
Post Updated at 9 Aug, 2025 – 7:43 AM
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে জালিম হোক অথবা মজলুম হোক।”
এক লোক বলল, “হে আল্লাহর রসূল! মজলুম হলে তাকে সাহায্য করব- তা তো বুঝলাম। কিন্তু জালিম হলে তাকে কিভাবে সাহায্য করব?”
তিনি বললেনঃ “তাকে অত্যাচার থেকে বিরত রাখবে। আর এটাই হল (তোমার পক্ষ থেকে) তার (জন্য) সাহায্য”। (বুখারী ৬৯৫২)
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি তার ভাই-এর ওপর যুলুম করেছে সে যেন তার কাছ থেকে ক্ষমা নিয়ে নেয়, তার ভাই-এর পক্ষে তার নিকট হতে পুণ্য কেটে নেয়ার আগেই। কারণ সেখানে কোন দীনার-দিরহাম থাকবেনা। তার কাছে যদি পুণ্য না থাকে তবে তার (মজলুম) ভাই-এর গোনাহ্ এনে তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী ৬৫৩৪)
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
তিন ব্যক্তির দু‘আ নিঃসন্দেহে কবুল হয় : এক. (সন্তানের জন্য) পিতার দু‘আ, দুই. মুসাফিরের দু‘আ, তিন. মজলুমের দু‘আ।
(সুনানে আবু দাউদ ১৫৩৮)
কোনো বান্দার উপর জুলুম করা হলে তার শাস্তি ভয়াবহ। অন্যায়ভাবে বিনা বিচারে কাউকে হত্যা করা হলে তার শাস্তি আরো ভয়ংকর। আল্লাহ আমাদেরকে এসকল জুলুম ও জালেমদের থেকে রক্ষা করুন। আমাদের নিজেদেরকে, আমাদের আপনজন পরিবারপরিজন ও আত্মীয়স্বজনদেরকে এরকম ঘৃণিত কাজে সহযোগী হওয়া থেকে বিরত রাখুন। আল্লাহ আমাদেরকে ধৈর্য্ দান করুন। জুলুমের শিকার হয়ে আহত বা নিহত পরিবারদেরকে আল্লাহর জন্য সবর করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহই ন্যায় বিচারের জন্য যথেষ্ট!
Leave a Reply