Post Updated at 17 Mar, 2023 – 11:18 AM

সিয়ামের মাস রমযান প্রতি বছরই ফিরে আসে আমাদের মাঝে। ফিরে আসে আমাদের মুক্তির বার্তা নিয়ে, গোনাহ মাফের সুসংবাদ নিয়ে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন—

مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.

যে রমযান মাসের সিয়াম পালন করে, ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের আশায়, তার আগের সকল গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। —সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৮

আরেকটি হাদীস—

 

مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.

যে রমযান মাসে (রাতের বেলা নফল) নামাযে দাঁড়িয়ে থাকে, ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের আশায়, তার আগের সকল গোনাফ মাফ করে দেয়া হবে। —সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৭

রমযান মাস সিয়ামের মাস, কিয়াম অর্থাৎ নফল নামাযের মাস। আমরা এ মাসের দিনের বেলায় সিয়াম পালন করি, আর রাতে আদায় করি তারাবীর নামায। আওয়াবীন আর তাহাজ্জুদেও নিয়মিত হন অনেকেই। এ প্রতিটি আমলের সঙ্গেই জুড়ে দেয়া হয়েছে মাগফিরাতের ওয়াদা, গোনাহ থেকে মুক্তির ওয়াদা। পরকালে বিশ্বাসী একজন ঈমানদারের জন্যে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে!

প্রবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে মাসিক আলকাউসারে

রমযান মাসের পুরোটাই আমাদের জন্য সিয়াম পালন ফরয করা হয়েছে। ধনী-গরীব, কালো-সাদা আর আরব-আজমের কোনো ফারাক নেই এখানে। তবে যারা সাময়িক কোনো সংকটে পতিত, যেমন কেউ অসুস্থ কিংবা মুসাফির, তাদেরকে সুযোগ দেয়া হয়েছে পরবর্তীতে সমসংখ্যক রোযা রাখার। আর যাদের সংকট স্থায়ী, সুস্থ-সবল হওয়ার সম্ভাবনা যাদের নেই বললেই চলে, তারা রোযার পরিবর্তে ফিদইয়া আদায় করবেন। এগুলো তো সংকটের কথা। যাদের কোনো সংকট নেই, তাদের সকলের ওপরই আরোপিত হবে সিয়ামের আবশ্যকতা। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে কেউ থাকুক, রমযান মাস এলেই সিয়াম ফরয হয়ে যাবে সকলের ওপর।

সিয়াম ফরয করা হল কেন? মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনই আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন এ প্রশ্নের উত্তর। পবিত্র কুরআনের বর্ণনা মোতাবেক, আমরা যেন তাকওয়া হাসিল করতে পারি, সেজন্যই ফরয করা হয়েছে এ সিয়াম। আল্লাহ তাআলার বাণী—

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا كُتِبَ عَلَیْكُمُ الصِّیَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ.

হে মুমিনেরা! তোমাদের ওপর সিয়ামের বিধান দেয়া হল, যেমন দেয়া হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার। —সূরা বাকারা (২) : ১৮৩

তাকওয়া যার মধ্যে থাকে, সে-ই মুত্তাকী। আমরা সাধারণভাবে মুত্তাকী বলতে বড় আলেম বুযুর্গ পীর-মুরশিদদের বুঝে থাকি। কিন্তু এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুমিনদের সকলকে উদ্দেশ্য করেই বলছেন— তোমাদের ওপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার। এ থেকে প্রতীয়মান হয়, তাকওয়া হাসিল করে মুত্তাকী হওয়া সকল মুমিনেরই কর্তব্য।

শরীয়তের বিধিবিধান আদেশনিষেধ মেনে চলার নামই তাকওয়া। আল্লাহ তাআলা যা করতে আদেশ করেছেন, তা যথাসম্ভব পালন করতে হবে। যা কিছু করতে নিষেধ করেছেন তা থেকে সর্বাত্মকভাবে বেঁচে থাকতে হবে। এটা হচ্ছে তাকওয়ার সাধারণ স্তর। তাকওয়ার আরেকটি স্তর হচ্ছে— গোনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় কিছু মুবাহ ও বৈধ কাজ থেকেও বিরত থাকা। এটা তাকওয়ার সর্বোচ্চ স্তর। তাকওয়ার এ সাধারণ কিংবা বিশেষ স্তরে উপনীত হওয়ার জন্য খ্যাতিমান আলেম-বুযুর্গ হওয়া জরুরি নয়। এ দুয়ার বরং সর্বশ্রেণির মুসলমানের জন্যই উন্মুক্ত।

সমাজে এমন কিছু মানুষও থাকে, যারা খোলা চোখে খুবই সাধারণ শ্রেণির মানুষ। তাদের না থাকে অর্থবিত্ত, না থাকে বংশীয় প্রভাবপ্রতিপত্তি, হয়তো তেমন কোনো শিক্ষাদীক্ষাও নেই। দিনে এনে দিনে খায় অবস্থা। কিন্তু শরীয়তের বিধান পালনে তারা বদ্ধপরিকর। দিনভর কষ্ট করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে হালাল পন্থায় যতটুকু উপার্জন করতে পারে, ততটুকুতেই তারা তুষ্ট থাকে। কারও হক নষ্ট করে না। আল্লাহ তাআলার বিধান পালনে কোনোরূপ শিথিলতা করে না। এমন মানুষ সম্পর্কেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—

رُبَّ أَشْعَثَ مَدْفُوعٍ بِالأَبْوَابِ لَوْ أَقْسَمَ عَلَى اللهِ لأَبَرَّهُ.

চুল এলোমেলো, মানুষের দরজায় অবাঞ্ছিত— এমন কত মানুষ আছে, যারা আল্লাহর নামে কোনো কসম করলে আল্লাহ তা অবশ্যই পূর্ণ করে দেন। —সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬২২

সমাজের চোখে তারা হয়তো নিতান্তই তুচ্ছ, কিন্তু তাকওয়ার গুণ হাসিল করে তারা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত সম্মানিত। এজন্যই তারা যখন আল্লাহ তাআলার কাছে কোনো দুআ করেন কিংবা আল্লাহর নামে কসম করে কিছু বলে ফেলেন, আল্লাহ তাআলা তাদের কথার মান রক্ষা করেন। যে বিষয়ে তারা কসম করেছেন, তা বাস্তবায়িত করে দেন। দুনিয়াতেই যার কথার মান আল্লাহ তাআলা রক্ষা করছেন; তার কসম যেন ভঙ্গ না হয় সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। ভাবা যায়, পরকালে আল্লাহ তাআলা তাকে কতটা মর্যাদায় আসীন করবেন!

এ তাকওয়া হাসিলের অন্যতম মাধ্যম রমযানের সিয়ামসাধনা। সরাসরি কুরআনের ঘোষণা। তাফসীরকারকগণ বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করেছেন— কীভাবে রমযানের সিয়ামসাধনার মধ্য দিয়ে আমরা তাকওয়া হাসিল করতে পারি। যেমন, সিয়াম আমাদের মনে সর্বদা আল্লাহর ভয় জাগ্রত রাখে। হাতের কাছে খাবার থাকার পরও ক্ষুধার্ত কোনো রোজাদার খাবারের দিকে হাত বাড়ায় না। সে যদি একান্তই গোপন কোনো স্থানে অবস্থান করে, যেখানে কোনো মানুষ তাকে দেখবে না, তবুও সিয়ামের কথা মনে থাকাবস্থায় সে কিছুই খায় না। এর একমাত্র কারণ— তার মন-মস্তিষ্কে এ চিন্তা বদ্ধমূল হয়ে আছে, আল্লাহ তাআলা সবকিছু দেখেন। তাঁর দৃষ্টির আড়ালে যেতে পারে না কেউ। এভাবে কেউ যখন সিয়ামের দিনগুলো কাটাতে থাকে, তখন তার একটি প্রশিক্ষণ হতে থাকে— কী করে আল্লাহ তাআলাকে না দেখেও ভয় করতে হয়।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দেখেন, সর্বাবস্থায় দেখেন, তাঁর দৃষ্টি থেকে আমরা কখনোই লুকাতে পারি না— এ বিশ্বাস যার মনমস্তিষ্কে যতটা জাগরুক থাকে, গোনাহের কাজ থেকে তিনি ততটাই বেঁচে থাকতে পারেন। তাই আল্লাহ তাআলা দেখছেন— এ বিশ্বাসে কেউ যখন গোপনে পানাহার থেকে বিরত থাকছে, পরবর্তীতে যখন তার সামনে আরেকটি গোনাহের কাজ আসে, তখনো সে বিশ্বাসই তাকে এ গোনাহ থেকেও বাধা দিয়ে রাখে। আর রমযান মাসজুড়ে কেউ যখন এভাবে সবরকমের গোনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে, পরবর্তী সময়গুলোতেও তার জন্য তাকওয়ার এ পথ ধরে চলা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

আইনের কথা হল, কেউ যদি সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সিয়ামের নিয়তে পানাহার ও স্ত্রীমিলন থেকে বিরত থাকে, এতটুকুতেই তার সিয়াম আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুনিয়েছেন কঠোর এক সতর্কবাণী—

مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ فَلَيْسَ لِلهِ حَاجَةٌ فِي أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ.

(সিয়ামরত অবস্থায়) যে মিথ্যা কথা আর অন্যায় কাজ ছাড়তে পারল না, তার পানাহার বর্জনের কোনো প্রয়োজন আল্লাহর নেই। —সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০৩

অর্থাৎ সিয়ামের হক পরিপূর্ণরূপে আদায় করতে হলে অন্যায় কাজ ছাড়তে হবে, অন্যায় কথা ছাড়তে হবে, পাপে জড়ানো যাবে না। তবেই হবে যথার্থ সিয়ামসাধনা। অন্যথায় এ সিয়াম পালনে ফরয দায়িত্বটুকু হয়তো পালিত হবে, কিন্তু এতে সিয়ামের প্রাণ বলে কিছু থাকবে না।

না দেখেও আল্লাহ তাআলাকে ভয় করার এ প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে আমরা যে কেবলই হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকতে পারব, তা নয়; বরং এ প্রশিক্ষণ আমাদের যতটা পাকাপোক্ত হবে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ইবাদতগুলোও ততটা প্রাণবন্ত হবে। ‘হাদীসে জিবরীল’ নামে প্রসিদ্ধ হাদীসটিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ইহসান’—এর পরিচয় তুলে ধরেছেন এভাবে—

الإِحْسَانُ أَنْ تَعْبُدَ اللهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ.

‘ইহসান’ হচ্ছে তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, যেন তুমি তাঁকে দেখছ। আর তুমি যদি তাঁকে নাও দেখ, তিনি তো তোমাকে দেখছেনই। —সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৭৭৭

রমযান মাসের এ সিয়ামসাধনা আমাদেরকে এ ‘ইহসান’এর দিকেই এগিয়ে দেয়। সন্দেহ নেই, এর মধ্য দিয়ে আমাদের তাকওয়া বৃদ্ধি পাবে। আমরা উন্নীত হতে পারব তাকওয়ার এক স্তর থেকে আরও উচ্চতর স্তরে।

এর পাশাপাশি সিয়াম আমাদেরকে মানবীয় চাহিদাসমূহ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখায়। হাতের কাছে খাবার পেয়েও কীভাবে না খেয়ে থাকা যায়, যৌনচাহিদা পূর্ণ করার মতো বৈধ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তা থেকে বিরত থাকা যায়, প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণার্ত হয়েও কী করে পানি খাওয়া থেকে দূরে থাকা যায়— এগুলো সিয়ামের প্রত্যক্ষ শিক্ষা। এসবই আমাদের মানবীয় চাহিদা। আল্লাহ তাআলার হুকুমের সামনে মনের চাহিদাকে যখন কেউ বুঝেশুনে দমিয়ে রাখবে, শত কষ্ট সয়েও আল্লাহর বিধানকেই সমুন্নত রাখবে, এটা পরবর্তীতে তাকে সবরকম হারাম থেকে বিরত রাখতে সহায়ক হবে।

খাবার যেমন একটি মানবীয় চাহিদা, সম্পদের প্রতিও রয়েছে আমাদের মানবীয় আকর্ষণ। এ আকর্ষণ সৃষ্টিগত। সম্পদ উপার্জনের জন্যে নানা সময় নানা পথ খুলে যায় আমাদের সামনে। কোনোটা হালাল, কোনোটা হারাম। সিয়ামসাধনার মাধ্যমে মুমিন বান্দা যখন মানবীয় চাহিদাকে বিসর্জন দিয়ে খাবার থেকে দূরে থাকে, অবচেতনভাবেই তখন তার মনে হারাম উপার্জন থেকে দূরে থাকার একটি যোগ্যতাও সৃষ্টি হতে থাকে। হারাম বিনোদন থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার শক্তি তার মনে সৃষ্টি হতে থাকে। সবরকম অবৈধ চাহিদাকে পদদলিত করার সাহস তার অর্জিত হয়। আর এভাবেই বছরজুড়ে সে বেঁচে থাকতে পারে হাজার রকমের অন্যায় ও পাপ থেকে।

সিয়ামসাধনার আরেক শিক্ষা— নেককাজে হিম্মত করে এগিয়ে যাওয়া। সিয়ামরত অবস্থায় আমরা যে দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে দূরে থাকি, স্বাভাবিক অবস্থায় এর অর্ধেক সময় অনাহারে কাটালেও আমরা ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ি। অথচ সিয়াম পালনকালে কখনো কখনো একটু-আধটু ক্ষুধা হয়তো আমরা অনুভব করি। কিন্তু ক্ষুধার তীব্রতায় ছটফট করার মতো পরিস্থিতি কখনোই দেখা যায় না। সিয়াম ব্যতীত আমরা কি কখনো কল্পনা করতে পারি— সারাদিন না খেয়ে কাটিয়ে দেব? পানাহারের পর্যাপ্ত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অনাহারে কাটাব? পারি না।

দুই বেলা খাবারের মধ্যকার বিরতি একটু দীর্ঘায়িত হলেই আমরা ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ি। অথচ সিয়ামের নিয়তে অনায়াসেই কাটিয়ে দিচ্ছি সারাদিন। এ থেকে আমরা এ শিক্ষাও পাই— আল্লাহর বিধান পালনে আমরা যখন হিম্মত করে এগিয়ে যাব, সাধ্যের সবটুকু আমরা বিলিয়ে দেব, আল্লাহ তাআলার সাহায্য তখন আমাদের সঙ্গে থাকবে। আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এ সাহায্য কেবলই সিয়ামসাধনার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়, দ্বীন ও শরীয়তের প্রতিটি বিধানেই তা পাওয়া যাবে। সে সাহায্য কীভাবে আসবে, কিছুটা হয়তো আমরা অনুমান করতে পারব, কিন্তু এর বড় অংশই আমাদের কল্পনা ও বিবেচনার বাইরেই থাকে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন—

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِنْ تَنْصُرُوا اللهَ یَنْصُرْكُمْ وَ یُثَبِّتْ اَقْدَامَكُمْ.

যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর (অর্থাৎ আল্লাহর দ্বীন মেনে চল), তবে তিনি তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা (দ্বীনের ওপর) অবিচল রাখবেন। —সূরা মুহাম্মাদ (৪৭) : ৭

সিয়ামের মাস রমযানে আমরা যদি এ শিক্ষাগুলো হাসিল করতে পারি, তাকওয়াকে যদি আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ধারণ করতে পারি, তবে সন্দেহ নেই, এতে আলোকিত হবে আমাদের দুনিয়ার জীবন, সমৃদ্ধ হবে আমাদের পরকাল। আল্লাহ তাআলার ঘোষণা—

وَ مَنْ یَّتَّقِ اللهَ یَجْعَلْ لَّهٗ مَخْرَجًا،وَّ یَرْزُقْهُ مِنْ حَیْثُ لَا یَحْتَسِبُ .

যে কেউ আল্লাহকে ভয় করে চলবে, তিনি তার জন্যে (সংকট থেকে) বের হওয়ার পথ করে দেবেন এবং তাকে এমনভাবে রিযিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না। —সূরা তালাক (৬৫) : ২-৩

وَ مَنْ یَّتَّقِ اللهَ یُكَفِّرْ عَنْهُ سَیِّاٰتِهٖ وَ یُعْظِمْ لَهٗۤ اَجْرًا.

যে কেউ আল্লাহকে ভয় করবে, তিনি তার গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তার পুরস্কার অনেক বাড়িয়ে দেবেন। —সূরা তালাক (৬৫) : ৫

এর পরে একজন মুমিনের আর কী চাই!

Comments

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    - আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

    সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ
    ক্যাটাগরি সমূহ
    ট্যাগ সমূহ
    error: অনুগ্রহ করে লেখাটি কপি করবেন না। লিংক শেয়ার করুন। ধন্যবাদ