
Post Updated at 30 Jan, 2025 – 11:17 AM
গায়েবানা জানাযা
জানাযার নামায শুদ্ধ হওয়ার জন্যে মৃতব্যক্তির লাশ সামনে থাকা জরুরি। লাশ সামনে রেখে ইমাম সাহেব দাঁড়াবেন। অন্যরা তার পেছনে দাঁড়াবেন। গায়েবানা জানাযা অর্থাৎ লাশ উপস্থিত না করে জানাযা পড়া শুদ্ধ নয়। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কোনো সাহাবীর গায়েবানা জানাযা পড়েছেন, কিংবা কোনো সাহাবী কারও গায়েবানা জানাযা পড়েছেন, এমন কোনো প্রমাণ নেই।
একাধিক জানাযা
জানাযার নামায একবারই পড়ার বিধান। একজন মৃতব্যক্তির একাধিকবার জানাযার নামায পড়া সুন্নাহসম্মত নয়। মৃতব্যক্তির কোনো অভিভাবক একবার জানাযার নামায পড়লে কিংবা তার অনুমতিক্রমে জানাযার নামায পড়া হলে দ্বিতীয়বার জানাযা পড়া বিদআত ও মাকরুহ। হ্যাঁ, যদি অভিভাবকদের অনুমতি না নিয়েই কেউ জানাযা পড়িয়ে দেয় এবং তাতে অভিভাবকের সম্মতি না থাকে, তাহলে অভিভাবক চাইলে জানাযার নামায পুনরায় পড়তে পারবে। সাহাবা-তাবেঈগণের আমল থেকেই এ বিষয়টি প্রমাণিত। তাদের কেউ যখন জানাযায় শরিক হতে পারতেন না, তখন দ্বিতীয়বার জানাযা না পড়ে তার জন্যে কেবল দুআ করতেন। যেমন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. সম্পর্কে বর্ণিত আছে, তিনি কোনো জানাযায় পৌঁছতে পৌঁছতে জানাযা নামায শেষ হয়ে গেলে মৃতের জন্য দুআ করে ফিরে আসতেন। দ্বিতীয় বার জানাযা পড়তেন না। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ৬৫৪৫]
একটি ভুল কৌশল : কখনো কখনো দেখা যায়, দুই জায়গায় দুটি জানাযা পড়া হয়। দুটোই মৃতব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছা ও অনুমতিতেই হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে একটি কৌশলের অবলম্বন করা হয়। প্রথম জানাযায় মৃতব্যক্তির এক বা একাধিক অভিভাবক কিংবা কোনো অভিভাবকই (ছেলে বা অন্য কেউ) ইচ্ছাকৃত শরিক থাকে না। কিন্তু তাদের সম্মতিতেই জানাযা হয়ে থাকে। এরপর তারা দ্বিতীয় জানাযায় তারা শরিক হন। এ কৌশলটি শুদ্ধ নয়। কারণ অভিভাবকদের কারও উপস্থিতিতে কিংবা তাদের অনুমতিতে একবার জানাযার নামায পড়ার পর দ্বিতীয়বার জানাযার নামায পড়া বৈধ হবে না। প্রথম জানাযা অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়া হয়ে গেলেই কেবল দ্বিতীয় জানাযা বৈধ হবে।
Comments (2)
শরীফুল ইসলামsays:
February 14, 2025 at 9:42 PMকথিত আছে যে রাসূল সা. নাজাশির গায়েবানা জানাযা পড়েছিলেন। এটি কি শুদ্ধ নয়?
শুদ্ধ হলে আমাদের জন্য জায়েয হবে না কেন?
জানালে উপকৃত হবো। জাযাকুমুল্লাহ।
মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:
March 15, 2025 at 2:01 AMহ্যাঁ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজাশির গায়েবানা জানাযা পড়েছেন। তবে েএটা তাাঁর জন্যে খাস বিধান ছিল।
এটা যদি আম বা সাধারণ বিধান হতো, সকলের জন্য প্রযোজ্য হতো, তবে তিনি আরও সাহাবীদের গায়েবানা জানাযা পড়তেন, সাহাবায়ে কেরামও এর ওপর আমল করতেন। কিন্তু এমন কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না।