Post Updated at 23 Sep, 2024 – 9:38 PM
সকল মন্দই পরিত্যাজ্য। সুস্থ বিবেকসম্পন্ন একজন মানুষ কখনোই জেনেবুঝে মন্দ কাজে জড়িয়ে পড়তে পারে না। পারে না অপরকে মন্দের প্রতি ডাকতে কিংবা পথ দেখাতে । বরং সে অন্যকে মন্দ থেকে বাধা দেয়; সাধ্যমতো প্রতিহত করে। এটা তার বিবেকের দাবি। এটাই তার ও সমাজের পক্ষে কল্যাণকর। মন্দ কাজ থেকে আমরা কী করে বেঁচে থাকতে পারি- সে ব্যাপারে শরিয়তের রয়েছে কয়েক স্তরের নির্দেশনা। সে নির্দেশনাগুলো নিয়েই আজকের আলোচনা।
মন্দ চিন্তা হতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করা
চিন্তাই হলো সকল কাজের মূল বা সূচনা। আর বাস্তবায়ন হচ্ছে তার চূড়ান্ত পর্ব। তাই মন্দ চিন্তা ও মন্দ কাজের চিন্তা থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে শরিয়ত। কখনও যদি শয়তান অন্তরে মন্দ চিন্তার উদয় ঘটায় বা মন্দ কাজের প্রতি প্ররোচিত করে সেক্ষেত্রে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। সূরা আল-আ‘রাফে আল্লাহ তাআলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ করে বলেন:
وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ
‘যদি শয়তানের পক্ষ হতে তোমাকে কোনও কুমন্ত্রণা দেওয়া হয়, তবে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর।’ [সূরা আল-আ‘রাফ : ২০০]
এ আয়াতে সকল মুুমিনকে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যে, শয়তান মনে কখনও মন্দ ভাবনার প্রতি প্ররোচনা দিলে সঙ্গে- সঙ্গে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত।
মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকা
সূরা বনী-ইসরাইলে আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا
‘তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয়ই তা অশ্লীল এবং পথ হিসেবেও মন্দ।’ [সূরা বনী-ইসরাইল: ৩২]
এর এক আয়াত পরে আল্লাহ তায়ালা আবার বলেন:
وَلَا تَقْرَبُوا مَالَ الْيَتِيمِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ حَتَّى يَبْلُغَ أَشُدَّهُ
‘এতিম পরিপক্কতায় উপনীত হওয়ার আগে সর্বোত্তম পন্থা ব্যতীত তার সম্পদের কাছেও যেও না। ’ [সূরা বনী-ইসরাইল: ৩৪]
ব্যভিচার ও অন্যায়ভাবে এতিমের সম্পদ গ্রহণ উভয়ই প্রশ্নাতীতভাবে মন্দ। এ বিষয়ে কারও দ্বিধা থাকার কথা নয়। এমন মন্দে যেন কেউ জড়িয়ে না পড়ে- সেজন্যই আল্লাহ তাআলা এ সবের কাছে যেতেই নিষেধ করেছেন, সুস্পষ্ট শব্দে। একই কথা অন্য সকল মন্দের বেলায়ও।
অনত্র আল্লাহ তাআলা বলেন:
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ
‘সুতরাং তোমরা অপবিত্রতা অর্থাৎ মূর্তিগুলো থেকে দূরে থাকো এবং মিথ্যা কথা থেকেও দূরে থাকো।’ [সূরা আল হজ: ৩০]
মূর্তিপুজা শরিয়তের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় মন্দ কাজ। আর মিথ্যা কথা সকলের দৃষ্টিতেই মন্দ। আল্লাহ তাআলা উভয় রকম মন্দ থেকেই দূরে থাকতে আদেশ করেছেন।
প্রকাশ্যে মন্দ কাজে না জড়ানো
কেউ যদি কোনও কারণে মন্দ কাজ করে ফেলে তাহলে সেটাও যেন প্রকাশ্যে না হয়- সেই নির্দেশনা দিয়েছে শরিয়ত। কারণ প্রকাশ্যে মন্দ কাজ করা হলে অন্য কেউ সেই কাজের প্রতি আগ্রহবোধ করার আশঙ্কা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
لَّا يُحِبُّ اللَّهُ الْجَهْرَ بِالسُّوءِ مِنَ الْقَوْلِ إِلَّا مَن ظُلِمَ
‘আল্লাহ মন্দ কথা প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে যার ওপর জুলুম করা হয়েছে তার কথা ভিন্ন।’ [সূরা নিসা: ১৪৮]
মন্দ কথা প্রকাশ করা বা প্রকাশ্যে মন্দ কথা বলা আল্লাহ পছন্দ করেন না। সুতরাং প্রকাশ্য মন্দ কাজ যে আল্লাহর অপছন্দ সে কথা বলাই বাহুল্য।
তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসে প্রকাশ্যে গুনাহকারীদের ব্যাপারে কঠিন ধমকি উচ্চারিত হয়েছে। তিনি বলেন:
আমার উম্মতের প্রত্যেকেই ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে, কিন্তু প্রকাশ্যে গুনাহকারীগণ নয়। [সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬০৬৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৯৯০]
মন্দ কাজে সাহায্য না করা
সূরা মায়িদাতে আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
‘তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে একে অন্যকে সহযোগিতা করো। পাপ ও জুলুমের কাজে কেউ কাউকে সহযোগিতা করো না।’ [সূরা মায়িদাহ: ২]
সমাজের কেউ যখন কোনো মন্দ কাজে জড়িয়ে পড়ে, এরপর অন্য কেউ তাকে সে কাজে সহযোগিতা করে কিংবা তাকে সমর্থন করে, তখন সে এ মন্দ কাজের প্রতি আরও বেশি প্ররোচিত হয়। তার মন্দ কাজ আগের তুলনায় অধিক গতিশীল হয়। তাই আল্লাহ তাআলা আমাদের নিষেধ করেছেন তোমরা পাপের কাজে, অন্যায়ের কাজে, অবিচারের কাজে একে অপরের সহযোগী হবে না। স্বাভাবিক কথা, যখন কেউ নিজের কোনো কাজে সমাজের কারও সহযোগিতা বা সমর্থন পাবে না, এমনকি সে সমাজে অবাঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় থাকবে, তখন সে মন্দ কাজের প্রতি একপর্যায়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে এবং সেই কাজ থেকে ফিরে আসবে।
সামর্থ্য থাকলে বাধা দেয়া
আল্লাহ তাআলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হুকুম করে বলেন:
ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ السَّيِّئَةَ
‘আপনি মন্দের মোকাবেলা করুন এমন পন্থায় যা উত্তম।’ [সূরা আল মু‘মিনূন: ৯৬]
অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা মুমিনদেরকে আদেশ করে বলেন:
وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ ۚ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
‘তোমাদের মধ্যে যেন এমন একটি দল থাকে যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে ডাকবে, সৎকাজের আদেশ করবে ও মন্দ কাজে বাধা দেবে। এরাই সফল।’ [সূরা আল-ইমরান: ১০৪]
এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুমিনদের মধ্যে এমন এক বিশেষ দল থাকার আদেশ করেছেন যাদের দায়িত্ব হিসেবে ঘোষণা করেছেন- সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করা। আরেক আয়াতে এ বিষয়টিকে আরও ব্যাপক করে দেয়া হয়েছে। যেমন ইরশাদ হয়েছে-
كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ
‘(হে মুসলিমগণ,) তোমরা সেই শ্রেষ্ঠতম দল, মানুষের কল্যাণের জন্য যাদের অস্তিত্ব দান করা হয়েছে। তোমরা সৎকাজের আদেশ করে থাক ও অন্যায় কাজে বাধা দিয়ে থাক।’ [সূরা আল-ইমরান: ১১০]
তেমনিভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মন্দ কাজে বাধা প্রদানকে ঈমানের অপরিহার্য দাবি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন: ‘তোমাদের কেউ কোন অন্যায় দেখলে সে যেন হাত দিয়ে তা প্রতিহত করে। যদি সে তাতে সক্ষম না হয়, তবে যেন সে মুখে এর প্রতিবাদ করে। আর যদি সে তাতেও সক্ষম না হয়, তবে সে যেন অন্তরে তা ঘৃণা করে। আর এটা ঈমানের দুর্বলতম স্তর।’ [মুসলিম, হাদীস: ৪৯]
এ হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মন্দ কাজে বাধা প্রদানের আদেশ দিয়েছেন। সরাসরি বাধা প্রদানে সক্ষমতা না থাকলেও সকলেরই এটুকু সক্ষমতা অবশ্যই আছেÑ সে মনে মনে ঐ মন্দ কাজকে ঘৃণা করবে এবং তা প্রতিহত করার ইচ্ছা রাখবে। আর কেউ যদি এই ইচ্ছাটুকুও না রাখে তাহলে সে যেন মুমিনই থাকল না। এটাই যে ঈমানের সর্বনিম্ন স্তর।
মন্দ কাজে প্রতিযোগিতা না করা
সূরা তাকাসুর এর প্রথম তিন আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন:
أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ () حَتَّىٰ زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ () كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ ()
‘(পার্থিব ভোগ সামগ্রীতে) একে অন্যের উপর আধিক্য লাভের প্রচেষ্টা তোমাদেরকে উদাসীন করে রাখে। যতক্ষণ না তোমরা কবরস্থানে পৌঁছ। কিছুতেই এরূপ সমীচীন নয়, শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে।’ [সূরা তাকাসুর: ১-৩]
উপরের আয়াতগুলোতে আল্লাহ মানুষের স্বভাবজাত বিষয় অর্থাৎ দুনিয়ার বিষয়াদিতে অন্যের চেয়ে এগিয়ে থাকার যে আমরণ চেষ্টাÑ তার নিন্দা করেছেন। স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন: এরুপ করা কিছুতেই সমীচীন নয়।
বাধা না দিলে অভিশাপ ও ধ্বংসের ধমকি
রপরও যদি কোনো সমাজের লোকেরা একে অপরকে মন্দ কাজ থেকে বাধা না দেয় তাহলে সেক্ষেত্রে কুরআন ও হাদীসে উচ্চারিত হয়েছে কঠিন হুঁশিয়ারি। বনী ইসরাইল লানতপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন:
كَانُوا لَا يَتَنَاهَوْنَ عَن مُّنكَرٍ فَعَلُوهُ ۚ لَبِئْسَ مَا كَانُوا يَفْعَلُونَ
‘তারা যেসব অসৎ কাজ করত তাতে একে অন্যকে নিষেধ করত না। তারা যা করত তা কতই না নিকৃষ্ট।’ [সূরা আল মায়িদাহ: ৭৯]
দেখা গেল, একটি জাতি অভিশপ্ত হওয়ার অন্যতম কারণ ছিলÑ অন্যায় কাজে একে অপরকে বাধা না দেওয়া। এ কথাটি আরও সুস্পষ্টভাবে বিবৃত হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র হাদীসে। তিনি বলেন: ‘সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, অবশ্যই তোমরা সৎকাজের আদেশ করো এবং অসৎ কাজের নিষেধ করো। আর না হয় আল্লাহ তাআলা অতি শিগগিরই তোমাদের ওপর তার শাস্তি অবতীর্ণ করবেন। তখন তোমরা তার নিকট দোয়া করলেও তিনি তোমাদের সেই দোয়া কবুল করবেন না।’ [তিরমিযী, হাদীস: ২১৬৯]
উপরোক্ত আয়াত ও হাদিসে আমরা দেখতে পাই- একটি সমাজ বা জাতির কেউ যখন অন্যায়কারীকে তার অন্যায় কাজে বাধা না দেয় তখন তা হয়ে ওঠে তাদের সকলের অভিশপ্ত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ। আল্লাহ তাআলার দরবারে তাদের দোয়া কবুলের পথও বন্ধ হয়ে যায়। তখন ধ্বংস হওয়া ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা থাকে না।
মন্দ কাজে জড়িয়ে পড়া ব্যক্তির করণীয়
কোনো কারণে যে মন্দ কাজে জড়িয়ে পড়ে তার কী করা উচিত? একবার কোনো মন্দ কাজে জড়ালে কি তার সকল দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়? না তার জন্য রয়েছে প্রায়শ্চিত্বের সুযোগ?
আল্লাহ কখনই বান্দার অমঙ্গল চান না। বান্দা যতই বিপথগামী হোক আল্লাহ তার জন্য ফিরে আসার অসংখ্য দরজা উন্মুক্ত রেখেছেন। তাই বান্দার জন্য তখন করণীয় হবে- তওবার মাধ্যমে আল্লাহ কাছে ফিরে যাওয়া। তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। ভবিষ্যতে ঐ কাজ না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা। তবেই আল্লাহ তাকে আবৃত করে নেবেন রহমের চাদরে।
ইরশাদ হয়েছে-
وَالَّذِينَ عَمِلُوا السَّيِّئَاتِ ثُمَّ تَابُوا مِن بَعْدِهَا وَآمَنُوا إِنَّ رَبَّكَ مِن بَعْدِهَا لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ
‘আর যারা মন্দ কাজ করে ফেলে তারপর তাওবা করে নেয় ও ঈমান আনে, তোমার প্রতিপালক সেই তাওবার পর (তাদের প্রতি) অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ [সূরা আল আ‘রাফ: ১৫৩]
আমরা সকলেই যদি ভালো-মন্দের পার্থক্য বুঝি, ভালোর সুফল ও মন্দের কুফল যথাযথ অনুধাবন করতে পারি, নিজে মন্দ থেকে দূরে থাকি এবং অন্যকেও মন্দ ও অন্যায় থেকে দূরে রাখার চেষ্টায় সক্রিয় হই তবেই আমাদের জীবন, আমাদের সমাজ হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও আলোকময়। দুনিয়া-আখেরাতে আমরা হব সফলদের অন্তর্ভুক্ত।
লেখাটি প্রস্তুত করেছেন : মাওলানা সাকিব মাহমুদ, শিক্ষক, জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া ঢাকা
Comments (7)
জুবায়ের আহমাদsays:
September 25, 2024 at 2:18 PMখুব উপকৃত হলাম।
আল হামদুলিল্লাহ
আকিবুর ইসলামsays:
September 26, 2024 at 6:09 PMমাশাআল্লাহ
Md Mannansays:
September 27, 2024 at 5:45 AMআলহামদুলিল্লাহ খুবই উপকৃত হলাম এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলো বেশি বেশি দেখতে চাই
রাফসানের আম্মিজানsays:
September 27, 2024 at 10:55 PMআলহামদুলিল্লাহ স্বল্প কথায় বিস্তৃত জ্ঞান পেলাম।
আল আমিনsays:
September 29, 2024 at 4:09 AMআলহামদুলিল্লাহ
মোতাহার হুসাইনsays:
October 1, 2024 at 4:54 PMমা শা আল্লাহ্ অনেক সুন্দর আলোচনা হয়েছে 😍। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন আমীন।
Shokat ali mondalsays:
October 4, 2024 at 12:42 AMSuper