Post Updated at 7 Apr, 2023 – 10:41 AM

প্রতি বছর রমাদানের শেষে আমরা সাদাকাতুল ফিতর প্রদান করে থাকি। যেহেতু এটি বছরে একবার আদায় করে থাকি তাই এর বিধি-বিধান ও মাসআলাগুলো স্বাভাবিকভাবেই প্রতি বছর আমাদের নতুন করে জেনে নিতে হয়।

ফিতরা সম্পর্কিত সকল পোস্ট একত্রে পাওয়া যাবে এখান থেকে। ফিতরা বিষয়ে যে পোস্টগুলো করা হয়েছে তা নিম্নরূপ:

  1. ২০২৩ সালের ফিতরার পরিমাণ ও মাসআলা (আপনি এটি পড়ছেন)
  2. ফিতরা কাকে দেয়া যাবে? কোন সময়ে ফিতরা আদায় করতে হয়?
  3. ফিতরা কেন আমাদের উপর ওয়াজিব হয়েছে? ফিতরা কার উপর ওয়াজিব?
  4. ফিতরা খাদ্য দিয়েই আদায় করতে হবে? নাকি টাকা দিয়েও আদায় করা যাবে?

সাদাকাতুল ফিতর কী?

সাদাকাহ অর্থ দান; ফিতর অর্থ এক মাস রোজা রাখার পর রোজা ভাঙা। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে রোজা ভাঙা উপলক্ষে গরীব-মিসকিনকে যা দান করা হয়, তা-ই সাদাকাতুল ফিতর।

ফিতরার পরিমাণ

সদাকায়ে ফিতর সম্পর্কিত হাদীসগুলো পর্যালোচনা করলে এ বিষয়ে মোট পাঁচ প্রকার খাদ্যের বর্ণনা পাওয়া যায়। এদের নাম ও ফিতরার জন্য পণ্যগুলোর পরিমাণ নিম্নরূপ।

পন্যের নাম ফিতরার পরিমাণ
যব ১ সা’ ৩.৩ কেজি
খেজুর ১ সা’ ৩.৩ কেজি
পনির ১ সা’ ৩.৩ কেজি
কিসমিস ১ সা’ ৩.৩ কেজি
গম বা আটা ০.৫ সা’ ১.৬৫ কেজি

এ পাঁচ প্রকারের মধ্যে যব, খেজুর, পনির ও কিসমিস দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় করতে চাইলে প্রত্যেকের জন্য এক সা’ পরিমান (৩ কেজি ৩০০ গ্রাম) দিতে হবে। আর গম বা আটা দ্বারা আদায় করতে চাইলে আধা ‘সা’ (১ কেজি ৬৫০ গ্রাম) দিতে হবে।

ফিতরা কত টাকা ২০২৩? ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে ঘোষিত ফিতরার পরিমাণ

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ফিতরার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এটা একটা ভালো উদ্যোগ। আলেম সমাজ এটাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। উপরের ৫টা খাদ্যের মধ্যে সবচেয়ে দামী খাবারের দাম আর সবচেয়ে কমদামী খাবারের দামের হিসাব করে তারা এই ফিতরার রেঞ্জ নির্ধারণ করেন। এ বছর (১৪৪৪ হিজরী, ২০২৩ ইং) সাদাকাতুল ফিতরের পরিমাণ তারা এভাবে নির্ধারণ করেছেন:

পন্যের নাম পরিমাণ মূল্য
যব ৩.৩ কেজি ৩৯৬ টাকা
খেজুর ৩.৩ কেজি ১৯৮০ টাকা
পনির ৩.৩ কেজি ২৬৪০ টাকা
কিসমিস ৩.৩ কেজি ১৬৫০ টাকা
গম বা আটা ১.৬৫ কেজি ১১৫ টাকা

কোন পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করব?

প্রশ্ন হচ্ছে যব, খেজুর, পনির ও কিসমিসের মত দামী খাবার দিয়ে আদায় করতে চাইলে এক ‘সা’ আর আটা বা গমের মত কম দামী জিনিস দিয়ে আদায় করলে অর্ধেক ‘সা’ কেন আদায় করতে হয়? এর উত্তর হচ্ছে আরবে নবী (সা) এর সময়ে গমের উৎপাদন কম হত। গম পাওয়া যেত কম, তাই গমের দাম তখন অনেক বেশি ছিল। যেহেতু গমের দাম তখন অনেক বেশি ছিল সে কারণে গম দিয়ে আদায় করতে চাইলে তার জন্য অর্ধেক ‘সা’ পরিমাণ গম সাদকা করলেই আদায় হয়ে যেত। অপরপক্ষে যব, খেজুর, পনির আর কিসমিসের দাম সে সময় কমদাম আর সহজলভ্য হওয়ায়। এগুলো দিয়ে আদায় করতে চাইলে ১ ‘সা’ পরিমাণ দিতে হত।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কোন খাদ্যদ্রব্য দ্বারা ফিতরার পরিমাণ হিসাব করি? আমরা সাধারণত আটা বা গমের মূল্য হিসাব করে এ ফিতরা আদায় করি। ধনী-গরীব সকলেই একই পদ্ধতিতে একই মূল্যে তা আদায় করি। অথচ দান করার সময় উত্তম বস্তু দান করা, পছন্দনীয় বস্তু দান করা, ভালো মানের বস্তু দান করা—এসবের প্রতি পবিত্র কুরআন ও হাদীসে বারবার উৎসাহিত করা হয়েছে।  তাই আমাদের উচিত, এ দানের ক্ষেত্রেও আমাদের সর্বোচ্চ সাধ্য ব্যয় করা। ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ হিসেবে তা আদায় করে দায়মুক্তি পাওয়ার মানসিকতা পরিহার করা।

আমাদের মনে রাখা উচিত, এ সাদাকাতুল ফিতর একটি ওয়াজিব দান। যাদের নিসাব পরিমাণ সম্পদ আছে তাদের জন্যে এ দান ওয়াজিব। আর রমজান মাসে একটি  ওয়াজিব আদায় করলে অন্য সময়ের সত্তরটি ওয়াজিব আদায় করার সওয়াব আমরা পেতে পারি।

আরেকটি বিষয়, আমরা তো আমাদের জীবনের নানা ক্ষেত্রেই আমাদের আর্থিক সংগতির বিষয়টি বিবেচনায় রাখি। আর্থিক সামর্থ অনুসারে আমরা জামাকাপড় কিনি। সামর্থ অনুসারে আমরা কুরবানির পশুও কিনে থাকি। তবে সাদাকাতুল ফিতর আদায়ের সময় কেন এ সামর্থের বিবেচনা নয়?

রমজান মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি দান করতেন। বলাবাহুল্য, নফল দানের তুলনায় ওয়াজিব দানের সওয়াব অনেক অনেক বেশি। তাই আসুন, আমরা সাধ্যমতো বেশি দামের পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করি।

এমনও হতে পারে, আপনার পরিবারের সকলের পক্ষ থেকে খেজুরের মূল্য হিসাব করে ফিতরা আদায় করার সামর্থ আপনার নেই। কিন্তু ১-২ জনের ফিতরা এ খেজুরের মূল্য দিয়ে আদায় করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যে কজনের পক্ষ থেকে খেজুর-কিসমিস দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারেন, তা করুন। বাকিদের পক্ষ থেকে আটা দিয়েই আদায় করুন। তবুও আশা করা যায়, আপনি এমন একটি সুন্নতের ওপর আমলকারী হিসেবে বিবেচিত হবেন, যে সুন্নতটি এখন মৃতপ্রায়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ফিতরার হার নির্ধারণ ও কিছু কথা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে বলা হয়ে থাকে, পণ্যগুলোর স্থানীয় বাজারমূল্যে তারতম্য হতে পারে। সে অনুযায়ী নিজ নিজ এলাকার বাজারমূল্য অনুযায়ী প্রদান করলেও আদায় হয়ে যাবে। এছাড়াও এখানে পণ্যগুলোর যে মূল্য দেয়া আছে সেগুলোর ক্ষেত্রে পণ্যের মান অনুযায়ী মূল্যের তারতম্যও হওয়া সম্ভব

যেমন ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম খেজুরের মূল্য ধরা হয়েছে ১৯৮০ টাকা। আমরা জানি উন্নত জাতের আজওয়া খেজুরের প্রতি কেজির দামই আছে প্রায় ২০০০ টাকা। সেক্ষেত্রে আমাদের যাদের সামর্থ্য আছে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের খেজুরের মূল্যকে আদর্শ না ধরে আজওয়া খেজুরের দাম হিসাব করে ৬৬০০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে পারেন। আবার আরেকটু কম দামের খেজুর যেন ৩২০ টাকা কেজির দাব্বাস খেজুরের দাম হিসাব করে (৩২০ * ৩.৩) = ১০৫৬ টাকা প্রদান করতে পারেন।

অনেকে এমন আছেন, যারা সর্বনিম্ন পরিমাণে ফিতরা আদায় করতে চান না, আবার ৫০০ টাকা কেজির খেজুর হিসেবে ফিতরা আদায় করা তাদের জন্যে কঠিন। তারা চাইলে নিজেদের এলাকার আরও কম মূল্যের কোনো খেজুরের দামে ফিতরা আদায় করতে পারেন। খেজুরের কেজি যদি ২০০ টাকা হয়, তবে ফিতরা হবে ৬৬০ টাকা। ঢাকা শহরের বাজারমূল্য অনুসারে হয়তো আটা ৭০ টাকা কেজি হিসাব করে ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ধরা হয়েছে ১১৫ টাকা। আপনার এলাকায় আটা বা গমের বাজারমূল্য যদি আরও কম হয়, উদাহরণস্বরূপ ৫০ টাকা হয়, তবে আপনি চাইলে আপনার এলাকার বাজারমূল্য হিসেবে (৫০*১.৬৫=) ৮২.৫ টাকা ফিতরা আদায় করতে পারেন।

আপনি চাইলে এভাবে আপনার সাধ্য অনুযায়ী খেজুর, যব, কিসমিস ও পনিরের দামকে ৩.৩ দিয়ে গুণ দিয়ে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারন করতে পারেন। একই ভাবে আটা বা গমের দামকে ১.৬৫ দিয়ে গুণ দিলে ফিতরার পরিমাণ পাওয়া যাবে। পাঠকের বুঝার সুবিধার্থে আমরা কয়েক ধরনের খেজুরের মূল্য দিয়ে একটি ছক বানিয়ে শেয়ার করছি। খেজুরের এই মূল্য সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখ ঢাকার মিরপুর ১ এর একটি খেজুরের দোকান থেকে। আপনার এলাকার যে কোনো খেজুরের দামের সাথে ৩.৩ গুণ করলেই খেজুদের মাধ্যমে ফিতরার পরিমাণ বের করতে পারবেন। খেজুরের মত করে অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে আপনি নিজেই ফিতরার পরিমাণ বের করতে পারবেন।

খেজুরের নাম ১ কেজির মূল্য
ফিতরার পরিমাণ
(৩.৩ কেজির মূল্য)
জিহাদী 160 528
খালাশ 240 792
রেজিজ 280 924
দাব্বাস 320 1056
দাাব্বাস 470 1551
মাশরুম 600 1980
আদম মরিয়ম 800 2640
ইরানী 900 2970
কামরাঙ্গা মরিয়ম 1000 3300
আজওয়া 1250 4125

ফিতরা মানেই সর্বনিম্ন পরিমাণে ১১৫ টাকা আদায় নয়

আমাদের দেশে প্রচলিত হচ্ছে সবচেয়ে কম দামের পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা। অর্থাৎ ফিতরা মানেই ১১৫ টাকা। জ্বি, ১১৫ টাকা দিয়ে আমরা সবাই ফিতরা দিলে তা আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু তা অনেকের জন্য হবে ৩৩ পেয়ে পাস করার মত। কিন্তু যদি ফিতরার সওয়াবের ব্যাপারে এ প্লাস পেতে চাই, তাহলে আমাদের সাধ্যমতো বেশি মূল্যের পণ্য দিয়ে আদায় করতে হবে। কারো কারো জন্য হয় ১১৫ টাকা দেয়াই এ প্লাস ক্যাটাগরির বলে বিবেচিত হবে। যদি তার উপার্জন বা সামর্থ্য কম থাকে। সামর্থ যার আরেকটু বেশি আছে, তিনি জন প্রতি যবের বাজারমূল্য হিসাব করে ফিতরা দিবেন। যার সামর্থ আরও বেশি, তিনি কিসমিসের মূল্য দিয়ে ফিতরা দিবেন।

আবার যাকে আল্লাহ আরেকটু বেশি আর্থিক স্বচ্ছলতা তিনি খেজুরের মূল্য দিয়ে ফিতরা দিবেন। আবার সমাজের অনেকেই আছেন যাদেরকে আল্লাহ আরেকটু বেশি সম্পদ দিয়েছেন। তারা তাদের সম্পদের প্রাচুর্যতার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ ফিতরা দিতে পারেন পনিরের মূল্য দিয়ে।

অর্থাৎ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার, বিভিন্ন আর্থিক আয়-উন্নতির অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা নিজেরাই নির্ধারন করব যে আমরা কোন পণ্যের মূল্য দান করব। কারও জন্যে হয়তো সর্বনিম্ন হারে ফিতরা আদায় করাই কষ্টকর হবে, আবার কারও জন্যে সর্বোচ্চ হারে ফিতরা আদায় করায়ও কোনো অসুবিধা নেই। তাই প্রত্যেকেই নিজ সাধ্যানুসারে ফিতরা আদায় করুন।

উপসংহার

আল্লাহর পথে যে কোনো দানের সময়ই মনে রাখবেন, এটা আমাদের ভবিষ্যতের জন্যে ইনভেস্ট। এখন দুনিয়াতে আমরা যত বেশি ইনভেস্ট করে যেতে পারব, আখিরাতে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাদেরকে তত বেশি প্রতিদান দিবেন। আর লাখপতি-কোটিপতি কেউ যদি সর্বনিম্ন হারে ফিতরা প্রদান করেন, তবে  তাও আদায় হয়ে যাবে ঠিক, কিন্তু এটা তার নিজের সঙ্গে একপ্রকার ফাঁকির আচরণ হলো। তাই আসুন, নিজেদেরকে ফাঁকি না দিয়ে সাধ্যে যতটুকু কুলায় সে পরিমাণ ফিতরা আমরা আদায় করি। ধনী-গরীব সবাই সর্বনিম্ন ফিতরা আদায় করার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে প্রত্যেকেই সাধ্যানুযায়ী ফিতরা আদায় করি। সাদাকাতুল ফিতর কোনো প্রকার আর্থিক জরিমানা বা দায় নয়, এটা একটা ওয়াজিব ইবাদত। তাই যাদের ওপর এটা ওয়াজিব, তারা আগ্রহের সঙ্গে এ ইবাদতটি আদায় করুন।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভোগবাদী মানসিকতা থেকে বের হয়ে এসে দান করার মানসিকতা লালন করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

তথ্যসূত্র

  1. সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ : কিছু কথা – মাসিক আলকাউসার
Comments
  1. আসসালামু আলাইকুম, এই পোস্টটি খুবই উপকারী এবং দরকারি ধন্যবাদ আপনাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্টের জন্য, আমার দুই একটি প্রশ্ন ছিল যদি উত্তর দিতেন উপকৃত হতাম,
    ১. ফিতরার সর্বনিম্ন যে পরিমাণটি রয়েছে সেটা কি জনপ্রতি দিতেই হবে নাকি পরিমাণটি ভেঙে ভেঙে কয়েকজনকে দেয়া যাবে, উদাহরণ: আমি ২০০০ টাকা খেজুরের মূল্য হিসেবে ফিতরা দিতে চাই সেটা কি একজনকেই ২০০০ টাকা দিব নাকি কয়েকজনকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিব
    ২. ফিতরার টাকা যেমন ধরুন আমি খেজুরের দামে দিতে চাই আপনি যেমন ১৯৮০ টাকা যদি এক ছা পরিমাণ খেজুরের দাম হয় সেই ক্ষেত্রে শুধু কি ১৯৮০ টাকা দিলেই হবে নাকি কয়েকটা ছা পরিমাণ খেজুরের দাম ফিতরা হিসেবে দিতে হবে? মানে কত টাকা পরিমাণে দিতে হবে বা কতজনকে দিতে হবে এরকম কি কোন নিয়ম আছে নাকি আমি যদি শুধু একজনের পরিমাণ ফিতরা আদায় করতে চাই তাতেই হবে যেহেতু আমার সামর্থ কম।

    1. ১। প্রথম প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে ফিতরা সম্পর্কিত এই পোস্টে
      ২। খেজুর দিয়ে ফিতরা ১ জনের জন্য ১ সা’ পরিমাণ দিতে হবে। ১ সা’ এর দাম যা আসে সেটা দিতে হবে। পোস্টের শেষের দিকে খেজুরের জন্য একটি নমুনা তালিকা দেয়া আছে। আপনার সাধ্য মত বাজারে পাওয়া যায় যে কোনো খেজুরের ১ কেজির মূল্যকে ৩.৩ দিয়ে গুণ করলে যে টাকা হয়। সেটিই ১ জনের জন্য ফিতরা।

  2. আসসালামু আলাইকুম। আমার মা একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আমার আর আমার মায়ের ফিতরা আদায় কিভাবে করবো জানালে ভালো হয়।

    1. পোস্টের আলোকে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আদায় করতে পারেন। সামর্থ্য একেবারে কম থাকলে আপনার বাজারে প্রাপ্ত আটার দাম অনুযায়ী 1.65 কেজি আটার দাম ফিতরা দিতে পারেন।

  3. Assalamualikum.
    Amar question hoche, ami jodi chal, dal, oil miliye fitra dai tahole hobe kina. 115 tk hishab kore ar somo poriman ponno ba tar theke aktu besi taka r somoporiman ai ponno kinle fitra aday hobe kina….
    Kindly janaben….

  4. টাকা দেওয়া কি যাবে?
    নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম কিন্তু খাদ্য সামগ্রী দিতেন,
    সেক্ষেত্রে টাকা দেওয়া সুন্নাত মোতাবেক কাজ হবে?

  5. Assalamualaikum
    Vaijan..
    Amr 2 ta prosno chelo
    1:amar 2 vori sorno 1 vori rupa ache kintu cash tk jomano nei……amr ki jakat detea hobe..?
    2: eid er age beton hisabe kichu tk ami pabo ta hate asle ki jakat detea hobe kina
    3:r jodi kichu cash tk thakto ja rakha hoyeche kintu 1 bochor purno hoi ni tahole ki jakat detea hoto kina janaben ektu kindly….janale khub upokar hoto

    1. ১. জাকাত দিতে হবে। যদি কারও কিছু স্বর্ণ ও কিছু রূপা থাকে, তবে দুটির মূল্য একত্রিত করে দেখতে হবে, কোনো একটির নেসাবের সমপরিমাণ হয় কিনা। এখানে দুই ভরি স্বর্ণ ও এক ভরি রূপার বাজারমূল্য রূপার নেসাবের চেয়ে অনেক বেশি। তাই আপনাকে জাকাত আদায় করতে হবে।
      ২. জাকাতের সম্পর্ক ঈদের সঙ্গে নয়, বছর পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে।
      ৩. জাকাত আদায়যোগ্য সকল সম্পদের ওপর বছর পূর্ণ হওয়া জরুরি নয়। বরং যেদিন বছর পূর্ণ হবে, সেদিন মালিকানায় থাকা জাকাত আদায়যোগ্য সকল সম্পদেরই জাকাত আদায় করতে হবে।

  6. পরিবারের একজন দেশের বাহিরে আছে,তার ফিতরা কি বাংলাদেশ থেকে দিতে হবে নাকি সে বিদেশ থেকে দিয়ে দিবে।

    1. সে যেখানে আছে সেখানকার গরিবদের মাঝেই তার ফিতরের টাকা বিতরণ করতে পারে। তবে চাইলে তার পক্ষ থেকে বাংলাদেশেও কেউ তার ফিতরা আদায় করতে পারে। এক্ষেত্রে সে যেখানে আছে সেখানকার হিসাবেই ফিতরা আদায় করতে হবে।

  7. জাঝাকুমুল্লাহ!
    অত্যন্ত উপকারী এই পোস্টটির জন্য।

  8. যদি ভুল হয় শুধরে দেবেন। আমি জানি একছা একটা পরিমাণ বা আয়তন ওজন না। সেই হিসাবে বিশেষজ্ঞদের মত একছা হয় তিন লিটার। ৩ লিটার পরিমাণ সব জিনিষ এর ওজনতো আর এক হওয়ার কথানা।একছা পরিমাণ বিভিন্ন জিনিষের ওজন নিম্নেরূপ। ভুল কিনা একটু পরীক্ষা করে বলবেন।
    চাউল = ২৩০০গ্রাম, আটা = ১৪০০গ্রাম, গম = ২০৪০গ্রাম, খেজুর = ১৮০০গ্রাম, কিসমিস = ১৬৪০গ্রাম, ছোলা = ২০০০গ্রাম ইত্যাদি

    1. গবেষক আলেমদের কাছে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মত হল, একসা সমান ৩২৬৪ কিংবা ৩২৭০ গ্রাম। হিসাব সহজের জন্য এটাকে ৩৩০০ গ্রাম বলা হয়।

  9. আসসালামু আলাইকুম,
    বর্তমান যাকাতের নিসাব কত টাকা ???

    1. প্রায় ৬৫ হাজার টাকা। বাজারে বিভিন্ন কোয়ালিটির রূপা পাওয়া যায়। ১৮ ক্যারেটের রূপার বিক্রয়মূল্য ধরে নিসাব হিসাব করলে আসে ৬৬১১৩ টাকা। সনাতনী রূপা দিয়ে হিসাব করলে আরো কম হবে। ২১ ও ২২ ক্যারেটের রূপা দিয়ে হিসাব করলে আরো বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

- আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ
ক্যাটাগরি সমূহ
ট্যাগ সমূহ
error: অনুগ্রহ করে লেখাটি কপি করবেন না। লিংক শেয়ার করুন। ধন্যবাদ