্রদেরই হক। রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ইত্যাদি নির্মানের জন্য ফিতরার টাকা খরচ করা যাবে না। লাইব্রেরি নির্মান, দ্বীনের দাওয়াতের কাজেও ফিতরার টাকা খরচ বৈধ নয়। এটা দরিদ্রদের অভাব দূর করার জন্য বা দরিদ্রদেরকে ঈদের দিন অন্তত নিশ্চিন্ত থাকার ব্যবস্থা করার জন্য দরিদ্রদেরকেই দিতে হবে। মাদরাসার নির্মাণ কাজে দেয়া না গেলেও সেখানকার দরিদ্র তহবিলে ফিতরার টাকা দেয়া যাবে। যেই ফান্ড থেকে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়।

আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ফিতরা আদায় করা এবং ফিতরার টাকা বা খাদ্যদ্রব্য সময়মতো এর হকদারের কাছে পৌঁছে দেয়া। ফিতরার হকদারদের যেন আমাদের দ্বারে দ্বারে এসে ঘুরে ঘুরে ফিতরা সংগ্রহ করতে না হয় সে দিকে আমাদের লক্ষ রাখা উচিত।

ফিতরা কোন সময়ে আদায় করতে হয়?

হাদীসের নির্দেশনা মোতাবেক, ঈদুল ফিতরের নামাজে যাওয়ার আগেই ফিতরা গরীবদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। অনেকেই চিন্তা করতে পারেন ঈদগাহে অনেক ফকির আসে। নামাজ শেষ করে সবাইকে ৫-১০ টাকা করে দিব। এটা সুন্নতের খেলাফ।

ঈদের নামাজের আগে ফিতরা আদায় করার বর্ণনা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। একই সাথে এমন কিছু রেওয়ায়েতও পাওয়া যায় যেখানে দেখা যায় সাহাবীরা (রা) ঈদের ২-১ দিন আগেও ফিতরা আদায় করেছেন। তাই আমরা চাইলে ঈদের ২-১ দিন আগে ফিতরা আদায় করে দিতে পারি। যেন যাকে দেয়া হচ্ছে সে ২-১ দিন আগে থেকেই ঈদের প্রস্তুতি নিতে পারেন।

Comments

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    - আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

    সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ
    ক্যাটাগরি সমূহ
    ট্যাগ সমূহ
    error: অনুগ্রহ করে লেখাটি কপি করবেন না। লিংক শেয়ার করুন। ধন্যবাদ