Press ESC to close

কসর নামাজের বিধান

Post Updated at 26 Jan, 2025 – 5:48 PM

কসরের নামাজের পরিচয়

যিনি সফর করেন তিনি মুসাফির। মুসাফিরের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এখান থেকেসফরের সময় জোহর আসর ও ইশার চার রাকাত ফরয নামাযগুলো দুই রাকাত করে পড়তে হয়।  একে কসর নামায বলে। ফজর মাগরিব ও বিতির নামাযে কোনো কসর নেই। যানবাহনে নামাজ আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি পড়ুন

সাহরি, ইফতার ও নামাজের সময়সূচীর জন্য ডাউনলোড করুন মুসলিমস ডে অ্যাপ

হানাফী মাজহাব অনুসারে, মুসাফির ব্যক্তির জন্যে নামাযে এ কসর করা জরুরি। ইচ্ছাকৃত নামায কসর না করে পূর্ণ নামায আদায় করলে গোনাহগার হবে। তবে যদি মুসাফির কোনো মুকিম ইমামের পেছনে নামাযের ইকতিদা করেন, তাহলে সেখানে অবশ্য ইমামের অনুসরণ করে পুরো নামাযই আদায় করতে হবে। 

কসর শুধু ফরয নামাযের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। সুন্নত নামাযে কসর নেই।

সফর অবস্থায় সুন্নত নামায

সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাযগুলোর মাঝে ফজরের দুই রাকাত সুন্নতের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। সফর অবস্থায়ও সম্ভব হলে এই দুই রাকাত নামায যথারীতি আদায় করবে। তবে জোহরের ছয় রাকাত, মাগরিবের দুই রাকাত ও ইশার দুই রাকাত সুন্নতের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যদি পড়ার সুযোগ থাকে তাহলে পড়াই উত্তম। আর যদি সুন্নত নামায পড়ার কারণে নিজের কিংবা সফরসঙ্গীদের কষ্ট হয় তাহলে না পড়া উত্তম। 

মুসাফিরের নামাযের জামাত

জামাতে ইমাম-মুক্তাদি সকলেই যদি মুসাফির হন তাহলে সবাই মিলে কসর করবে। যদি ইমাম মুকিম হয়, মুক্তাদি মুসাফির হয় তাহলে সবাই মিলে পুরো নামাযই পড়বে। আর যদি ইমাম মুসাফির হয় আর মুক্তাদি মুকিম হয় তাহলে মুসাফির ইমাম কসর করবেন এবং দুই রাকাত পড়েই সালাম ফেরাবেন, তবে মুকিম মুক্তাদিকে পুরো নামায আদায় করতে হবে। ইমাম সাহেব যখন সালাম ফেরাবেন, তখন মুক্তাদি সালাম না ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে যাবেন এবং অবশিষ্ট রাকাতগুলো আদায় করবেন, তবে এতে তিনি কোনো কেরাত পড়বেন না।

কতটুকু সফরে কসর পড়তে হয়

যদি কেউ নিজ গ্রাম বা শহর থেকে কমপক্ষে ৪৮ মাইল (৭৭.২৫ কিলোমিটার) দূরে কোথাও যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ শহর বা গ্রাম থেকে বের হয় তাহলে সে রাস্তায় কসর নামায পড়বে। 

মূলত তিন দিনের পথ কেউ অতিক্রম করলে সে মুসাফির হয়। কাফেলাসহ চললে খাওয়া-দাওয়া, পাকপবিত্রতা ও আরাম-বিশ্রামের সময় বাদ দিয়ে হেঁটে হেঁটে কিংবা ঊটের পিঠে করে তিন দিনে যতদূর যাওয়া যায়, সেটাই প্রকৃতপক্ষে সফরের সর্বনিম্ন সীমা। আলেমগণ এ দূরত্বকে মোটামুটি হিসেবে ৪৮ মাইল সাব্যস্ত করেছেন। যদি কেউ বাহনের দ্রুতগতির কারণে আরও কম সময়ে এ দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে, তবুও সে কসরই আদায় করবে। 

নৌপথে সফরের সীমা

নৌপথে সফরের বিধান স্থলপথের মতোই। অর্থাৎ রাস্তার দূরত্ব যদি ৪৮ মাইল হয় তাহলে কসর করবে, অন্যথায় পুরো নামায আদায় করবে।

পথ যদি একাধিক থাকে 

কোনো গন্তব্যের জন্যে একাধিক পথ রয়েছে। এক পথের দূরত্ব ৫০ মাইল, আরেক পথের দূরত্ব ৪৫ মাইল। এমতাবস্থায় যে পথে যাবে সে হিসেবেই আমল করবে। 

কসর কখন থেকে পড়তে শুরু করবে

নিজ গ্রাম কিংবা শহর অতিক্রম করার পর থেকে কসর নামায পড়তে হবে। এর আগে কসর পড়া যাবে না।  নিজ এলাকার সীমা অতিক্রম করার পর পুরো নামায নয়, কসরই পড়তে হবে।

কসরের সময়সীমা

নিজ এলাকা থেকে কমপক্ষে ৪৮ মাইল (৭৭.২৫ কিলোমিটার)  দূরে কোনো এলাকায় গিয়ে যদি কেউ কমপক্ষে পনের দিন থাকার নিয়ত করে তাহলে সেখানে সে মুকিম হিসেবে বিবেচিত হবে। তখন তাকে পূর্ণ নামায আদায় করতে হবে। 

পনের দিন থাকার নিয়ত করার পর যদি নিয়ত পরিবর্তন হয় এবং পনের দিনের আগেই চলে আসার নিয়ত করে, তবু সে সেখানে মুকিম থাকবে। তাকে পূর্ণ নামায পড়তে হবে। 

যদি কেউ কোনো স্থানে পনের দিনের কম সময় থাকার নিয়ত করে তাহলে কসর পড়তে হবে। 

কেউ কোথাও গিয়ে প্রথমে পনের দিনের কম সময় থাকার নিয়ত করল, কিন্তু পরবর্তীতে তার সেখানে আরও কয়েকদিন থাকার প্রয়োজন দেখা দিল, তখন আবার সে নতুন করে পনের দিনের কম সময় থাকার নিয়ত করল, এমন হলে পুরো সময়ই সে কসর পড়বে। এমনকি যদি এভাবে সময় বাড়াতে বাড়াতে বছরও হয়ে যায় তবুও কসরই পড়তে হবে।  আর যদি একসঙ্গে পনের দিন থাকার নিয়ত করে তাহলে কসরের হুকুম বাতিল হয়ে যাবে এবং তখন থেকে পূর্ণ নামায পড়তে হবে।

নিজস্ব বাসস্থানে ১৫ দিনের কম থাকলে

নিজের বাড়ি কিংবা বাসস্থানে পনের দিনের কম সময় থাকলেও পূর্ণ নামাযই আদায় করতে হবে।  

লেখাপড়া চাকরিবাকরি কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে যদি কারও ভিন্ন কোনো নির্ধারিত থাকার জায়গা থাকে এবং সেখানে অন্তত একবার সে পনের দিন থেকে থাকে,  তাহলে পরবর্তীতে সেখানে সে পনের দিনের কম থাকলেও পূর্ণ নামায পড়তে হবে।

যাত্রাবিরতিতে ১৫ দিন থাকলে

পথের দূরত্ব ৪৮ মাইল ঠিকই, কিন্তু পথিমধ্যে এক জায়গায় যাত্রাবিরতি করে সেখানে পনের দিন থাকার নিয়ত করল। পনের দিন থাকার এ নিয়ত যাত্রা শুরু করার আগে থেকেই যদি হয়ে থাকে, তাহলে তো সে মুসাফির হবেই না। পুরো পথেই তাকে পূর্ণ নামায পড়তে হবে। আর যদি আগে এমন নিয়ত না থাকে, তাহলে তো নিজ এলাকা ত্যাগ করার পর থেকে কসর পড়বেন। কিন্তু যখন যাত্রাবিরতি করে পনের দিন থাকার নিয়ত করলেন, তখন থেকে পূর্ণ নামায পড়তে হবে। যাত্রাবিরতিতে মুকিম হয়ে গেলে সেখান থেকে পরবর্তী গন্তব্য যদি কমপক্ষে ৪৮ মাইল হয়, তাহলে পথিমধ্যে তিনি মুসাফির, আর এর কম হলে পথেও মুকিম থাকবেন। 

পথে যদি নিজের এলাকা পড়ে

যাত্রাপথে নিজের এলাকা পড়লে এলাকায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মুকিম হয়ে যাবেন। এমনকি এলাকায় প্রবেশের পর নিজ বাড়িতে না গেলেও কিংবা সেখানে অবস্থান না করলেও তিনি মুকিম। যেমন, কেউ ঢাকা থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম রওয়ানা করল। তার বাড়ির পাশ দিয়ে ট্রেন যাবে, কিন্তু সেখানে থামবে না। এমতাবস্থায় দেখতে হবে, ঢাকা থেকে তার এলাকা এবং তার এলাকা থেকে চট্টগ্রাম সফরের দূরত্বে কিনা। কোনো একটা কিংবা উভয়টা সফরের দূরত্ব হলে, সে ক্ষেত্রে সে নামায কসর করবে, অন্যথায় পূর্ণ নামায পড়তে হবে।

সফরের মাসআলায় গ্রাম-শহরের সীমা

সফরের মাসআলার ক্ষেত্রে নিজ এলাকা বলে নিজ গ্রাম বা শহর বোঝানো হয়। স্বাভাবিকভাবেই গ্রামের আয়তন কম, শহরের আয়তন বেশি। তা সত্ত্বেও একটি গ্রাম যেমন একটি ভিন্ন এলাকা, একটি শহর একটি এলাকা। একটি গ্রামে একাধিক পাড়া থাকতে পারে। যেমন, পূর্ব পাড়া, পশ্চিম পাড়া ইত্যাদি। তা সত্ত্বেও সবটা মিলেই একটা গ্রাম।  ইউনিয়ন, থানা, জেলা, সিটি করপোরেশন ইত্যাদি বিবেচ্য বিষয় নয়। পাশাপাশি দুটি গ্রাম এমনও হতে পারে, দুই গ্রামের মাঝ দিয়ে একটি চিকন রাস্তা মাত্র। এ ক্ষেত্রেও সফরের সময় নিজের গ্রামের সীমা অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী গ্রামে আসলেই কসর পড়তে হবে। নিজের গ্রামে থাকাকালে কসর পড়া যাবে না। আবার সফর শেষে ফেরার সময়ও নিজের গ্রামে প্রবেশের আগ পর্যন্ত কসর পড়বে। নিজের গ্রামে প্রবেশের পর পূর্ণ নামায পড়তে হবে।

একইভাবে একটি শহর একটি এলাকা। উদাহরণস্বরূপ ঢাকা শহরের কথা বলা যায়। ঢাকা শহর বলে যতটুকু অঞ্চল বোঝানো হয়, সবটা এক অভিন্ন এলাকা, যদিও এ এলাকাটি অনেক বড়। সফরের সময় এ শহরের সীমা অতিক্রম করার পরই মুসাফির বলে গণ্য হবে এবং নামায কসর করবে। এর আগে নয়,  এমনকি যদি নিজের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর শহরের মধ্যেই ৪৮ মাইল পথ পাড়ি দিতে হয়, তবুও নিজ শহরে থাকার কারণে সে মুকিমই, মুসাফির নয়। 

কোনো এলাকার ভিন্ন ভিন্ন স্থান মিলিয়ে ১৫ দিন হলে 

কোনো একটি গ্রামে বা একটি শহরে সফরে গিয়ে সেখানকার ভিন্ন ভিন্ন স্থানে মিলিয়েও যদি কেউ একনাগাড়ে পনের দিন থাকার নিয়ত করে তাহলে তাকে পূর্ণ নামায পড়তে হবে। 

আর যদি দুই গ্রাম বা দুই শহর কিংবা গ্রাম-শহর মিলিয়ে পনের দিন থাকার নিয়ত করে, কোনো এক স্থানে লাগাতার ১৫ দিন থাকার নিয়ত না করে,  তাহলে কসর করতে হবে। 

চিল্লার জামাতের সাথীরা কসর করবেন কিনা

যারা নিজ এলাকা থেকে ৭৮ কিলোমিটার দূরে কোথাও চিল্লায় যান, তারা যদি সেখানকার একটি গ্রামের কিংবা একটি শহরের (শহরতলীসহ) বিভিন্ন মসজিদ মিলিয়ে কমপক্ষে ১৫ দিন কাটানোর নিয়ত করেন, তাহলে তারা পূর্ণ নামায পড়বেন, আর যদি কোনো এক গ্রামে বা শহরে ১৫ দিন থাকার নিয়ত না করে, তাহলে কসর পড়বেন।  

বিয়ের পর বাবার বাড়িতে নারীদের বিধান

ছেলে হোক বা মেয়ে, স্ত্রী হোক বা স্বামী- জীবনযাপনের জন্যে যেখানে বসবাস করবে, সেটাই হবে তার নিবাস বা ঠিকানা। সেখানে সে মুকিম। কেউ যদি কোনো কারণে পূর্বের আবাসভূমি ছেড়ে দেয়, তাহলে সেটা আর তার ঠিকানা বা নিবাস হিসেবে বিবেচিত হবে না। বরং ছেড়ে আসা পূর্বের আবাসভূমিতে গেলে সে মুসাফির গণ্য হবে এবং নামাস কসর করবে, যদি দূরত্ব সফর পরিমাণ হয়।

সুতরাং বিয়ের পর স্ত্রী যদি শ্বশুরালয়ে কিংবা স্বামীর ঠিকানায় বসবাস করতে শুরু করে, আর নিজ পিত্রালয়ে শুধু বেড়াতে যায়, তাহলে যেখানে সে বসবাস করছে (অর্থাৎ শ্বশুরালয় কিংবা স্বামীর ঠিকানা), সেটাই স্ত্রীর নিবাস বলে বিবেচিত হবে। সেখানে সে মুকিম হবে। আর তার পিত্রালয়ে এখন যেহেতু সে বসবাস করে না, বরং যখন যায় বেড়াতে যায়, সেটা যদি সফরের দূরত্বে হয়, তাহলে সেখানে ১৫ দিনের কম সময়ের জন্যে গেলে নামায কসর করবে। 

পক্ষান্তরে স্ত্রীর বসবাস যদি দুই জায়গাতেই হয়, কখনো শ্বশুরালয়ে বা স্বামীর ঠিকানায়, কখনো বাবার বাড়িতে, তাহলে দুই জায়গাতেই সে মুকিম। উভয়স্থানে সে পূর্ণ নামায আদায় করবে।

আর যদি স্ত্রী বিয়ের পরও নিজ পিত্রালয়েই থাকে, শ্বশুরালয়ে আসে বেড়াতে, তাহলে পিত্রালয়ই তার ঠিকানা বলে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে শ্বশুরালয়ে আসলে নামায কসর করবে, যদি সফরের দূরত্বে হয়।

স্বামী-স্ত্রীর সফরে কার নিয়ত বিবেচ্য

স্বামী-স্ত্রী যদি একই সঙ্গে সফর করতে থাকে এবং স্বামীকে রেখে স্ত্রী অন্য কোথাও যাওয়ার চিন্তা না করে, তাহলে স্বামীর নিয়তই স্ত্রীর নিয়ত বলে ধর্তব্য হবে। স্বামী যদি কোথাও পনের দিন থাকার নিয়ত করে, তখন থেকে  উভয়েই মুকিম হয়ে যাবে, স্ত্রী পনের দিনের নিয়ত না করলেও। একইভাবে স্বামী যদি একনাগাড়ে পনের দিনের নিয়ত না করে, তাহলে স্ত্রী পনের দিন থাকার নিয়ত করলেও মুসাফিরই থাকবেন। কেননা উভয় ক্ষেত্রে স্ত্রীও জানে- তার নিয়তের কোনো কার্যকারিতা নেই। বরং সে স্বামীরই অনুগামী।

অবশ্য যদি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে একে অন্যের অনুগামী না হয়, বরং প্রত্যেকেই নিজ নিজ ইচ্ছায় স্বাধীন, তাহলে নিজ নিজ নিয়ত অনুসারেই প্রত্যেকে আমল করবে।

সূত্র : সহীহ বুখারী ৩৫০; মুসনাদে আহমদ ১৮৬২; আদদুররুল মুখতার ও রদদুল মুহতার ২/৫৯৯৯, ৬০৩-৬০৭, ৬১৩ ইমদাদুল ফাতাওয়া ১/৪৫৫

মাওলানা শিব্বীর আহমদ

উসতাযুল হাদীস, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া ঢাকা, মোহাম্মদপুর। মাসিক আলকাউসারসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেন। তাঁর লিখিত বইও পাঠক মহলে নন্দিত হয়েছে। তিনি মুসলিমস ডে অ্যাপের শরয়ী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

Comments (27)

  • Md Sakhawath Hossainsays:

    April 9, 2023 at 12:32 PM

    আপনাদের পেজে মাউসের বল দিয়ে স্ক্রল করা যায় না।

  • Sanjidasays:

    August 29, 2023 at 1:10 PM

    আমি সকালে অফিসে আসি, আছর এর সময় বাসায় যাই৷ মধ্যবর্তী সময় অফিসে জোহর এর ওয়াক্ত আসে, এখন আমি কি অফিসে বসে কসর পড়বো জোহর এর নামাজ? নাকি পুরো নামাজ পড়বো??? দয়া করে জানাবেন

  • Rahmatullah Masumsays:

    March 13, 2024 at 6:38 AM

    পড়ালেখার জন্য যারা পৈত্রিক বাড়ি থেকে দূরে থাকে (লম্বা সময়ের জন্য যেমন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী) , তারা বাড়িতে গেলে কছর হবে কিনা? যেহেতু তার বর্তমান আবাসস্থল তার বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।

    • মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:

      March 13, 2024 at 3:02 PM

      নিজের বাড়িতে কখনোই কছর করা যায় না। যখনই বাড়িতে যাবে, তখনই পূর্ণ নামাজ পড়বে।

  • Ummey Hafsasays:

    March 15, 2024 at 6:32 PM

    আসসালামু আলাইকুম।
    আমি আমার হাজব্যান্ড এর সাথে হাজব্যান্ড এর পোস্টিং এলাকায় থাকি। যেখান থেকে আমার বাবার বাড়ি এবং শ্বশুর বাড়ি ২৫০ কিলোমিটার দূরে। এক্ষেত্রে আমি কি করবো?
    শ্বশুর বাড়ি থেকে আমার বাবার বাড়ি প্রায় ৯ কি.লো।

    আমি যদি এখন বাবার বাড়ি কিংবা শ্বশুর বাড়ি যাই তবে কী কসর পড়তে হবে? সেখান থেকে কোনো আত্নীয় স্বজনের বাড়ি গেলে সেক্ষেত্রে কী করণীয়? আত্নীয় স্বজনদের বাসা এরাউন্ড ৩০/৩২ কিলোমিটার এর মধ্যে?

    • মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:

      March 25, 2024 at 3:20 AM

      ওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
      আপনার স্বামীর কর্মস্থল থেকে যখন আপনি তার সঙ্গে আপনার শ্বশুড় বাড়িতে যান, তখন আপনি মুকিম হয়ে যাবেন, যদি সেখানে আপনাদের থাকার নিজস্ব ব্যবস্থা থেকে থাকে। আর সেখানে মুকিম হয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে আপনার বাবার বাড়ি কিংবা অন্য আত্মীয়দের বাড়িতে গেলেও আপনি মুকিমই থাকবেন।

  • amanullahsays:

    April 14, 2024 at 1:50 AM

    অনৈতিক কোন উদ্দেশ্য নিয়ে ৪৮কিলোমিটারের বেশী দুরত্বে ভ্রমনে গেলে তাকে কি মুসাফির বলা যাবে?বা সে কি কসর নামাজ আদায় করবে?

    • মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:

      April 22, 2024 at 5:22 PM

      ৪৮ কিলোামিটার নয়, ৪৮ মাইল (যা কিলোমিটারের হিসাবে প্রায় ৭৮ কিলোমিটার) বা এর বেশি দূরত্বের সফর করলে কসর করা যাবে। যদি কেউ অনৈতিক বা অবৈধ কোনো উদ্দেশ্যে সফর করে তবে সেও কসর করবে। অবৈধ কোনো উদ্দেশ্যে সফর করলে যে গোনাহ হবে তা তো বলাবাহুল্য।

  • তানবিরsays:

    June 7, 2024 at 9:36 PM

    আমি সরকারি কাজে আমার পোস্টিং যেই জাগায় সেই জায়গা থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে সরকারি কাজে আছি,,,,,এই জাগায় কতো দিন থাকা লাগবে তা নিধারিত না,,,,আমি কি তাহলে কছর পরবো নাকি,,,,,আমি ১ মাস এর এর বেশি আছি

    • মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:

      June 15, 2024 at 3:05 PM

      কসর পড়ার জন্যে একনাগারে কমপক্ষে পনের দিন এক এলাকায় থাকার নিয়ত করা যাবে না। আপনি যদি কমপক্ষে পনের দিন থাকার নিয়ত করে থাকেন, তাহলে আপনি কসর করতে পারবেন না। কোনো এলাকায় সফরে গিয়ে কেউ যদি পাঁচ-সাত দিন করে থাকার নিয়ত করে এবং এভাবে ওখানে থাকা দীর্ঘায়িত হয়, বছরও অতিক্রান্ত হয়ে যায়, কিন্তু কখনোই সে একনাগারে ১৫ দিন থাকার নিয়ত করেনি, তবে সে মুসাফির, নামাজ কসর করবে।

  • রফিকুল আমীন খানsays:

    June 22, 2024 at 10:17 AM

    সফরের সময় অনেকে জোহর ও আসর এবং মাগরিব ও এক সঙ্গে আদায় করেন। এ ক্ষেত্রে বিধানটি জানতে চাই।

    • মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:

      June 23, 2024 at 4:11 PM

      সফরের সময় জোহর-আসর এবং মাগরিব-ইশা একত্রে আদায় করতে চাইলে এর নিয়ম হলো, জোহরের শেষ ওয়াক্তে জোহর এবং আসরের শুরুর ওয়াক্তে আসর পড়া। একইভাবে মাগরিবের শেষ ওয়াক্তে মাগরিব ও ইশার শুরুর ওয়াক্তে ইশা পড়া। এভাবে এ নামাজগুলো একত্রে পড়া যেতে পারে। জোহরের সময়ই জোহরের সঙ্গে আসর, মাগরিবের সময় মাগরিবের সঙ্গে ইশা কিংবা জোহরের সময় জোহর না পড়ে আসরের সময় জোহর-আসর একত্রে পড়া, মাগরিবের সময় মাগরিব না পড়ে ইশার সময় মাগরিব ও ইশা একত্রে পড়া- এগুলো করা যাবে না।

  • মোঃ সেলিম মাহমুদ প্রিন্স। ইনল্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারsays:

    June 28, 2024 at 9:47 AM

    আসসালামুয়ালাইকুম কেমন আছেন। মেসেজ টা খুব জরুরী দ্রুত রিপ্লাই দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।

    আমি একজন নাবিক, আমি জাহাজে চাকরিতে আসলে দুই – তিন মাস থাকতে হয়।
    কিন্তু বাংলাদেশে দশ দিন থাকলে ইন্ডিয়া দশ দিন থাকা লাগে এবং বাকি সময় নদী বা সাগর পথে থাকতে হয়।
    আমাদের স্বাধীন ভাবে চলতে পারি নামাজ পড়তে কোন সমস্যা নেই, যথেষ্ট সময় আছে।
    নিজের বাড়ির মতোই চলতে পারি।
    সে ক্ষেত্রে আমরা কি মুকিম না মুসাফির জানালে হাজার হাজার নাবিক উপকৃত হব।

    • Muslims Day Desksays:

      June 30, 2024 at 5:18 PM

      জাহাজ যখন চলতে থাকবে তখন জাহােজের যাত্রীগণ মুসাফির হবেন। তখন যুহর, আসর ও ইশার সালাত কসর করতে হবে। যদি কোনো পেরেশানি বা অসুবিধা না থাকলে তাহলে সুন্নত নামাজগুলোও পড়তে পারলে ভালো।

      জাহাজ যখন কোনো বন্দরে নোঙ্গর করবে তখন সেখানে ১৫ দিনের কম অবস্থানের নিয়তে থামলে সেখানেও কসর করবে। যেমন ভারতে ১০ দিন থাকার নিয়তে বন্দরে থামা হলো। তখন সেখানে কসর করবে। ১৫ দিনের কম অবস্থানের নিয়ত থাকা অবস্থায় যদি কোনো কারণে ১৫ দিনের বেশি থাকার প্রয়োজন দেখা যায় তাহলেও মুসাফির থাকবে, কসর করবে। কিন্তু ১৫ দিনের বেশি অবস্থানের নিয়ত থাকলে তখন আর মুসাফির থাকবে না।

      বন্দর থেকে আবার জাহাজ চলা শুরু করলে তখন আবার মুসাফির হবে।

      উত্তর প্রদানে:
      মাওলানা শিব্বীর আহমাদ
      উসতাযুল হাদীস, জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া ঢাকা, মোহাম্মদপুর

  • মোঃ সুজন আলীsays:

    August 3, 2024 at 10:03 PM

    আসসালামু আলাইকুম আমি সেনাবাহিনীতে চাকুরি করছি, দেশের জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার কারণে নিজ ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৮০ কিঃমিঃ দূরে আছি এখানে থেকে কবে নাগাদ নিজ ক্যান্টনমেন্টে ফিরতে পারবো ঠিক নেই, আমরা আগামী ১০ দিনেও ফিরতে পারি আবার ১৫ দিনেও ফিরতে পারি কিংবা৩০ দিনের বেশিও থাকতে পারি তাহলে আমার করণীয় কি?

    • মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:

      August 8, 2024 at 7:33 AM

      ওয়াআলাইকুমুস সালাম, আপনার ক্যান্টনম্যান্ট যে শহরে অবস্থিত, সে শহরের সীমা থেকে আপনার বর্তমান গ্রাম/শহরের সীমা যদি ৭৭.২৫ কিলোমিটার বা এর অধিক দূরত্বে অবস্থিত হয়, তাহলেই আপনি এখন কসর করতে পারবেন। অন্যথায় আপনাক পুরো নামাজই পড়তে হবে। আর যদি ‍উক্ত দূরত্ব পাওয়া যায়, তাহলে আপনি যতদিন ওখানে থাকেন, কসরই করবেন।

  • Md. Billal Hossainsays:

    August 15, 2024 at 8:38 PM

    আমি ও আমার স্ত্রী দুজনেই চাকুরীজীবী। দুজন দুই জায়গায় থাকি। এক স্থান থেকে অন্য স্থানের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের বেশি। আমি প্রায়ই শুক্রবার ও শনিবার স্ত্রীর স্থানে যাই। এই দু’দিন আমি কি কসর নামাজ আদায় করবো?

    • মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:

      September 17, 2024 at 9:09 AM

      আপনার প্রশ্ন দেখে মনে হচ্ছে, আপনি মাঝে মধ্যে কিংবা সপ্তাহে এক দুইদিনের জন্যে আপনার স্ত্রীর কাছে বেড়াতে যান। আপনার স্ত্রীর অবস্থানস্থল আপনার মূল থাকার জায়গা নয়। সে হিসেবে আপনি ওখানে যখন যাবেন তখন কসরই করবেন। তবে আপনি যদি কখনো ওখানে এক নাগাড়ে পনের দিন থাকার নিয়ত করেন, তাহলে তখন পুরো নামাজ পড়বেন।

  • Asifsays:

    August 29, 2024 at 2:36 PM

    আমি যদি আমার আত্মীয়র বাসায় যায় তাহলে কি কসর পড়তে হবে নাকি পূর্ণ করতে হবে। আত্মীয়র বাসা আমাদের বাসা থেকে ২৫০+ কি.মি দূরে

  • এস এম মশিউর রহমানsays:

    September 30, 2024 at 8:08 PM

    যদি ৭৮ কিলোমিটার এর দূরে যাই। আমার যদি পুর্ন নামাজ পরার সময় থাকে তাহলে কি আমি পুর্ন নামাজভ পরব নাকি কসর পরব। কসর না পরলে কি গুনা হবে??
    জানালে কৃতার্থ হব৷

    • মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:

      October 2, 2024 at 3:23 PM

      একাকী কিংবা মুসাফির ইমামের পেছনে জামাতে পড়লে কসরই পড়তে হবে। আর মুকিম ইমামের পেছনে পড়লে পূর্ণ নামাজ পড়বেন। কসর করার বিধানটি ঐচ্ছিক নয়, আবশ্যিক।

  • MD Rezaul karimsays:

    November 20, 2024 at 2:28 PM

    আমি জাহাজে চাকরি করি চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়াই কোন কোন স্থানে একনাগরে এক মাসের বেশি থাকা পরে। আমাদের জাহাজের অনেক লোকে কসর নামাজ আদায় করে এখন আমার প্রশ্ন হল আমরা জাহাজে স্থায়ীভাবে থাকি তাহলে আমাদের নামাজ কসর হয় কিভাবে?

    • মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:

      November 24, 2024 at 8:57 PM

      জাহাজ যখন চলতে থাকে, তখন তো এর যাত্রীরা মুসাফিরই হবে, যদি যাত্রার দূরত্ব সফর পরিমাণ হয়। আর যখন জাহাজ থেমে থাকে, তখন যদি এক নাগাড়ে পনের দিন একটি জায়গায় অবস্থানের নিয়ত করা হয়< তাহলে কসর বাতিল হয়ে যাবে, পূর্ণ নামাজ পড়তে হবে। যদি একনাগাড়ে পনের দিনের থাকার নিয়ত করা না হয়, ৫/৭ দিন করে করে কেউ যদি বছরের পর বছরও থেকে যায়, কিন্তু কখনো একনাগাড়ে পনের দিন থাকার নিয়ত করেনি, তাহলে পুরো সময় জুড়ে কসরই পড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

- আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

সাইট হিট কাউন্টার

সর্বমোট পোস্ট ভিউ: ২,৩১৬,৬৭৮

পোস্ট কপি করার অপশন বন্ধ রাখা হয়েছে। অনুগ্রহ করে পোস্টের লিংক কপি করুন