
Post Updated at 11 Apr, 2025 – 10:26 PM
গাজা নিয়ে কিছু বলার, কিছু লেখার শক্তিও যেন শেষ হয়ে যাচ্ছে আমাদের! এক জালেম ইসরাইল, আরেক জালেম আমেরিকা। দুই জালেম মিলে গত ১৭ রমযান থেকে গাজায় যা করছে, তা কি ভাষায় ব্যক্ত করা সম্ভব! না, সম্ভব নয়। তাদের বর্বরতা, পাশবিকতা, কপটতা আর হিংস্রতা ব্যক্ত করার ভাষা আমাদের জানা নেই। এর পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর শাসকবর্গও বিস্ময়কর নীরবতা অবলম্বন করছে। এ নীরবতাকে ধিক্কার জানানোর ভাষাও আমাদের কাছে নেই।
গাজার অসহায় মাজলুম ভাইবোনদের জন্যে এবং আমেরিকা-ইসরাইলের হিংস্রতার প্রতিবাদে আমরা কী করতে পারি? এ প্রশ্নের জবাবে তিনটা মোটাদাগের কথা এখানে বলতে চাই—
এক. পণ্য বয়কট
আমেরিকা-ইসরাইলের সব পণ্য বয়কট করতে হবে। এ বয়কটে এগিয়ে আসতে হবে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলকেই। প্রতিটি মুসলমান সাধ্যমতো এ বয়কটে শরিক হবে। ক্ষেত্রবিশেষে এ বয়কট কঠিন মনে হতে পারে, কিংবা তাদের কোনো পণ্য গুণে-মানে অতুলনীয় হতে পারে। কিন্তু আপনি যখন ঈদের পোশাক পরা শিশুদের রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবি দেখবেন, হাসপাতালে স্কুলে কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রে হামলার দৃশ্য দেখবেন, তখন আপনার বিবেক আপনাকে ওদের পণ্য কেনাবেচায় বাধা দেবেই। যে পণ্যের একটা লভ্যাংশ বুলেট হয়ে বোমা হয়ে আঘাত হানছে গাজার শিশু আর নারীদের উপর, বিবেকবান কোনো মানুষ—মুসলিম কিংবা অমুসলিম যাই হোক না কেন—এ পণ্যটা নিয়ে ব্যবসা করতে পারে না।
পণ্য বয়কটের মাঝে ডিজিটাল পণ্যও বয়কটের চেষ্টা করতে হবে। যতটুকু না ব্যবহার করলেই নয় এর চেয়ে বেশি ফেসবুক-ইউটিউব ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। অনেকেই ফেসবুক-গুগলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। চেষ্টা করুন ফেসবুক-গুগলে বিজ্ঞাপনের জন্য টাকা খরচ না করে বিকল্প মাধ্যম খুঁজে বের করার। বিকল্প মাধ্যম প্রতিষ্ঠা করার। ফেসবুক-ইউটিউবের বিকল্প মুসলিমদের কিছু প্ল্যাটফর্ম এখন কাজ করার চেষ্টা করছে। তাদের পাশে থাকুন, তাদেরকে সহযোগিতা করুন।
- ইউটিউবের হালাল বিকল্প – মাহফিল অ্যাপ
- ফেসবুকের হালাল বিকল্প – হিকমাহ অ্যাপ (ডেভেলপমেন্ট চলমান)
দুই. দুআ
দুআ কবুলের যে মুহূর্তগুলো প্রতিদিনই আসে, যেমন, শেষ রাত কিংবা প্রতিটি ফরজ নামাযের পর, এ মুহূর্তগুলোতে অধিক পরিমাণে দুআ করা। নিজের প্রয়োজনের কথা বলার জন্যে আল্লাহ তাআলার দরবারে হাত তুললে গাজাবাসীর জন্যেও দুআ করা। এমনকি কখনো কখনো শুধু তাদের জন্যেই দুআ করা। শাইখুল ইসলাম মাওলানা তাকী উসমানী দা.বা. তো বলেছেন প্রতিদিন কিছু সময় হলেও তাদের জন্যে দুআ করা।
তিন. আর্থিক সহযোগিতা
গাজার মাজলুম ভাইবোনদের সহযোগিতা করার নানা সুযোগ এখন সামনে আসছে। বিশ্বস্ত অনেক মাধ্যম পাওয়া যাচ্ছে তাদের সহযোগিতা করার। সেসব মাধ্যম যাদের জানা আছে, তাদের কর্তব্য, সাধ্যমতো তাতে শরিক থাকা এবং অন্যদের কাছেও এ দাওয়াত পৌঁছে দেয়া।
উম্মাহর একজন নগন্য সদস্য হিসেবে এ কাজগুলো আমাদের করতেই হবে। আমাদের নিজেদেরকে এবং সন্তানদেরকে ঈমানের বলে বলীয়ান হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে জাগতিক বিষয়েও দক্ষ ও যোগ্য হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। যেন তারা এ অবস্থার পরিবর্তনে কন্ট্রিবিউট করতে পারে। আমরা নিরাপদ আছি বলে তাদের বিষয়ে আমাদের নির্লিপ্ত কিংবা উদাসীন থাকার সুযোগ নেই। অন্যথায় আল্লাহ তাআলার দরবারে আমাদের জবাবদিহি করতেই হবে।
Comments (7)
মিতাsays:
April 12, 2025 at 5:54 AMএই সহিংসতা যেন আর সহ্য করা যায় না,আল্লাহ কবে এই জালেমের বিচার হবে কবে?
Moniruzzamansays:
April 12, 2025 at 8:53 AMAllah amader filistin vai bonder rakhha Karun,ihudi khristander upor muslimder bijoi din.amader Iman mojbut kore din.
সুচিতাsays:
April 12, 2025 at 11:15 AMমহান আল্লাহ তায়ালা আমার গাজাবাসী ভাই বোনদের রক্ষা করুন
Tamimsays:
April 12, 2025 at 11:48 AMআল্লাহ আপনি মুসলিমদের বিজয় দিন
কাফের মুশরিকদের ধংস করুন
ফিলিস্তিনসহ সকল অত্যাচারিত নিপিড়ীত মুসলমানদের হেফাজত করুন নিশ্চয় আপনি সর্বশক্তিমান
TANIN AHMEDsays:
April 12, 2025 at 12:40 PMসুন্দর উদ্যোগ, আমরা মুসলিমরা ইহুদি পণ্য তথা ডিজিটাল থেকেও দূরে আসতে পারি। আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। আমিন
Saeed bin Sirazsays:
April 12, 2025 at 6:28 PMহে আল্লাহ্ আপনি আমাদের ঈমানী শক্তি বাড়িয়ে দিন আর সারা বিশ্বের মুসলিমদের হেফাজত করুন।
Mojammelsays:
April 12, 2025 at 8:19 PMআল্লাহ আমাদের ঈমানকে আরো শক্তিশালী করে দিন। আমিম