Post Updated at 24 Nov, 2023 – 10:00 AM
মাজুর ব্যক্তির পরিচয়
যে সকল কারণে ওজু ভেঙ্গে যায়, যদি কারও সেগুলোর কোনো একটি বিষয় অনবরত কিংবা খুব ঘন ঘন ঘটতে থাকে, যার কারণে সে ওজু করে নামাজ পড়ারও সুযোগ পাচ্ছে না, এর মধ্যেই আবার ওজু ভেঙ্গে যাচ্ছে এমন ব্যক্তিকে ‘মাজুর’ বলা হয়। যেমন, কারও নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে অথবা কারও প্রস্রাবের ফোটা বন্ধ হচ্ছে না ইত্যাদি।
এমন কোনো সমস্যা ও ওজরের কারণে নামাজের সম্পূর্ণ ওয়াক্তের মধ্যে যদি এতটুকু সময় না পাওয়া যায়, যাতে ওজুর শুধু ফরজ অঙ্গগুলো ধুয়ে শুধু ফরজ নামাজটুকু আদায় করা যায়, তাহলে সে ব্যক্তি মাজুর বলে গণ্য হবে। আর যদি শেষ সময়ে হলেও এভাবে নামাজ আদায় করার মতো সময় পাওয়া যায় তাহলে সে ব্যক্তি মাজুর হবে না।
মাজুর ব্যক্তির ওজুর বিধান
মাজুর ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের জন্যে নতুন নতুন ওজু করবে। কোনো এক নামাজের ওয়াক্ত আসার পর একবার ওজু করলে সেই ওজু দিয়ে ওয়াক্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত যত ইচ্ছা নামাজ পড়তে পারবে। এক নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে পরবর্তী ওয়াক্তের জন্যে নতুন করে আবার ওজু করতে হবে।
যে কারণে কেউ মাজুর হলো, এক নামাজের ওয়াক্তে একবার ওজু করার পর সে কারণ যতই ঘটুক এতে ওজু ভাঙ্গবে না। যেমন, কারও নাক দিয়ে অনবরত রক্ত ঝড়ছে। একারণে সে মাজুর। জোহরের সময় শুরু হওয়ার পর যদি সে ওজু করে তাহলে জোহরের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণে তার ওজু ভাঙ্গবে না। তবে ওজু ভাঙার অন্য কোনো কারণ যদি ঘটে থাকে, তাহলে ওজু ভেঙ্গে যাবে।
একবার মাজুর হওয়ার পর (অর্থাৎ কোনো একটি নামাজের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত এমনভাবে অতিক্রান্ত হলো, যাতে সে ওজু করে নামাজ আদায় করার মতো কোনো সুযোগ পায় নি) যদি পরবর্তী ওয়াক্তগুলোতে একবার করে হলেও সেই ওজর প্রকাশ পায় তাহলেই সে মাজুর। ওয়াক্তের শুরুতে একবার ওজু করে নিলে সেই ওজরের কারণে তখন আর ওজু ভাঙ্গবে না। কিন্তু যদি একটি সম্পূর্ণ ওয়াক্ত এমন যায় যাতে সে ওজরটি একবারও দেখা দেয় নি, তাহলে সে আর মাজুর থাকবে না।