Press ESC to close

নফল ‍উমরার বিধান

Post Updated at 18 May, 2025 – 10:07 PM

হজ-উমরার সফরে গিয়ে অনেকেই তানঈম (অর্থাৎ মসজিদে আয়েশা) থেকে ইহরাম বেঁধে নফল উমরা করে থাকেন। কেউ আবার আরাফা, হুদায়বিয়া কিংবা জি’রানা থেকেও ইহরাম বেঁধে আসেন। তবে মসজিদে আয়েশা হারামের খুব কাছাকাছি হওয়ার কারণে নফল উমরার ইহরাম সাধারণত এখান থেকেই বাঁধা হয়। প্রশ্ন হলো, এ নফল উমরার বিধান কী? এটা কতটুকু কাঙ্ক্ষিত বা পছন্দনীয়?

নফল উমরার ক্ষেত্রে দুই ধরনের প্রান্তিকতা লক্ষ করা যায়। কেউ কেউ আছেন, যারা সুযোগ পেলেই নফল উমরা আদায় করেন। এক সফরে আট-দশটা, এমনকি আরও বেশি উমরা আদায় করে থাকেন। আবার কেউ কেউ এ নফল উমরাকে (অর্থাৎ এক সফরে একাধিক উমরাকে) একেবারেই নিষিদ্ধ মনে করেন।

সাহরি, ইফতার ও নামাজের সময়সূচীর জন্য ডাউনলোড করুন মুসলিমস ডে অ্যাপ

এ ক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা হলো, নফল উমরা বা এক সফরে একাধিক উমরা করা জায়েয। তবে এ নফল উমরার বিশেষ কোনো ফযিলত নেই। মসজিদে হারামে সবচেয়ে ফযিলতপুর্ণ আমল হচ্ছে তাওয়াফ। যত বেশি সময় তাওয়াফে কাটানো যায় ততই ভালো। নফল উমরার মধ্যে যদিও তাওয়াফ রয়েছে, কিন্তু এ উমরার জন্যে মসজিদে আয়েশায় যেতে হয়, এরপর সেখান থেকে ইহরাম বেঁধে এসে তাওয়াফ করার পর সাঈ করতে হয়, এরপর হলক করতে হয়। একটি নফল উমরা করতে যত সময় প্রয়োজন হয়, ততটুকু সময় কেউ যদি নফল তাওয়াফে কাটায় তবে আরও অনেক বেশি সওয়াব এতে পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ। তাই অধিক পরিমাণে নফল ‍উমরা না করে অধিক পরিমাণে তাওয়াফ করুন, তাওয়াফে যত বেশি সম্ভব সময় কাটান। হ্যাঁ, কেউ যদি মক্কায় দীর্ঘ অবস্থানকালে এক-দুটি নফল উমরা করে, তবে তা দূষণীয়ও নয়।

নফল উমরার পরিবর্তে নফল তাওয়াফ উত্তম- এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত তাবেঈ আতা ইবনে আবী রাবাহ রহ.এর বক্তব্যটি উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেছেন :

الطواف بالبيت أحب إلي من الخروج إلى العمرة

অর্থাৎ উমরার জন্যে বেরিয়ে পড়ার চেয়ে কাবাঘরের তাওয়াফ করা আমার কাছে অধিক পছন্দনীয়। [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস : ১৬০৮৭]

আরেকটি লক্ষণীয় বিষয়, একই সফরে প্রথমে একবার উমরা করে হালাল হয়ে যাওয়ার পর যদি কেউ মিকাতের বাইরে চলে যায়, এরপর সেখান থেকে আবার মক্কায় প্রবেশ করে, তবে মিকাত অতিক্রম করার সময় তাকে অবশ্যই ইহরাম বেঁধে আসতে হবে। এ ইহরাম হজের নিয়তেও হতে পারে, উমরার নিয়তেও হতে পারে। মিকাতের বাইরে থেকে মককা মুকাররমার উদ্দেশ্যে কেউ এলে তাকে মিকাত অতিক্রম করার সময় অবশ্যই হজ বা উমরার নিয়তে ইহরাম বেঁধে আসতে হয়। তাই কেউ যদি মক্কা থেকে মদীনা বা তায়েফে যায়, সেখান থেকে আবার মক্কায় আসে, তাহলে সেখান থেকে ইহরাম বেঁধে আসতে হবে। কারণ তায়েফ ও মদীনা মিকাতের বাইরে অবস্থিত।

মাওলানা শিব্বীর আহমদ

উসতাযুল হাদীস, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া ঢাকা, মোহাম্মদপুর। মাসিক আলকাউসারসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেন। তাঁর লিখিত বইও পাঠক মহলে নন্দিত হয়েছে। তিনি মুসলিমস ডে অ্যাপের শরয়ী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

- আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

সাইট হিট কাউন্টার

সর্বমোট পোস্ট ভিউ: ৩,২৪৬,৭৯৯

পোস্ট কপি করার অপশন বন্ধ রাখা হয়েছে। অনুগ্রহ করে পোস্টের লিংক কপি করুন