Post Updated at 30 Jan, 2025 – 11:25 AM
জানাযার নামায ফরযে কেফায়া। একজন ব্যক্তিও যদি জানাযার নামায পড়ে তাহলে সকলের পক্ষ থেকে ফরয আদায় হয়ে যাবে। আর কেউ না পড়লে সকলেই গোনাহগার হবে।
জানাযার নামায পড়ার পদ্ধতি
জানাযার নামায চার তাকবিরে পড়তে হয়। চারটি তাকবিরই ফরয। প্রথম তাকবির বলার সময় হাত উঠান। বাকিগুলোতে হাত ওঠাবেন না। প্রথম তাকবির বলে নাভির নীচে হাত বাঁধুন। ছানা পড়ুন। এরপর দ্বিতীয় তাকবির বলে দরুদ শরীফ পড়ুন। এরপর তৃতীয় তাকবির বলে জানাযার নামাযের দোয়া পড়ুন। এরপর চতুর্থ তাকবির বলে প্রথমে ডানে এবং পরে বামে সালাম ফিরান এবং হাত ছেড়ে দিন।
সালাম ফেরানোর সময় দুই সালামের পরও হাত ছাড়তে পারেন। আবার সালামের পূর্বেই দুই হাত ছেড়ে দিয়ে ডান দিকে ও বাম দিকে সালাম ফেরাতে পারেন।
স্বাভাবিক নামাযে শুধু তাকবিরে তাহরিমা অর্থাৎ নামায শুরুর তাকবিরটি ফরয, কিন্তু জানাযার নামাযের চারটি তাকবিরই ফরয। ইমাম-মুক্তাদি সকলকেই এই চারটি তাকবির বলতে হবে।
জানাযার নামায পড়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন, যেখানে দাঁড়িয়েছেন সেখানে নাপাক কোনো কিছু আছে কি না। নাপাক জায়গায় দাঁড়িয়ে নামায হবে না।
জুতা পায়ে জানাযার নামায
যদি মাটি কিংবা জুতার নীচের অংশ পাক-পবিত্র থাকে, তাহলে জুতা পরেও জানাযার নামায পড়তে পারেন। আর যদি মাটিতে কিংবা জুতার নীচে নাপাক কোনো কিছু থাকে, আর জুতার উপরের অংশ পবিত্র থাকে, তাহলে জুতা খুলে জুতার উপর দাঁড়িয়েও নামায পড়া যাবে। জুতার নীচের অংশে বা মাটিতে নাপাক কিছু থাকলে জুতা পায়ে দিয়ে নামায পড়া যাবে না। কেউ চাইলে জুতা খুলে পবিত্র মাটিতে দাঁড়িয়েও নামায পড়তে পারেন।
জানাযার নামাযে কেরাত
জানাযার নামাযে কোনো কেরাত পড়তে হয় না। এমনকি সূরা ফাতেহাও নয়। তবে কেউ যদি দোয়া কিংবা ছানা হিসেবে সূরা ফাতেহা পড়তে চায় তাহলে পড়তে পারে, কিন্তু কেরাত হিসেবে পড়তে পারবে না। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেছেন :
لم يوقت لنا في الصلاة على الميت قراءة ولا قول كبر ما كبر الإمام وأكثر من طيب الكلام.
অর্থ : আমাদের জন্যে জানাযার নামাযে কোনো কেরাত কিংবা কোনো বাক্য নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। ইমাম যখন তাকবির বলে, তখন তুমিও তাকবির বলো আর তার জন্যে অধিক পরিমাণে ভালো কথা বলো। [মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস : ৪১৫৩]
এছাড়া হযরত আলী রা. এবং হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা.সহ আরও অনেক সাহাবী-তাবেয়ী সম্পর্কে বর্ণিত আছে, তারা জানাযার নামাযে সূরা ফাতেহা পড়তেন না। [দ্রষ্টব্য : মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস : ১১৪৯৪, ১১৫২২, ১১৩৭৭,১১৫২৭; সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, ৪/৪০]
Leave a Reply