Post Updated at 30 Jan, 2025 – 11:08 AM
নিয়ত কীভাবে করবে
নামায শুরু করার পূর্বে নিয়ত থাকা জরুরি। নিয়ত মনে মনে থাকলেই হবে, মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়। ফরয নামাযের নিয়ত এভাবে নির্দিষ্ট করে করতে হবে- ফজরের ফরয পড়ছি। ওয়াজিব নামাযের নিয়তেও নামায এভাবে নির্দিষ্ট করতে হবে- বিতির পড়ছি কিংবা ঈদের নামায পড়ছি। সুন্নতে মুয়াক্কাদা এবং হাদীসে বর্ণিত নফল নামাযগুলোর ক্ষেত্রেও নিয়ত নির্দিষ্ট করে করা ভালো। তবে শুধু ‘নামায পড়ছি’ এতটুকু নিয়ত থাকলেও চলবে। আর সাধারণ নফল নামাযের ক্ষেত্রে শুধু ‘নামায পড়ছি’ কিংবা ‘নফল নামায পড়ছি’ এতটুকু নিয়ত থাকাই যথেষ্ট। [ফাতাওয়া আলমগীরী, ১/৬৫]
ইকতিদা ও ইমামতির নিয়ত
ইমামের পেছনে নামায পড়লে অবশ্যই ইকতিদা অর্থাৎ ইমামের পেছনে নামায আদায়ের নিয়তও থাকতে হবে। ইকতিদার নিয়ত না থাকলে নামায সহীহ হবে না। তবে ইমাম সাহেবের জন্যে ইমামতির নিয়ত থাকা জরুরি নয়। তিনি যদি ইমামতির নিয়ত নাও করেন, তবুও মুক্তাদিদের নামায হয়ে যাবে। [ফাতাওয়া আলমগীরী, ১/৬৬]
ভুল নিয়ত করলে
নিয়ত উচ্চারণে কেউ যদি ভুল করে, যেমন, যোহরের নামায পড়ার সময় ভুলবশত আসর বলে ফেলেছে, কিন্তু মনে মনে সে যোহরের নামাযই আদায়ের কথা ভাবছিল, তাহলে এ ভুল উচ্চারণের কারণে নামাযে কোনো অসুবিধা হবে না। কিন্তু মনের নিয়তটাই যদি ভুল থাকে,তাহলে নামায আবার পড়তে হবে।
নামাযের নিয়তে ঘর থেকে বের হলে
নামাযের নিয়ত করে যখন কেউ ঘর থেকে বের হয়, এরপর পথিমধ্যে নামায ভেঙ্গে যাওয়ার মতো কোনো কাজ যেমন, কথা বলা, সালাম দেয়া ইত্যাদি না করলে নামায শুরু করার সময় নিয়ত না করলেও চলবে। একইভাবে নামাযের নিয়ত করে কেউ যদি বসে থাকে এবং নামায ভেঙ্গে যায় এমন কোনো কাজ না করে, এরপর যখন জামাত শুরু হয় তখন জামাতে শরিক হয়ে যায় এবং নতুন করে নিয়ত না করে, তাহলেও অসুবিধা নেই। [ফাতাওয়া আলমগীরী, ১/৬৭]
Leave a Reply