Post Updated at 30 Jan, 2025 – 11:11 AM
আমাদের সমাজে কাযা নামাযকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এক. সাধারণ কাযা, দুই. উমরী কাযা। কারও যখন কয়েক ওয়াক্ত নামায কাযা হয়, এরপর তা আদায় করে ফেলে, এরকম কাযাকে সাধারণ কাযা বিবেচনা করা হয়। আর জীবনের একটা দীর্ঘসময় ধরে নামায না পড়ার কারণে যা কাযা হয়েছে সেগুলোকে উমরী কাযা বলা হয়।
আসলে হাদীসে কাযা নামাযের এমন কোনো ভাগ নেই। বরং সবই কাযা নামায এবং প্রতিটি কাযা নামাযই পড়ে নেয়া ফরয। এখন কাউকে কাউকে বলতে শোনা যায়⸺উমরী কাযা বলে কোনো কথা নেই। এ কথা বলে তারা বোঝাতে চায়⸺পেছনের কাযা নামাযগুলো পড়তে হবে না। তারা আরও বলে, কাযা নামাযের জন্যে তওবা করে নিলেই হবে, আর কিছু লাগবে না। তাদের এ কথা ঠিক নয়। হাদীস শরীফে স্পষ্টই আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাযা নামায নিজে আদায় করেছেন, অন্যদেরকেও আদায় করতে বলেছেন। খন্দকের যুদ্ধের সময় তাঁর এবং সাহাবীদেরও চার ওয়াক্ত নামায কাযা হয়ে যায়। সেগুলো তারা পরে আদায় করে নিয়েছেন। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ১১১৯৮] এ ছাড়া মুসলিম শরীফের হাদীসটি খুবই স্পষ্ট। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাযা নামায আদায়ের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন :
مَنْ نَسِىَ صَلاَةً أَوْ نَامَ عَنْهَا فَكَفَّارَتُهَا أَنْ يُصَلِّيَهَا إِذَا ذَكَرَهَا
অর্থ : যে ব্যক্তি কোনো নামাযের কথা ভুলে যায় কিংবা ঘুমের কারণে নামায ছুটে যায়, তার কাফফারা হলো- নামাযের কথা স্মরণ হলে তা আদায় করে নেয়া। [হাদীস : ৬৮৪]
Leave a Reply