Post Updated at 20 May, 2023 – 2:56 PM

[আগের লেখাটি থেকে ৮ জিলহজের আমলগুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন]

৯ জিলহজ আরাফার ময়দানে অবস্থান

৯ তারিখ সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে আরাফার মাঠে রওয়ানা করতে হয়। অবশ্য এখান থেকেও অনেক মুআল্লিম হাজীগণকে ৮ তারিখ রাতেই মিনা থেকে আরাফায় নিয়ে যান। যদি অধিকাংশ রাত পার হওয়ার পর মিনা থেকে রওয়ানা করা হয়, তবে মিনায় রাতযাপনের সুন্নতটি আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু পরের দিন ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার সুন্নতটি আদায় হবে না। তাই যদি কেউ মিনা থেকে হেঁটে আরাফায় যাওয়ার হিম্মত করতে পারেন, এবং অভিজ্ঞ সঙ্গীও পেয়ে যান, তিনি চাইলে সূর্যোদয়ের পর হেঁটেও আরাফায় রওয়ানা হতে পারেন। অন্যথায় কাফেলার সঙ্গে চলে যাওয়াই অধিক নিরাপদ।

 

 

হজ ও ওমরা আদায়ের ধারাবাহিক ও বিস্তারিত বর্ণনার লেখাগুলোকে একত্রে পিডিএফ আকারে পড়তে পারেন। PDF ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন।

 

উকুফে আরাফা বা আরাফায় অবস্থানের মূল সময়

আরাফার মাঠে অবস্থান করা হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। ৯ তারিখ সূর্য ঢলে যাওয়ার পর থেকে (অর্থাৎ যুহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পরে) আরাফায় অবস্থানের সময় শুরু হয়। সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে হয়। এর আগে সেখান থেকে বের হওয়া যাবে না। কেউ যদি সূর্য ঢলে যাওয়ার পর আরাফায় পৌঁছেন, তবে তিনিও সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন।

আরাফার গোসল

আরাফার দিন গোসল করা সুন্নত। যদি সম্ভব হয়, তবে জোহরের সময় হওয়ার পর দ্রুত গোসল সেরে নিন।

আরাফার মাঠে নামাজ

আরাফার মাঠে জোহর ও আসর—এ দুই ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। যারা মসজিদে নামিরার জামাতে শরিক হতে পারবেন, তারা জোহরের ওয়াক্তে একই সঙ্গে জোহর ও আসর আদায় করবেন। আর যারা তাবুতে জামাত করবেন, তারা জোহরের সময় জোহর এবং আসরের সময় আসর পড়বেন। তবে কেউ যদি তাবুতেও জোহরের ওয়াক্তেই জোহর ও আসর আদায় করে নেয়, তার নামাজও আদায় হয়ে যাবে। এ নিয়ে বিতর্কের প্রয়োজন নেই। আসরের নামাজ যদি আসরের ওয়াক্তে পড়া হয়, তবে এর আগে নফল নামাজও পড়া যাবে। কিন্তু আসরের ফরজ পড়ার পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত আর কোনো নফল নামাজ পড়া যাবে না।

আরাফার মাঠের দোয়া

আরাফার মাঠে অবস্থানের পুরো সময় বেশি করে তালবিয়া পড়ুন। পুরুষেরা কোনো খোলা জায়গায় গিয়ে প্রাণ খুলে দোয়া করুন। দোয়া কবুল হওয়ার একিন করুন। ক্ষমাপ্রার্থনা করুন। দুনিয়া-আখেরাতের সবরকম কল্যাণ চেয়ে দোয়া করুন। মোনাজাতে মকবুল বা এ জাতীয় কোনো দোয়ার বই থেকে দোয়া পড়তে পারেন। আরাফার মাঠে একটি দোয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ—

لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

এ দোয়াটি আরাফার মাঠে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও পড়েছেন, পূর্ববর্তী নবীগণও পড়েছেন।

আরাফার এ সময়টুকু খুবই মনোযোগের সঙ্গে অতিবাহিত করুন। এর সামান্য অংশও যেন উদাসীনতায় না কাটে—খেয়াল রাখুন। দোয়ার পাশাপাশি জিকির-ইস্তেগফার, তেলাওয়াত, দরুদ শরীফ, কালিমায়ে তায়্যেবা—এসবে ব্যস্ত থাকুন।

[পরের লেখাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন]

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

- আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ
ক্যাটাগরি সমূহ
ট্যাগ সমূহ
error: অনুগ্রহ করে লেখাটি কপি করবেন না। লিংক শেয়ার করুন। ধন্যবাদ