Post Updated at 30 Jan, 2025 – 12:06 PM
নামায শুরুর পূর্বে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে এবং পুরো নামাযেই কেবলার দিকে থাকতে হবে। যদি নামাযের মধ্যে কারও সিনা বা বুক কেবলার দিক থেকে ঘুরে যায় তাহলে নামায হবে না। [সূরা বাকারা, ২ : ১৫০; সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬২৫১; আদদুররুল মুখতার, ২/১০৮; ফতোয়ায়ে আলমগীরী, ১/১০৩]
কিবলা কোন দিকে
যারা মসজিদে হারামে আছে কিংবা সরাসরি বাইতুল্লাহ বা কাবাঘর দেখতে পায়, তারা সরাসরি কাবাঘরের দিকে ফিরে নামায পড়বে। কিন্তু যারা দূরে, এবং এ কারণে বাইতুল্লাহকে দেখছে না, তারা বাইতুল্লাহ যেদিকে, সেদিকে ফিরেই নামায পড়বে। যে ব্যক্তি বাইতুল্লাহ থেকে দক্ষিণ পাশে আছে সে উত্তর দিকে, যে উত্তর দিকে আছে সে দক্ষিণ দিকে, যে পূর্ব দিকে আছে সে পশ্চিম দিকে এবং যে পশ্চিম পাশে আছে সে পূর্ব দিকে ফিরে নামায আদায় করবে। যারা দূরে, তাদের জন্যে সরাসরি বাইতুল্লাহর দিকে চেহারা ঘুরানো জরুরি নয়। বরং বাইতুল্লাহ যেদিকে, সেদিকে ফিরেই তারা নামায আদায় করবে।
কিবলা নির্ধারণে যদি সামান্য ভুল হয়
নামাযের কিবলা যে বরাবর থাকে, যদি কেউ সেখান থেকে ডান বা বামদিকে একটু সরে যায়, তাহলে দেখতে হবে- কিবলা থেকে সে কতটুকু সরে গেছে। যদি ৪৫ ডিগ্রির চেয়ে কম সরে থাকে, তাহলে নামায হয়ে যাবে। ৪৫ ডিগ্রি কিংবা এর চেয়ে বেশি ঘুরে গেলে নামায হবে না। এ নামায আবার পড়তে হবে।
যদি কেবলা জানা না থাকে
যদি কেবলা জানা না থাকে তাহলে কেবলা জানে এমন কাউকে জিজ্ঞেস করে সঠিক কেবলা জেনে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মোবাইল অ্যাপের সহযোগিতাও নিতে পারেন। কেবলা জানে এমন কেউ থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ তাকে জিজ্ঞেস না করে নিজে নিজে চিন্তা করে একদিকে ফিরে নামায শুরু করে দেয়, যদি তার কেবলাটি ঠিক হয় তাহলে তার নামায হয়ে যাবে; কিন্তু যদি কেবলাটি ভুল হয় তাহলে তাকে নামায নতুন করে পড়তে হবে।
আর যদি কেবলা জানে এমন কেউ সেখানে না থাকে, তাহলে নিজেই মনে মনে চিন্তা করবে। মন যেদিকে সায় দেবে সেদিকে ফিরেই নামায পড়তে হবে। এমন পরিস্থিতিতে যদি নামায শেষ করার পর জানা যায়- কেবলাটি ভুল ছিল, তাহলে এই নামায আর পড়তে হবে না। আর নামাযে থাকা অবস্থায় যদি কেবলার ভুল জানা যায় কিংবা অন্য কোনো দিক কেবলা হওয়ার ব্যাপারে ধারণা প্রবল হয়, তাহলে তৎক্ষণাৎ ঐ দিকে ঘুরে যেতে হবে এবং অবশিষ্ট নামায সেদিকে ফিরেই আদায় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দিক পরিবর্তন করতে যদি কেউ তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বিলম্ব করে তাহলে নামায হবে না।
কেবলা জানার কোনো উপায় না থাকার ক্ষেত্রে যদি কোনো চিন্তাভাবনা ছাড়াই যে কোনো একদিকে ফিরে নামায পড়ে, তাহলে তার নামায হবে না। বরং চিন্তাভাবনা করে যেদিকে মন সায় দেয় সেদিকে ফিরে পুনরায় নামায পড়তে হবে। এমনকি যদি পূর্বের চিন্তাভাবনা ছাড়া নামায সঠিক কেবলার দিকে ফিরে পড়া হয়েছিল বলে প্রমাণিত হয় তবুও সে নামায পুনরায় পড়তে হবে।
Comments (1)
যানবাহনে নামাজ আদায়ের পদ্ধতি - Muslims Daysays:
January 27, 2025 at 7:46 PM[…] কিবলা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে পড়ুন- নামাযে কিবলামুখী হওয়ার বিধান […]