Press ESC to close

ধূমপান করার বিধান

Post Updated at 8 Aug, 2025 – 8:17 PM

বিড়ি-সিগারেটে যদি নেশা জাতীয় কোনো জিনিস থাকে, তাহলে তা পান করা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম ও কবিরা গুনাহ। আর যদি নেশা জাতীয় কোনো বস্তু নাও থাকে, তবুও তা পান করা নাজায়িয ও গুনাহের কাজ।

ধূমপান নাজায়েজ হওয়ার কারণ

  1. এতে আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও রয়েছে। জেনে শুনে নিজের জান-মালের ক্ষতি করা গুনাহ।
  2. ধুমপায়ীর মুখের দুর্গন্ধে অন্যের কষ্ট হয়, যা পৃথক একটি গুনাহ।
  3. ধুমপানের ফলে ধুমপায়ীর পাশাপাশি অন্যরাও ক্ষতির শিকার হয়। যেসকল ব্যক্তি ঘরে ও কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় (অর্থাৎ সিগারেট থেকে নির্গত ধোঁয়া ও ধূমপায়ীর মুখ থেকে নির্গত ধোঁয়ার শিকার হয়) তাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা ২৫-৩০% ও ফুসফুস ক্যান্সারের সম্ভাবনা ২০-৩০% বাড়ে। পরোক্ষ ধূমপানের জন্য প্রতিবছর প্রায় ৩৮,০০০ লোক মারা যায়, যার মধ্যে ৩,৪০০ জন ফুসফুস ক্যান্সারে মারা যান।
  4. দুর্গন্ধযুক্ত অবস্থায় নামাযে দাঁড়ানো মাকরূহে তাহরীমী। বরং এ অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করাও মাকরূহ। হাদীস শরীফে ধুমপানের চেয়ে অনেক কম দুর্গন্ধ বস্তু কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খেয়ে মসজিদে প্রবেশ করতেও নিষেধ করা হয়েছে।

অতএব বিড়ি-সিগারেটের তীব্র দুর্গন্ধের সাথে মসজিদে প্রবেশ করা যে নিষিদ্ধ হবে তা তো সহজেই অনুমেয়। অবশ্য এ কারণে নামায ত্যাগ করা যাবে না এবং মসজিদে গমনাগমনও বন্ধ করা যাবে না। বরং অতি দ্রুত এ বদ অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে হবে। আর নামায আদায়ের পূর্বে এবং মসজিদে প্রবেশের আগে ভালো করে মেসওয়াক বা ব্রাশ করে দুর্গন্ধ দূর করে নিতে হবে।

আরো প্রকাশ থাকে যে, ধুমপানের দুর্গন্ধ নিয়েও যদি কেউ নামায পড়ে নেয় তাহলে তার নামায আদায় হয়ে যাবে।

রেফারেন্স:
https://www.alkawsar.com/bn/qa/answers/detail/1107/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

- আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

সাইট হিট কাউন্টার

সর্বমোট পোস্ট ভিউ: ৩,৮২১,২৯১

পোস্ট কপি করার অপশন বন্ধ রাখা হয়েছে। অনুগ্রহ করে পোস্টের লিংক কপি করুন