Press ESC to close

ঈদে মীলাদুন্নবীর ইতিহাস ও হাস্যকর কিছু দাবি

Post Updated at 18 Sep, 2024 – 7:25 PM

মীলাদুন্নবী উদযাপন ও জন্মদিন পালন বিষয়ে ব্লগ সিরিজে আপনাকে স্বাগতম। এই সিরিজের পোস্টগুলোর শিরোনাম ও লিংক নিচে তুলে ধরা হলো:

  1. প্রসঙ্গ মীলাদুন্নবী : জন্মদিন পালনের ইতিহাস ও ইসলামে জন্মদিন পালনের বিধান
  2. ১২ রবিউল আউয়াল কি নবীজির সা. জন্মদিন?
  3. ঈদে মীলাদুন্নবীর ইতিহাস ও হাস্যকর কিছু দাবী (আপনি এখন এটি পড়ছেন)

মীলাদুন্নবীর সঙ্গে জড়িত দুটি বিষয়

১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মীলাদুন্নবী পালনের সঙ্গে দুটি বিষয় জড়িত—এক. ১২ রবিউল আউয়াল নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিন হওয়া, দুই. তাঁর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ঈদ বা উৎসব পালন করা। অথচ বাস্তবতা হলো, ১২ রবিউল আউয়াল নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মগ্রহণের বিষয়টি প্রমাণিত নয়। বরং এ মতটি খুবই দুর্বল। সহীহ ইতিহাসের আলোকে তাঁর জন্মতারিখ ৯ বা ২ রবিউল আউয়াল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর জন্মদিন পালন করা, এ উপলক্ষে কোনো উৎসব আয়োজন করা—এসব সংস্কৃতি মুসলমানদের নয়। অন্য অনেক ধর্মে জন্মদিন পালন করার রেওয়াজ আছে। এ জন্মদিন পালনের সঙ্গে তাদের ধর্মীয় আচারের সম্পর্কও রয়েছে। কিন্তু কুরআন ও হাদীসের কোথাও জন্মদিন পালনের কোনো রীতি, বিধান কিংবা এ সম্পর্কে উৎসাহব্যাঞ্জক কিছু বর্ণিত হয়নি। উল্টো তা বিধর্মীদের ধর্মীয় সংস্কৃতি হওয়ার কারণে আমাদের ইসলাম ধর্মে তা নিষিদ্ধ।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ব্লগের শুরুতে শেয়ার করা লিংক থেকে অন্যান্য লেখাগুলো পড়ুন।

মীলাদুন্নবীর সূচনা

কিন্তু কথা হলো, মীলাদুন্নবী কেন্দ্রিক এ ঈদ পালনের সূচনা কবে থেকে? ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, হিজরি চতুর্থ শতকে সর্বপ্রথম মিশরের ক্ষমতাধর ফাতেমি শিয়া শাসকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মোৎসব পালন করেছিল। তারা অবশ্য স্বতন্ত্রভাবে এ উৎসব পালন করেনি। বরং হযরত আলী, ফাতেমা, হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমের জন্মোৎসবের সঙ্গে মিলিয়ে নবীজির জন্মোৎসব পালন করত।

এরপর হিজরী ষষ্ঠ শতকে কৃতজ্ঞতা ও আনন্দ প্রকাশের উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম ব্যক্তিগতভাবে নবীজির জন্মদিন পালনের প্রথা চালু করেন সুফী উমর ইবনে মুহাম্মদ আলমাউছিলী (মৃত ৫৭০ হিজরি)। অতঃপর সপ্তম শতকে ইরবিলের বাদশা আবু সাইদ মুজাফফর উদ্দীন এ জন্মদিন উপলক্ষে ঘটা করে বিশেষ ইবাদত ও খাবারদাবারের আয়োজন করতেন। (ইরবিল বর্তমান ইরাকের অন্তর্গত একটি অঞ্চল।) ইরবিলের বাদশার আয়োজনের মধ্য দিয়েই যেহেতু বিষয়টি ব্যাপকতা লাভ করে, তাই ইতিহাসবিদদের কাছে মীলাদুন্নবী উৎসবের সূচনাকারী হিসেবে তিনিই প্রসিদ্ধ।

ইসলামে মীলাদুন্নবী পালনের সুযোগ কতটুকু

বলাবাহুল্য, যে উৎসবের ধারা শুরু হয়েছে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের ৪০০-৫০০ বছর পর, সে ধারা শরিয়তসম্মত কোনো ধারা হতে পারে না। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিন পালন করা যদি কোনো সওয়াবের কাজই হতো, তবে তো তিনি নিজেই এ রীতি চালু করে যেতেন। সাহাবায়ে কেরামের জীবনীতে আমরা এ উৎসব পালনের অসংখ্য ঘটনা খুঁজে পেতাম। অথচ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্পষ্ট ঘোষণা, হযরত আয়েশা রা. কর্তৃক বর্ণিত হাদীস—

مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ.

অর্থ : যে আমাদের দীনে নতুন কিছু সংযোজন করে, যা তাতে ছিল না, তবে তা প্রত্যাখ্যাত হবে। [সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭]

আরেকটি হাদীস, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ عَبْدًا حَبَشِيًّا فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ بَعْدِى فَسَيَرَى اخْتِلاَفًا كَثِيرًا فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِى وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الْمَهْدِيِّينَ الرَّاشِدِينَ تَمَسَّكُوا بِهَا وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ

অর্থ : আমি তোমাদেরকে আদেশ করছি—তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো এবং আনুগত্য করো, যদিও এক হাবশি গোলামকে তোমাদের আমীর বানিয়ে দেয়া হয়। তোমাদের মধ্যে যে আমার পরবর্তীতে বেঁচে থাকবে, সে অনেক মতানৈক্য দেখতে পাবে। তাই তোমরা আমার সুন্নত ও হেদায়েতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত আঁকড়ে ধরো। শক্তভাবে দাঁত দিয়ে তা কামড়ে ধরে রেখো। আর তোমরা সবরকম নতুন উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকো। কেননা প্রতিটি নব-উদ্ভাবিত বিষয়ই বিদআত আর প্রতিটি বিদআতই ভ্রষ্টতা। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৬০৭]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখানে স্পষ্ট করে দিয়েছেন—তাঁর সুন্নত ও তাঁর সাহাবীদের, বিশেষত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নতই আমাদের জন্য আদর্শ। আমাদেরকে তিনি আদেশ করেছেন, আমরা যেন এ সুন্নতকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরি। আর সবরকম বিদআত থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখি। নবীযুগ, সাহাবীযুগ ও তাবেঈযুগে যা ছিল না, এমন যে কোনো ধারা শরিয়তে সংযোজিত করা হয়, তা-ই বিদআত। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, নবীজির জন্মদিন উপলক্ষে উৎসব পালন করা এমনই একটি বিদআত, যা পরিত্যাজ্য।

যদি কেউ কোনো একটি মজলিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মবৃত্তান্ত আলোচনা করে, তাঁর বেড়ে ওঠার ঘটনা বর্ণণা করে, তবে তো তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। সীরাতের আলোচনা করতে গেলে তো নবীজির জন্ম দিয়েই শুরু করতে হবে। কিন্তু এ আলোচনা যদি বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনে সীমিত হয়ে পড়ে এবং সে দিনটি আবার জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়, তবে তাকে ইসলামি কোনো আমল বলার সুযোগ নেই। শরিয়তের মানদ-ে তা উত্তীর্ণ নয়। তা প্রত্যাখ্যাত, পরিত্যাজ্য। আর এ তারিখে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মগ্রহণের মতটিও যে খুবই দুর্বল, তাও আমরা উল্লেখ করেছি।

হাস্যকর কিছু দাবি

যারা ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করেন, তারা যে কেবল একটি বিদআত সমাজে চালু করছেন—বিষয়টি এতটুকুই নয়। এ বিদআতের প্রচলন ঘটানোর পাশাপাশি তারা কিছু হাস্যকর কথাবার্তাও বলে থাকেন। এ সময়ে তাদের সবচেয়ে বড় প্রচার—ঈদে মীলাদুন্নবী সকল ঈদের সেরা ঈদ। এ কথা যে কতটা হাস্যকর, তা কি আর ব্যাখ্যা করতে হয়! নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সারা জীবনে একবারও এ ঈদ পালন করলেন না, কাউকে তিনি এ ঈদ পালন করতে উৎসাহিত করলেন না, তাঁর হাতে গড়া সাহাবায়ে কেরামের কাফেলার একজনও এ ঈদ তাদের জীবনে পালন করলেন না, তাবেঈন ও তাবে-তাবেঈদের কেউ এ ঈদ পালন করলেন না, ইসলামি ইতিহাসের প্রথম চার-পাঁচশ বছর এ ঈদের কোনো ধারণাই ছিল না, অথচ এ ঈদটিই কিনা হয়ে গেল সকল ঈদের সেরা ঈদ!

১২ রবিউল আউয়াল সাইয়েদুল আইয়াদ ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করা ফরয। বিদআতী রাজারবাগ শরীফের দেয়াল লিখন
ঢাকায় বিদআতীদের একটি দেয়াল লিখন। যেখানে দাবী করা হচ্ছে এ দিবস উদযাপন করা ফরয

 

এর সোজা অর্থ কি এমন নয়—যারা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের অনুসরণে বছরে দুটি ঈদ পালন করবে, আর ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করা থেকে বিরত থাকবে, তারা সেরা ঈদটিই পালন করতে পারল না? সুন্নতে নববীর অনুসরণ কি তাহলে সেরা ঈদ পালনের প্রতিবন্ধক হয়ে গেল! আল্লাহ আমাদেরকে এসব বিভ্রান্তি থেকে হেফাজত করুন।

তাদের কেউ কেউ আরও মজার কথা বলে। তাদের দাবি—ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করা ফরজ। যদি কেউ মীলাদুন্নবী পালন না করে তবে সে হয়তো গোনাহগার হবে, ফাসেক হবে। কিন্তু কেউ যদি মীলাদুন্নবী ফরজ হওয়ার বিধান অস্বীকার করে তবে সে সোজা কাফের! ঠিক যেমন নামাজ পড়া ফরজ, নামাজ যদি কেউ ছেড়ে দেয়, তবে সে ফাসেক হয়, কিন্তু নামাজ ফরজ হওয়াকে যদি কেউ অস্বীকার করে তবে সে কাফের হয়ে যায়। কী ভয়াবহ ফতোয়া, ভাবা যায়! অন্য ধর্ম থেকে প্রভাবিত হয়ে জন্মদিন পালনের রেওয়াজটি চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হলো, এরপর এ উৎসবকেই সকল ঈদের সেরা বলা হলো, সে ঈদ আবার কীভাবে ফরজ হয়ে গেল, এরপর এল এ ঈদ অস্বীকারকারীদের জন্যে কাফের হয়ে যাওয়ার ফতোয়া! তার মানে কেউ কুরআন ও হাদীসের শিক্ষার ওপর পুরোপুরি আমল করার পরও নব-উদ্ভাবিত ঈদে মীলাদুন্নবীকে অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যাবে?

সাইয়েদুল আইয়াদ শরীফ পালন করলে বিনা হিসাবে জান্নাতী। বিদআতীদের একটি দেয়াল লিখন
ঢাকায় বিদআতীদের একটি দেয়াল লিখন। যেখানে দাবী করা হচ্ছে সাইয়্যিদুল আইয়াদ বা ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করলে বিনা হিসাসে জান্নাতে যাওয়া যাবে

 

আসলে দীনের সঠিক অনুসরণের জন্যে কুরআন ও হাদীসই মেনে চলতে হবে। এ দুটোই আমাদের আমলের শুদ্ধতার মানদন্ড। বিদআতের ভ্রষ্টতা থেকে মুক্তি পেতে হলে এর বিকল্প নেই।

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ হাদীসটিই এ প্রসঙ্গে আমাদের শেষ কথা—

تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ ، لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا : كِتَابَ اللَّهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِ

অর্থ : আমি তোমাদের মাঝে দুটি বিষয় রেখে যাচ্ছি। এ দুটিকে যতক্ষণ তোমরা আঁকড়ে থাকবে, ততক্ষণ তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না—এক. আল্লাহর কিতাব, দুই. তাঁর নবীর সুন্নত। [মুআত্তা মালেক, হাদীস ১৫৯৪]

এই সিরিজের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়ুন:

  1. প্রসঙ্গ মীলাদুন্নবী : জন্মদিন পালনের ইতিহাস ও ইসলামে জন্মদিন পালনের বিধান
  2. ১২ রবিউল আউয়াল কি নবীজির সা. জন্মদিন?

মাওলানা শিব্বীর আহমদ

উসতাযুল হাদীস, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া ঢাকা, মোহাম্মদপুর। মাসিক আলকাউসারসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেন। তাঁর লিখিত বইও পাঠক মহলে নন্দিত হয়েছে। তিনি মুসলিমস ডে অ্যাপের শরয়ী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

Comments (33)

  • foysol Ahmedsays:

    September 28, 2023 at 10:56 AM

    আপনাদের কিছু কথা আমি মানতে পারলামনা, এই যে একটি কথা বললেন অনেকে বিলে থাকে ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা ফরজ না মানলে কাফের বলে বলে থাকে। এই কথাগুলো আপনারা মনগড়া বলছেন,আমি আয পর্যন্ত শুনিনি এটাকে ফরব বলতে।

    • Muslims Day Desksays:

      September 28, 2023 at 1:03 PM

      ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় রাজারবাগ দরবার শরীফের নামে দেয়াল লিখনে স্পষ্ট ভাষায় লেখা থাকত এই দিবস পালন করা ফরজ। গত কয়েক বছর তারা এই বিদআত উদযাপন করাকে ফরজ হিসাবে ফতোয়া দিয়েছে। এই বছর কোথাও ফরজ হিসাবে দেয়াল লিখন চোখে পড়ে নি। বরং এইবারের ফতোয়া ভিন্ন। এই বছর তাদের দাবী হচ্ছে এই দিবস উদযাপন করলে বিনা হিসাবে জান্নাতী হওয়া যায়। এই দিবস উদযাপন করলে বরকত লাভ হয়। বিদআতীদের অসংখ্য শাখাপ্রশাখা। সবার বিষয়ে সবাই জানবে না এটাই স্বাভাবিক। একেক জনের বিদআতের রেওয়াজ রসম একেক রকম। একজনের সাথে আরেকজনের না মেলাই স্বাভাবিক। কারণ এগুলো তো তারা মনগড়া ভাবে আবিষ্কার করেন। সকল বিদআতী আক্বিদা যেমন আপনার জানা নাই, আমারও জানা নাই। জানা না থাকার মানে এই নয় যে বিষয়টির অস্তিত্ব নাই। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।

    • Muslims Day Desksays:

      October 6, 2023 at 7:35 PM

      পোস্টে দুটি ছবি যোগ করলাম। যার একটিতে বিদআতীরা দাবী করেছে ১২ রবিউল আউয়াল সাইয়েদুল আইয়াদ পালন করা ফরয। আরেকটিতে দাবী করেছে এটি পালন করতে বিনা হিসাবে জান্নাত। আশা করি আপনার সংশয় দূর হবে। ধন্যবাদ।

  • মাহফুজ ইবনে ফখরুলsays:

    September 28, 2023 at 12:07 PM

    মাশাআল্লাহ, লেখাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • আকবর হোসেনsays:

    September 28, 2023 at 5:56 PM

    মাত্রই কালকে ঢাকা ছিলাম। বনানী হয়ে গুলশান যেতে একটা রোড সাইড দেওয়ালে একটা লিখা ছিলোঃ
    ‘সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা ফরয!’
    আমি নিজে স্বচক্ষে দেখেছি। যারা ঢাকা থাকে তারা ভালো করেই জানবে!

  • Tahmina Aktersays:

    September 29, 2023 at 6:29 AM

    নবীজি (স) এর সোমবারে রোজা রাখার যে বিষয় সামনে এসেছে বিভিন্ন আলেম হতে, তার ব্যাখ্যা এরুপ যে “” নবী করীম (স) তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে এই রোযা রাখতেন প্রতি সোমবার””
    এই বিষয়টির ভিত্তি বা যথার্থতা কতটুকু সঠিক?

    • মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:

      October 19, 2023 at 8:07 PM

      হাদিস শরীফে সোমবার ও বৃহস্পতিবারের রোজা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই দুটি দিন মানুষের আমল উপরে উঠানো হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি পছন্দ করি আমার আমল এমন অবস্থায় উপরে উঠানো হোক, যখন আমি রোজাদার। এর পাশাপাশি সোমবারের রোজা সম্পর্কে একথাও হাদীসে আছে, সোমবারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেছেন এবং এই দিনে তিনি নবুওয়াতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
      তাই এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো:
      সোমবারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাধিক কারণে রোজা রেখেছেন। এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন, নবুওয়তপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং এই দিনে মানুষের আমল উপরে উঠানো হয়। আর তিনি চেয়েছেন তার আমল রোজাদার অবস্থায় উঠানো হোক।
      এ থেকে বোঝা গেল, সোমবারের রোজা কেবলই নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছেন বলে নয়।

  • হাফেজ আশরাফ আলীsays:

    September 30, 2023 at 5:12 PM

    মাশাআল্লাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা লিখেছেন

  • Fozruzzamansays:

    October 2, 2023 at 5:18 PM

    খুব সুন্দর ভাবে বিষয়টি তুলে ধরার জন্যে ধন্যবাদ

  • Hridoy Hasansays:

    October 12, 2023 at 12:07 AM

    আরবি লেখা গুলো বাংলাতে লিখে দিলে অনেক ভালো হতো যারা আরবি ভাষা পড়তে জানি না বাংলায় সহজ হয় পড়তে

    • Muslims Day Desksays:

      October 12, 2023 at 8:51 AM

      মুসলিম হিসাবে আমাদের প্রত্যেকের জন্য জরুরি হলো শুদ্ধ করে কুরআন পড়তে পারা। শুদ্ধ করে কুরআন পড়তে পারলে আরবি দেখে পড়া সম্ভব। তাই আমাদের উচিত আরবি শেখা না হয়ে থাকলে শেখার চেষ্টা শুরু করা। ২-৩ মাসের প্রচেষ্টায় আরবি দেখে পড়তে শেখা সম্ভব। আমাদের অ্যাপে ও ওয়েবসাইটে আরবির বাংলা উচ্চারণ সঙ্গত কারণেই দেয়া হয় না। এর কারণটি বিস্তারিত ভাবে এই লেখায় বলা আছে

  • মুহাম্মদ সাইফুর রহমানsays:

    April 3, 2024 at 2:53 PM

    খুব উপকারী লেখা। আল্লাহ তাআলা উত্তম প্রতিদান দিন।

  • মো :নাজিদ ইসলামsays:

    September 7, 2024 at 4:33 PM

    মুসলিম ডে এপটি থেকে আমি অনেক উপকৃত হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ

  • কামরুন্নাহার সোমাsays:

    September 7, 2024 at 4:52 PM

    আলহামদুলিল্লাহ অনেক উপকারী পোস্ট।ধন্যবাদ হুজুর। মাদানি টিভি চ্যানেল এ দেখেছি যে আল্লাহ তায়ালা দান করেন আর রাসুলুল্লাহ সাঃ বন্টন করেন।এখন আমার প্রশ্ন যে তাহলে কি আমরা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কাছে কিছু চাওয়া যাবে? অনুগ্রহ করে জানাবেন

    • মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:

      September 16, 2024 at 9:04 AM

      না, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে চাওয়া যাবে না। যা কিছু চাইতে হয়, আল্লাহ তাআলার কাছেই চাইতে হবে। হাদীস শরীফে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ শিক্ষাই দিয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন : তুমি যখন চাইবে, আল্লাহর কাছে চাইবে, যখন সাহায্য প্রার্থনা করবে, আল্লাহর কাছেই করবে। [জামে তিরমিযী, হাদীস 2516]

  • Junaid Muhammadsays:

    September 8, 2024 at 6:25 AM

    মাশাআল্লাহ,, অনেক কিছু জানতে পারলাম যা আগে কখনো জানি নি।

  • Junaid Muhammadsays:

    September 8, 2024 at 6:29 AM

    কুইজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ও আমরা অনেক কিছু জানতে পারি আলহামদুলিল্লাহ,
    পরবর্তী কুইজ প্রতিযোগিতা কবে হবে?

    • Muslims Day Desksays:

      September 8, 2024 at 11:54 AM

      পরবর্তী কুইজের কোনো দিন তারিখ এখনো নিশ্চিত হয় নি। আমাদের অ্যাপ ও ফেসবুক পেজে কুইজের ঘোষণা জানানো হবে ইনশাআল্লাহ।

  • Junaid Muhammadsays:

    September 8, 2024 at 6:37 AM

    আলহামদুলিল্লাহ অনেক কিছু জানতে পারলাম। আল্লাহ আপনাদের উত্তম জাঝা দান করুন। আমিন।।

  • আয়েশা সিদ্দিকাsays:

    September 11, 2024 at 6:04 AM

    আমি একটা সরকারি বিদ্যালয় চাকরি করি। সেখানে ঈদ এ মিলাদুন্নবি উপলক্ষে বন্ধ থাকে। আবার প্রতিষ্ঠান এ উপস্থিত থেকে শিক্ষকদের দিনটি উদযাপন করতে বলে। এখানে আমি উপস্থিত হলে কি আমার পাপ হবে?

    • মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:

      September 13, 2024 at 7:36 AM

      উপস্থিত যদি থাকতেই হয় তাহলে থাকবেন এবং যদি আপনি ঈদে মিলাদুন্নবীর আসল তথ্য ও ইতিহাস আপনার ছাত্রদেরকে এবং সহকর্মীদেরকে জানানোর সুযোগ পান তাহলে জানাবেন।

  • munnasays:

    September 11, 2024 at 5:19 PM

    ঠিক বলেছেন কিছু অতি উৎসাহিত মানুষ আছে যারা না ভুযে শুনে লাফালাকি করে

  • মুমতারিন হক রাফিsays:

    September 13, 2024 at 10:04 AM

    আলহামদুলিল্লাহ অনেক কিছু জানতে পারলাম। জাঝাকাল্লাহু খইরন

  • Rajul Islamsays:

    September 15, 2024 at 3:09 PM

    মাশাল্লাহ। লেখাটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। জাযাকাল্লাহু খাইরান।

  • আব্দুল্লা আল-মামুনsays:

    September 16, 2024 at 11:00 AM

    এ বছর সরকারি ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করতে বলেছে। এমন কি ১২ রবিউল আউয়াল নবীজির জন্মদিন ঘোষণা করেছে যা নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে মতবিরোধ আছে।
    তা কতটা যুক্তিযুক্ত?

    • মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:

      September 17, 2024 at 9:14 AM

      সরকারিভাবে এবং সামাজিকভাবেও আমাদের দেশে এমনকি পৃথিবীর হয়তো আরও অনেক দেশেই ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয়। এটা যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে। সমাজের মানুষকে সঠিক তথ্য জানানোর জন্যেই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা যদি ব্যপকভাবে সৃষ্টি হয়, তখন হয়তো এ পরিস্থিতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারব।

  • Zubayer Ahmadsays:

    September 16, 2024 at 3:43 PM

    আলহামদুলিল্লাহ, লেখাটা পড়ে ছাত্রদেরকে শুনালাম।

    • মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:

      September 16, 2024 at 5:46 PM

      জাযাকুমুল্লাহ। দুআ করবেন, আল্লাহ তাআলা যেন উপকারী কাজে আমাদের জড়িয়ে রাখেন।

  • দেলোয়ার হুসাইনsays:

    September 16, 2024 at 10:29 PM

    মাশাআল্লাহ শায়েখ অনেক সুন্দর আলোচনা উপস্থাপন করেছেন, তবে বর্তমানে বেদাতীদের কার্যক্রম এমনভাবে বেগবান হচ্ছে তাতে আমার মনে হয় হক্কানী আলেমদের এ ব্যাপারে আরো কঠোর এবং জোরালো পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

- আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

সাইট হিট কাউন্টার

সর্বমোট পোস্ট ভিউ: ১,৯৪৩,৫৫৬

পোস্ট কপি করার অপশন বন্ধ রাখা হয়েছে। অনুগ্রহ করে পোস্টের লিংক কপি করুন