1 view
Post Updated at 30 Jan, 2025 – 12:08 PM
দাঁড়ানো অবস্থায়
- সোজা হয়ে দাঁড়ানো। মাথা সামনে বা পেছনে ঝুঁকে থাকবে না। [রদদুল মুহতার, ২/১৭১]
- তাকবিরে তাহরিমার সময় এমনভাবে হাত তোলা, যেন দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি কান বরাবর থাকে। [সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৪০১; আদদুররুল মুখতার, ২/১৭০]
- হাত তোলার সময় হাতের তালু এবং আঙ্গুলগুলো কেবলামুখী করে রাখা। [রদদুল মুহতার, ২/১৭১]
- হাত তোলার সময় হাতের আঙ্গুলগুলো স্বাভাবিকভাবে রাখা, একেবারে মিলিয়েও নয়, আবার পুরোপুরি ছড়িয়েও নয়। [রদদুল মুহতার, ২/১৭১]
- জামাতের নামাযে ইমাম সাহেবের জন্যে উচ্চস্বরে তাকবির বলা সুন্নত। [আদদুররুল মুখতার, ২/১৭১]
- নাভির নীচে হাত বাঁধা। হাত বাঁধার নিয়ম হচ্ছে- ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কনিষ্ঠাঙ্গুলি দিয়ে বাম হাতের কব্জি বৃত্তাকারে ধরে অবশিষ্ট তিন আঙ্গুল বাম হাতের পিঠে সোজা বিছিয়ে দেয়া। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৭৫৬, ৭৫৮; ফতোয়ায়ে আলমগীরী, ১/৭৩; আদদুররুল মুখতার, ২/১৭২]
- তাকবিরে তাহরিমার পর আস্তে আস্তে ছানা পড়া। [সুনানে নাসাঈ, হাদীস : ৯০০; আদদুররুল মুখতার, ২/১৭২]
- এরপর আস্তে আস্তে আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়া। [শারহু মাআনিল আছার, হাদীস : ১২০৮; আদদুররুল মুখতার, ২/১৭২]
- সূরা ফাতেহা শেষে আস্তে আমীন বলা। [সহীহ বুখারী, হাদীস : ৭৮২, জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৪৮; আদদুররুল মুখতার, ২/১৭২]
- বিতির নামাযের তৃতীয় রাকাতে দোয়ায়ে কুনুত পড়ার পূর্বে তাকবির বলা। [আদদুররুল মুখতার, ২/১৭৫]
- দোয়ায়ে কুনুত পড়ার পূর্বে তাকবির বলার সময় তাকবিরে তাহরিমার মতো দুই হাত তোলা, পরে দুই দিকে ছেড়ে না দিয়ে আগের মতোই হাত বেঁধে রাখা। [ইমাম বুখারী, জুযউ রফইল ইয়াদাইন, হাদীস : ১৬৩]
- ফরয নামাযের তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে সূরা ফাতেহা পড়া।
রুকুতে
- তাকবির বলতে বলতে রুকুতে যান। [সহীহ বুখারী, হাদীস : ৭৮৯; আদদুররুল মুখতার, ২/১৭৩]
- রুকুতে দুই হাত দিয়ে দুই হাঁটু ধরে রাখুন এবং হাতের আঙ্গুলগুলো ছড়িয়ে রাখুন। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৭৩১; আদদুররুল মুখতার, ২/১৭৩]
- রুকুতে হাটু পিঠ ও কোমর সোজা করে রাখুন। [তাবারানী, আলমু’জামুল কাবীর, হাদীস : ১৭৮৫৫; রদদুল মুহতার, ২/১৩৪]
- রুকুতে পায়ের নলা ও হাঁটু সোজা করে রাখুন। হাঁটু ভেঙ্গে সামনের দিকে বাকিয়ে রাখবেন না। [রদদুল মুহতার, ২/১৯৭]
- উভয় বাহু পার্শ্বদেশ থেকে পৃথক রাখুন। [সুনানে নাসাঈ, হাদীস : ১০৩৬, ১০৩৭; রদদুল মুহতার, ২/১৯৭]
- অন্তত তিনবার রুকুর তাসবিহ পাঠ করুন। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৮৮৬; আদদুররুল মুখতার, ২/১৭৩]
- রুকু থেকে ওঠার সময় سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حمِدَه এবং ওঠার পর رَبَّنَا لَكَ الْحمْدُ পড়ুন, সম্ভব হলে এর সাথে حمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ ও পড়ুন। [সহীহ বুখারী, হাদীস : ৭৮৯]
একাকী নামায আদায়কারী উভয়টিই পড়বে। আর জামাতের সঙ্গে নামায পড়লে ইমাম সাহেব শুধু سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حمِدَه পড়তে পারেন, উভয়টিও পড়তে পারেন। আর মুকতাদি শুধু رَبَّنَا لَكَ الْحمْدُ পড়বেন। [আদদুররুল মুখতার, ২/১৭৫; রদদুল মুহতার, ২/১৭৫]
সিজদায়
- তাকবির বলতে বলতে সিজদায় যান। [সহীহ বুখারী, হাদীস : ৭৮৯; আদদুররুল মুখতার, ২/১৭৩] (উত্তম হলো, তাকবির শুরু হবে দাঁড়ানো অবস্থায়, শেষ হবে সিজদায় গিয়ে।)
- প্রথমে হাঁটু, পরে হাত, পরে নাক ও এরপর কপাল রাখুন। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৮৩৮; ফতোয়ায়ে আলমগীরী, ১/৭৫;
- সিজদার সময় চেহারা দুই হাতের মাঝে রাখুন। দুই হাত রাখুন কান বরাবর। [সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৪০১, মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ২৫২২; ফতোয়ায়ে আলমগীরী, ১/৭৫]
- সিজদার সময় দুই বাহু মাটিতে না বিছিয়ে মাটি থেকে পৃথক রাখুন। [সহীহ বুখারী, হাদীস : ৮২২]
- দুই হাতের বাহু পার্শ্বদেশ থেকে পৃথক রাখুন। [জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৭০; ফতোয়ায়ে আলমগীরী, ১/৭৫]
- উরু থেকে পেটকে পৃথক রাখুন। [ফতোয়ায়ে আলমগীরী, ১/৭৫]
- হাতের আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে রাখুন।
- হাতের আঙ্গুলগুলো কেবলামুখী করে রাখুন। [ফতোয়ায়ে আলমগীরী, ১/৭৫]
- পায়ের আঙ্গুলগুলো যথাসম্ভব কেবলামুখী করে রাখুন। [সহীহ বুখারী, হাদীস : ৮২৮; ফতোয়ায়ে আলমগীরী, ১/৭৫]
- কমপক্ষে তিনবার তাসবিহ পড়ুন। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৮৮৬; আদদুররুল মুখতার, ২/১৭৩]
- সিজদা থেকে ওঠার সময় তাকবির বলুন। [সহীহ বুখারী, হাদীস : ৭৮৯; আদদুররুল মুখতার, ২/১৭৩]
- সিজদা থেকে ওঠার সময় প্রথমে কপাল পরে নাক এরপর হাত তুলুন। [ফতোয়ায়ে আলমগীরী, ১/৭৫]
- দুই কিংবা চার রাকাতবিশিষ্ট সকল নামাযের প্রথম ও তৃতীয় রাকাতে সিজদা থেকে ওঠার সময় হাঁটুতে ভর করেই সোজা উঠে দাঁড়ান। হাত দিয়ে মাটিতে ভর দেবেন না কিংবা বসবেন না। [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস : ৪০১১; ফতোয়ায়ে আলমগীরী, ১/৭৫]
বসার সময়
- দুই সিজদার মাঝে এবং আত্তাহিয়্যাতুর সময় দুই হাত দুই উরুর উপর রাখুন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৫৭৯; রদদুল মুহতার, ২/১৭৪]
- উভয় হাত উরুর উপর এমনভাবে রাখুন, যেন হাতের আঙ্গুলগুলো হাঁটুর কাছে থাকে। [ইলাউস সুনান, ৩/১০৯-১১০]
- ডান পা খাড়া রাখুন এবং বাম পা বিছিয়ে দিয়ে এর উপর বসুন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৪৯৮; রদদুল মুহতার, ২/১৭৪]
- ডান পায়ের আঙ্গুলগুলো কেবলামুখী করে রাখুন। [সুনানে নাসাঈ, হাদীস : ১১৫৮; ফতোয়ায়ে আলমগীরী, ১/৭৫]
- দুই সিজদার মাঝে رب اغفرلي অথবা اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وارْحمْنِي وعَافِنِي واهْدِنِي وارْزُقْنِي পড়া উত্তম। [সুনানে নাসাঈ, হাদীস ১০৬৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৮৫০]
- শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর দরুদ শরীফ পড়ুন। [জামে তিরমিযী, হাদীস : ৩৪৭৭; আদদুররুল মুখতার, ২/১৭৪]
- দোয়ায়ে মাছুরা পড়ুন। [সহীহ বুখারী, হাদীস : ৮৪৭, জামে তিরমিযী, হাদীস : ৩৪৭৭; আদদুররুল মুখতার, ২/১৭৫]
- নামায শেষে সালাম ফেরানোর সময় প্রথমে ডান দিকে এবং পরে বাম দিকে চেহারা ঘুরান। [সুনানে নাসাঈ, হাদীস : ১৩২৫; রদদুল মুহতার, ২/১৭৫]
- ইমাম সাহেবের জন্যে উঁচু আওয়াজে সালাম ফেরানো সুন্নত।
Leave a Reply