Press ESC to close

হযরত আলী (রা) এর দান বিষয়ক মিথ্যা কিসসা

Post Updated at 7 Aug, 2025 – 11:55 AM

আলী রা.-এর ছয় দিরহাম দান এবং জিবরীল ও মিকাঈল আ.-এর উটনী ক্রয়-বিক্রয় প্রসঙ্গে লোকমুখে এ কাহিনীটি বেশ প্রসিদ্ধ-

হযরত আলীর রা. ৬ দিরহাম দান বিষয়ক কিসসা

একদিন আলী রা. অর্থের প্রয়োজনে ফাতেমা রা.-এর একটি শাল বাজারে বিক্রি করতে গেলেন। তিনি মাত্র ৬ দিরহামে শালটি বিক্রি করলেন। একজন ভিক্ষুক এসে হাত পাতলে তিনি সেই ছয় দিরহাম তাকে দিয়ে দিলেন। এতে আল্লাহ অনেক খুশি হলেন।

পরক্ষণেই (জিবরীল আমীন) এক গ্রাম্য ব্যক্তির ছুরতে একটি উটনী নিয়ে এলেন এবং আলী রা.-কে বললেন, আপনি কি আমার কাছ থেকে এ উটনীটি ক্রয় করবেন? তখন আলী রা. বললেন, আমার কাছে যে নগদ অর্থ নেই! তখন তিনি বললেন, আপনি বাকিতেই নিয়ে যান।

দরদাম ঠিক হওয়ার পর তিনি একশ দিরহামে উটনীটি ক্রয় করলেন। পথিমধ্যে মীকাঈল আ. একজন মানুষের ছুরতে এসে বললেন, আলী! উটনীটি কি বিক্রি করবেন? তিনি বিক্রি করতে রাজি হলেন, বললেন, আমি এটি একশ দিরহামে কিনেছি, তুমি কত দিয়ে নেবে? তখন সে বলল, আমি একশ ষাট দিরহামে নিব। তিনি তার কাছে উটনীটি একশ ষাট দিরহামে বিক্রি করলেন।

তারপর বিক্রেতার (জীবরীল আ.) সাথে দেখা হল। সে বলল, উটনীটি কি বিক্রি করতে পেরেছেন? তিনি বললেন, হাঁ এবং তাকে উটনীর মূল্য একশ দিরহাম দিয়ে দিলেন। বাকি ষাট দিরহাম নিয়ে বাড়িতে এলেন।

তা দেখে ফাতিমা রা. ঘটনা জানতে চাইলেন। তখন তিনি বললেন, আমি ছয় দিরহাম দান করেছি, এর বিনিময়ে আল্লাহ আমাকে এ ষাট দিরহাম দান করেছেন। এরপর পুরো ঘটনা খুলে বললেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলে তাঁকেও ঘটনা শোনানো হল। তিনি বললেন, উটনীর বিক্রেতা ছিল, জিবরীল, ক্রেতা ছিল মীকাঈল আর উটনীটি হল ঐ উটনী, যাতে ফাতেমা কাল কিয়ামতের দিন সওয়ার হবে।

ঘটনাটি কেউ কেউ এভাবেও বলে থাকে-

একদিন মা ফাতেমা রা. হযরত আলী রা.-কে বললেন, ঘরে কিছু সুতা কেটেছি, বাজারে বিক্রি করে ক্ষুধার্ত হাসান ও হোসেনের জন্য কিছু আটা নিয়ে আসুন। হযরত আলী রা. সুতাগুলো নিয়ে বাজারে ৬ দিরহামে বিক্রি করলেন।

এমন সময় এক অসহায় সাহাবী হযরত আলী রা.-কে বললেন, আলী! কিছু দিরহাম কর্য হবে? আমার ঘরে বাচ্চারা না খেয়ে আছে…

আসলে এটি একটি বানোয়াট গল্প

এটি একটি ভিত্তিহীন কিসসা। এর নির্ভরযোগ্য কোনো সনদ খুঁজে পাওয়া যায় না। আলী রা.-এর বিষয়ে শিয়ারা অনেক বিষয় জাল করেছে; আলোচ্য কিসসাটিও শিয়াগণ কর্তৃক জালকৃত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

লেখাটি প্রসিদ্ধ নির্ভরযোগ্য ইসলামি পত্রিকা মাসিক আলকাউসার থেকে সংগৃহীত। বিস্তারিত জানতে মূল লেখাটি পড়ুন।

রেফারেন্স

মাসিক আলকাউসার

https://www.alkawsar.com/bn/article/2653/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

- আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

সাইট হিট কাউন্টার

সর্বমোট পোস্ট ভিউ: ৩,৮১৭,২৮৭

পোস্ট কপি করার অপশন বন্ধ রাখা হয়েছে। অনুগ্রহ করে পোস্টের লিংক কপি করুন