Post Updated at 29 Feb, 2024 – 10:13 PM
মাজুর ব্যক্তির পরিচয়
যে সকল কারণে ওজু ভেঙ্গে যায়, যদি কারও সেগুলোর কোনো এক বা একাধিক বিষয় অনবরত কিংবা খুব ঘন ঘন ঘটতে থাকে, যার কারণে সে ওজু করে পবিত্র অবস্থায় শুধু ফরজ নামাজটুকু পড়ারও সুযোগ পাচ্ছে না, এর মধ্যেই আবার ওজু ভেঙ্গে যাচ্ছে এমন ব্যক্তিকে ‘মাজুর’ বলা হয়। যেমন, কারও নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে, কারও প্রস্রাবের ফোটা বন্ধ হচ্ছে না, কারও ক্ষতস্থান থেকে অনবরত রক্ত ঝরছে ইত্যাদি।
এমন কোনো সমস্যা ও ওজরের কারণে নামাজের সম্পূর্ণ ওয়াক্তের মধ্যে যদি এতটুকু সময় না পাওয়া যায়, যাতে ওজুর শুধু ফরজ অঙ্গগুলো ধুয়ে শুধু ফরজ নামাজটুকু আদায় করা যায়, তাহলে সে ব্যক্তি মাজুর বলে গণ্য হবে।
মাজুর ব্যক্তির ওজুর বিধান
মাসআলা : মাজুর ব্যক্তি নামাজের প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্যে নতুন নতুন ওজু করবে। কোনো এক নামাজের ওয়াক্ত আসার পর একবার ওজু করলে সেই ওজু দিয়ে ওয়াক্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত যত ইচ্ছা ফরজ-নফল নামাজ পড়তে পারবে। এক নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে পরবর্তী ওয়াক্তের জন্যে নতুন করে আবার ওজু করতে হবে।
মাসআলা : যে কারণে কেউ মাজুর হলো, এক নামাজের ওয়াক্তে একবার ওজু করার পর সে কারণ যতই ঘটুক এতে ওজু ভাঙ্গবে না। যেমন, কারও নাক দিয়ে অনবরত রক্ত ঝরছে। একারণে সে মাজুর। জোহরের সময় শুরু হওয়ার পর যদি সে ওজু করে তাহলে জোহরের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণে তার ওজু ভাঙ্গবে না। তবে ওজু ভাঙার অন্য কোনো কারণ যদি ঘটে থাকে, তাহলে ওজু ভেঙ্গে যাবে।
মাসআলা : একবার মাজুর হওয়ার পর (অর্থাৎ কোনো একটি নামাজের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত এমনভাবে অতিক্রান্ত হলো, যাতে সে ওজু করে পবিত্র অবস্থায় নামাজ আদায় করার মতো সুযোগ পায় নি) যদি পরবর্তী ওয়াক্তগুলোতে একবার করে হলেও সেই ওজর প্রকাশ পায় তাহলেই সে মাজুর থাকবে। কিন্তু যদি একটি সম্পূর্ণ ওয়াক্ত এমন যায় যাতে সে ওজরটি একবারও দেখা দেয় নি, তাহলে সে আর মাজুর থাকবে না।
Leave a Reply