Post Updated at 27 Apr, 2023 – 11:11 AM
অতুলনীয় ফজিলতের মাস রমজান। পুরো মাসজুড়েই দিনের বেলা সিয়ামসাধনায় মগ্ন থাকেন আল্লাহপ্রেমিক মুসলমানগণ। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম রমজানের এই সিয়ামসাধনা। সারা বছরে এই একটি মাসেই রোজা রাখা ফরজ। বিরামহীন একমাসের কঠোর এ সাধনার পর যখন আকাশে নতুন চাঁদ ওঠে, রোজাদার মুসলমানগণ তখন তাদের সিয়ামসাধনার একটি পুরস্কার লাভ করে। রমজানের পরবর্তী মাসটি হচ্ছে শাওয়াল আর শাওয়ালের প্রথম তারিখই হচ্ছে ঈদুল ফিতর। রমজানের প্রতিটি দিন যেমন রোজা রাখা ফরজ, নারী-পুরুষ ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের জন্যে এ বিধান শিরোধার্য, তেমনি এ ঈদুল ফিতরের আনন্দও সর্বজনীন, এদিন সকলের জন্যেই রোজা রাখা হারাম।
রমজানের ফরজ রোজাকে এভাবেই অন্যান্য দিনের রোজা থেকে পৃথক করা হয়েছে। ঈদুল ফিতরের দিনটি রোজাদারের জন্যে পুরস্কারস্বরূপ—এ কথা ঠিক, পাশাপাশি এ বিধানের মধ্য দিয়ে ফরজ ও নফল রোজা মিশে যাওয়ার আশংকাও দূর হয়েছে।
শাওয়ালের ৬ রোজার ফজিলত
কিন্তু যে অনন্য মহিমায় ভাস্বর হয়ে থাকে পবিত্র মাহে রমজান, অতুলনীয় যে ফজিলতকে তা ধারণ করে রাখে, পরের মাস শাওয়ালের চাঁদ ওঠার সাথে সাথেই কি তা একেবারে শেষ হয়ে যাবে? মহামহিম আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে অনুগত বান্দাদের জন্যে ব্যবস্থা ঠিক এরকম নয়। শাওয়ালের প্রথম তারিখ ঈদুল ফিতরের দিন রোজাকে নিষিদ্ধ করে রমজানের অনন্যতাকে একদিকে অধিক স্পষ্ট করা হয়েছে, অপরদিকে ঈদের পরদিন থেকেই পুরো মাসজুড়ে ঐচ্ছিকভাবে আরেকটি ফজিলতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সহীহ মুসলিম শরীফের বর্ণনা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ
‘যে রমজান মাসের রোজা রাখল, এরপর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন পুরো বছরই রোজা রাখল।’ [হাদীস নং ১১৬৪]
যে কোনো ভালো কাজ করলে দশগুণ নেকি পাওয়া যায়—এটি কুরআনের ঘোষণা। সুরা আনআমে আল্লাহ তায়ালার ইরশাদ—
مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا
‘যে কেউ কোনো ভালো কাজ করবে, সে এর দশগুণ নেকি লাভ করবে।’ [আয়াত : ১৬০]
রমজানের ত্রিশটি রোজা রাখার পর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখলে মোট রোজার সংখ্যা দাঁড়ায় ছত্রিশটি। আর ছত্রিশটি রোজার দশগুণ হচ্ছে তিনশ ষাটটি রোজা। এ অর্থেই শাওয়ালের ছয় রোজার মাধ্যমে পুরো বছরের রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়। হাদীসের ভাষ্য থেকে এটাও স্পষ্ট, শাওয়ালের ছয় রোজা দিয়ে পুরো বছরের রোজার নেকি হাসিল করতে হলে অবশ্যই রমজানের পুরো মাস রোজা রাখতে হবে। রমজানের রোজা না রেখে, কিংবা কিছু রেখে কিছু না রেখে শাওয়ালের রোজা রাখলে এ ফজিলত পাওয়া যাবে না। রমজান মাস যদি উনত্রিশ দিনে শেষ হয়ে যায়, তবু এ সওয়াব প্রাপ্তির জন্যে শাওয়ালের ছয়টি রোজাই যথেষ্ট। এক্ষেত্রে এমনটি মনে করার অবকাশ নেই, রমজান মাস উনত্রিশ দিনে শেষ হলে হয়তো শাওয়াল মাসে সাতটি রোজা রাখতে হবে। কারণ হাদীসে স্পষ্টভাবেই রমজান মাসের রোজা রাখার পর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। রমজান মাস ত্রিশ দিনে শেষ হলো, না উনত্রিশ দিনে—তা এক্ষেত্রে বিবেচ্য নয়।
শাওয়ালের ৬ রোজা রাখার নিয়ম
এ ছয়টি রোজা কীভাবে রাখতে হবে—বিরতিহীনভাবে, না বিরতি দিয়ে দিয়ে? ঈদুল ফিতরের পর পর, না মাসের শেষ দিকে? না মাসের মাঝের দিনগুলোতে? এসব বিষয়ে হাদীস বিশারদ মনীষীগণের পক্ষ থেকে সবরকম মতই বর্ণিত হয়েছে। কেউ বলেছেন, মাসের শুরুর দিকে বিরতিহীনভাবে এ ছয় রোজা রাখা উত্তম। কারণ এতে একটি কল্যাণকর কাজ দ্রুত সম্পাদিত হবে। আবার কেউ বলেছেন, শেষ দিকে কিংবা বিরতি দিয়ে দিয়ে রোজাগুলো রাখা উত্তম হবে। কেননা এতে রমজানের ফরজ রোজার সাথে এ নফল রোজার একটি পার্থক্য স্পষ্টরূপে ফুটে উঠবে।
মোটকথা, এ রোজাগুলো যেভাবেই রাখা হোক, মাসের যে সময়েই রাখা হোক, হাদীসে বর্ণিত এ সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। অনেকে অবশ্য বিরতিহীনভাবে এ ছয় রোজা রাখাকে জরুরি মনে করে থাকে, এ ধারণাটি ঠিক নয়।
শাওয়ালের ৬ রোজা বিষয়ে জ্ঞাতব্য
- রমজানের রোজা কাজা থাকলে আগে সেগুলো রেখে এরপর শাওয়ালের নফলগুলো রাখা ভালো। তবে কাজা রোজা আগে রাখলে যদি শাওয়ালের ৬টি রোজা রাখা না যায়। তাহলে চাইলে শাওয়ালের ৬টি নফল রোজা আগে রাখতে পারবে। এরপর পরবর্তীতে রমজানের কাজাগুলো আদায় করতে হবে। শাওয়ালের রোজাগুলো নফল আর রমজানের কাজা রোজা আদায় করা ফরজ। তাই নফল রাখতে গিয়ে কোনো ক্রমেই যেন রমজানের কাজা রোজা ছুটে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- রমজানের রোজার মত এ রোজার ক্ষেত্রেও সাহরি খাওয়া সুন্নত। আমাদের উচিত সাহরি খাওয়া। কিন্তু কোনো কারণে সাহরি খেতে না পারলেও রোজা হয়ে যাবে
- শাওয়ালের ৬ রোজার জন্য তারাবীহ নামাজ আদায় করতে হয় না। অবশ্য তারাবীর নামাজের সাথে রমজানের রোজারও কোনো সম্পর্ক নেই। রমজানের রোজা একটি স্বতন্ত্র ইবাদত এবং তারাবীহ নামাজ আরেকটি ভিন্ন ইবাদত
- শাওয়ালের রোজার জন্য বিশেষ কোনো নিয়ত নাই। শুধু নফল রোজার নিয়ত করবেন। আর নিয়ত মুখে উচ্চারণ করে পড়াও জরুরি নয়। মনের intention থাকাই যথেষ্ট
- অজ্ঞতা বশত অনেকে এই রোজাকে “সাক্ষী রোজা” বলে থাকেন। তারা মনে করেন এই ৬টি রোজা রাখলে এগুলো রমজানের রোজার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে সাক্ষ্য দিবে। এটাও পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট একটি বিশ্বাস। তাই শাওয়ালের ৬ রোজাকে আমরা সাক্ষী রোজা বলব না
- ফজরের আযানের সাথে সাহরির শেষ সময়ের কোনো সম্পর্ক নাই। রমজান মাসের তুলনায় অন্য সময়ে ফজরের আযান দেয়া হয় সাহরির সময় শেষ হওয়ারও প্রায় আধা ঘন্টা পর। তাই ফজরের আযান পর্যন্ত সাহরি খেতে থাকলে রোজা হবে না এটা শতভাগ নিশ্চিত। তাই কোনো ক্রমেই ফজরের আযান পর্যন্ত সাহরি খাওয়া যাবে না। সুবহে সাদিক তথা সাহরির শেষ সময়ের মধ্যেই খাওয়া শেষ করতে হবে। আযান পর্যন্ত সাহরি খেলে রোজা হবে না। সাহরির সঠিক সময় দেখার জন্য আমাদের ডেভেলপ করা মুসলিমস ডে অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন
আরও কয়েকটি নফল রোজা
ঈদুল ফিতরের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী সিয়ামসাধনার সমাপ্তি ঘটে—এ কথা ঠিক। কিন্তু এর চেতনা ও শিক্ষা একজন মুমিন বাকি এগারটি মাস মনেপ্রাণে ধারণ করে। শুধু তাই নয়, হাদীস শরীফে এমন আরও কিছু রোজার কথা বর্ণিত হয়েছে, যেগুলো সওয়াব ও পুরস্কারপ্রাপ্তির দিক দিয়ে সারা বছরের রোজা রাখার সমতুল্য। কিছু রোজা আবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বছর জুড়ে নির্দিষ্ট সময়ে রাখতেন। এখানে আমরা এমনি দুটি বিষয় উল্লেখ করছি।
প্রতি মাসে তিনটি রোজা
রমজানের পর থেকে আবার রমজান আসা পর্যন্ত প্রতি আরবি মাসে তিনটি রোজা রাখা সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত এ রোজা রাখতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকেও এ বিষয়ে উৎসাহিত করতেন। উম্মুল মুমিনীন হযরত হাফসা রা. বলেছেন, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারটি বিষয় কখনো ছাড়তেন না—১. আশুরার রোজা, ২. জিলহজের প্রথম দশকের রোজা, ৩. প্রতি মাসে তিন রোজা আর ৪. ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ। [সুনানে নাসাঈ, হাদীস : ২৪১৬]
সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা.। আমলের প্রতি অত্যধিক উৎসাহী ছিলেন তিনি। বছর জুড়ে রোজা রাখতেন আর রাতভর তাহাজ্জুদ নামাজে কুরআন শরীফ পড়ে পড়ে কাটিয়ে দিতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বিষয়টি জানতে পারলেন, তখন তাকে এ থেকে বারণ করলেন আর বললেন,
لاَ صَامَ مَنْ صَامَ الدَّهْرَ صَوْمُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ صَوْمُ الدَّهْرِ كُلِّهِ
যে সারা বছর রোজা রাখে, তার রোজাই হয় না। (প্রতি মাসে) তিনটি রোজাই পুরো বছরের রোজার সমতুল্য। [সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৯৭৯]
শাওয়ালের ছয় রোজার মতো এখানেও দশগুণ নেকির বিষয়টিই বিবেচ্য। তিন দিন রোজা রাখলে এর দশগুণ হিসেবে ত্রিশটি অর্থাৎ পুরো মাস রোজা রাখার সওয়াব মিলে। আর এভাবে যে বছরের প্রতিটি মাসে রোজা রাখবে, সে যেন পুরো বছরই রোজা রাখল। এই অর্থেই উপরোক্ত হাদীসে প্রতি মাসে তিনটি রোজাকে সারা বছরের রোজার সমতুল্য বলা হয়েছে।
এ তিনটি রোজা মাসের কোন তারিখে রাখতে হবে—এ নিয়ে অবশ্য কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। মাসের শুরুতে মাঝে শেষে—যে কোনো সময়ই তা রাখা যেতে পারে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো তারিখ নির্দিষ্ট করে এ রোজা রাখতেন না। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. এমনটিই বলেছেন—‘রোজাগুলো মাসের কোন তারিখে হচ্ছে এ নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোনো ভাবনা ছিল না।’ [সহীহ মুসলিম] তবে হাদীস শরীফে এও পাওয়া যায়, তিনি কোনো কোনো সাহাবীকে কখনো প্রতি আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখার জন্যে উৎসাহিত করেছেন।
সহীহ বুখারীর বর্ণনা, হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেছেন, আমার বন্ধু হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতে আদেশ করেছেন। [হাদীস : ১৯৮১] ইমাম বুখারী রহ.এর ব্যাখ্যা অনুসারে, এ তিন দিন হলো প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ। এ তিন দিন রোজা রাখাও সুন্নত। পরিভাষায় এ তিন দিনকে ‘আয়্যামে বিয’ বলা হয়। তাই যদি কেউ প্রতি মাসের এ তিন দিন রোজা রাখে, তাহলে আয়্যামে বিযের রোজার সুন্নতও আদায় হবে, আবার মাসে তিন দিন রোজা রাখার সুন্নতও পালিত হবে। আর এর মধ্য দিয়ে খুব সহজেই অর্জিত হতে পারে পুরো বছরের নফল রোজার সওয়াব। আইয়্যামে বীযের রোজা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এখান থেকে।
প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিয়মিত আমল ছিল—তিনি প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। সাহাবী হযরত উসামা ইবনে যায়দ রা. তাঁকে একদিন জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি যখন রোজা রাখতে শুরু করেন তখন এমন হয় যেন আপনি আর রোজা ছাড়বেন না। আবার যখন রোজা না রাখতে শুরু করেন, তখন মনে হয় যেন আপনি আর রোজা রাখবেন না। কিন্তু দুইটি দিনের কথা ভিন্ন। সে দুইটি দিন অবশ্য আপনি নিয়মিতই রোজা রাখেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, কোন দুই দিন? সাহাবী বললেন, সোম ও বৃহস্পতিবার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
ذَانِكَ يَوْمَانِ تُعْرَضُ فِيهِمَا الأَعْمَالُ عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ فَأُحِبُّ أَنْ يُعْرَضَ عَمَلِى وَأَنَا صَائِمٌ
‘এই দুই দিন (মানুষের) আমল বিশ্বজগতের প্রভুর সামনে উপস্থিত করা হয়। আমার ইচ্ছা, আমার আমলগুলো যখন তাঁর নিকট পেশ করা হয় তখন যেন আমি রোজা অবস্থায় থাকি।’ [সুনানে নাসাঈ, হাদীস : ২৩৫৮]
সপ্তাহের এ দুই দিন এবং আয়্যামে বিযের তিন দিনেও শাওয়ালের ছয় রোজা রাখা যেতে পারে। প্রয়োজন কেবল একটু সচেতনতা। এতে একটি আমলের মধ্য দিয়েই তিনটি আমল পালিত হতে পারে খুব সহজেই। আল্লাহর ভান্ডারে যে সবকিছুই অসীম! করুণাময় সেই সত্তার নিকট আমরা সবকিছুর প্রতিদানই আশা করতে পারি।
Md. Ajij Sk
April 23, 2023 at 6:44 pmAlhamdulillah, Mashallah, Subhanallha
কাজী মুহাম্মদ ইসহাক
April 24, 2023 at 12:41 amএ আর্টিকেল ও আপনার ডেভেলপকৃত Muslims Day app থেকে অনেক প্রয়োজনীয় ও চমৎকার চমৎকার বিষয় অবগত হলাম। দোয়া করি আপনার এ দাওয়াতি মিশন আল্লাহপাক কবুল করুক এবং পরকালে আপনার নাজাতের ঊছিলা হোক।
মাওলানা শিব্বীর আহমদ
April 26, 2023 at 6:01 amআমীন।
MD Nasir uddin
April 24, 2023 at 3:38 pmরোজা পূরণ করার থাকলে,সেগুলো কি শাওয়াল মাসের ৬টি রোজার আগে পূরণ করতে হবে।
মাওলানা শিব্বীর আহমদ
April 26, 2023 at 6:00 amকরতে পারলে ভালো।
Rojina khatun
April 24, 2023 at 7:13 pmAlhamdulillah ❤️
Mohammad Noor
April 25, 2023 at 5:43 amAlhamdulillah
Mohammad Noor
April 25, 2023 at 5:46 amYou are writing right.Masallah💯
যোবায়ের আল মাহমুূদ
April 25, 2023 at 3:49 pmশুধুমাত্র বাংলাদেশ বাদে পুরো পৃথিবীতে একই দিনে ঈদের জামাত হয় কেন?ঈদের দিন রোযা রাখা হারাম,তাহলে আমাদের বিষয়টি কোন দিকে যায়?২/৩ ঘন্টার ব্যবধান আর ২৪ ঘন্টার ব্যবধান কি এক জিনিস?আমি যদি পুরো পৃথিবীর সাথে মিলিয়ে রোযা রাখি এবং ঈদ পালন করি তাহলে সহীহ্ শরীয়তের দৃষ্টিতে কেমন হবে?
মাওলানা শিব্বীর আহমদ
April 26, 2023 at 7:34 amবাংলাদেশ বাদে পুরো পৃথিবীতে একইদিনে ঈদ পালন করার তথ্যটি মোটেও সঠিক নয়। এবারের ঈদটি (২০২৩ এর ঈদুল ফিতর) লক্ষ করুন। সৌদি আরব, মিশর, জর্দান, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, ইরাক, কুয়েত, কাতার ইত্যাদি দেশ ঈদ পালন করল শুক্রবার ২১ এপ্রিল। আর বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনিশিয়া, জাপান, ব্রুনাই, সিংগাপুর, থাইল্যান্ড, ইরান ইত্যাদি দেশ ঈদ পালন করল শনিবার ২২ এপ্রিল। অনলাইন ঘেটে যে কেউ এসব তথ্য দেখে নিতে পারে। তাই পুরো পৃথিবীতে একই দিনে ঈদ হওয়ার তথ্যটি বিভ্রান্তি ছাড়া আর কিছুই নয়।
দ্বিতীয়ত, শরিয়তের বিধান হলো, চাঁদ দেখে রোজা রাখা এবং চাঁদ দেখেই ঈদ পালন করা। যে দেশে যেদিন চাঁদ দেখা যাবে, সে দেশে এর পরদিন রোজা বা ঈদ হবে। খোদ সৌদি আরবও একই নীতি অনুসরণ করে। অন্য কোনো দেশের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে তারা রোজা বা ঈদের ঘোষণা করেন না। নিজেদের আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়ার পরই তারা রোজা বা ঈদের ঘোষণা করে থাকেন।
তাই বাংলাদেশে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ যেদিন ঈদ ঘোষণা করেন, যেদিন এ দেশের জনগণ ঈদ পালন করে, আপনাকেও সেদিনই ঈদ পালন করতে হবে। এটাই শরিয়তের বিধান। পুরো পৃথিবীতে একই দিনে ঈদ পালন করার যে দাবি, তা শরিয়তের দৃষ্টিতে যেমন অগ্রহণযোগ্য, বাস্তবতার আলোকেও তা অসম্ভব।
এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে নিচের লেখাগুলো পড়তে পারেন :
https://www.alkawsar.com/bn/article/2204/
https://www.alkawsar.com/bn/article/2006/
https://www.alkawsar.com/bn/article/2186/
Hafijar Rahaman
April 25, 2023 at 3:51 pmRoja rekhe brass korajabe ki
মাওলানা শিব্বীর আহমদ
April 26, 2023 at 5:59 amরোজা রেখে টুথপেস্ট টুথপাওডার দিয়ে ব্রাশ করা মাকরুহ।
মারিয়া জান্নাত
April 25, 2023 at 6:29 pmমহিলাদের ক্ষেত্রে তো ৩০বা ২৯ রোজা রাখা সম্ভব হয় না।এতে কি করনীয়?
যেমন ধরুন একজন ২৩ রোজা রাখতে পারল।এতে কিভাবে কি করবে?
মাওলানা শিব্বীর আহমদ
April 26, 2023 at 5:58 amসম্ভব হলে কাজা রোজাগুলো আগে রাখবে। এরপর শাওয়াল মাসের ছয় রোজা রাখবে। আর যদি কাজা রোজাগুলো রাখতে গেলে শাওয়াল মাসের নফল রোজা রাখা না যায় তাহলে চাইলে শাওয়াল মাসের রোজাগুলোও আগে রাখতে পারবে।
এইচ আর বি রাজু ইসলাম
April 25, 2023 at 6:42 pmআলহামদুলিল্লাহ ভালো লিখছেন, যাজাকাল্লাহু খাইরান
Md. Khorshed Alam
April 25, 2023 at 10:05 pmAlhamdulillah! Onek kisu jante parlam. Dhonnobad.
Md sobuj Miya
April 25, 2023 at 10:15 pmAlhamdulillah
ফয়েজ উল্লাহ
April 26, 2023 at 5:53 amআলহামদুলিল্লাহ, সময়োপযোগী আলোচনা, জাযাকুমুল্লাহ
Riadul Hasan
April 26, 2023 at 8:41 pmআসসালামু আলাইকুম
মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর উপকারী পোস্ট
Prapti
April 27, 2023 at 4:15 amOsustho ar karone 15 ta roja kora sujog hoi nai tahole age foroj gula rekhe tarpor nofol gulo rakhbo jodi rakhi tahole somoy thakbe naki mas ses hoie jabe?
Muslims Day Admin
April 27, 2023 at 11:02 amরমজানের রোজা কাজা থাকলে আগে সেগুলো রেখে এরপর শাওয়ালের নফলগুলো রাখা ভালো। তবে কাজা রোজা আগে রাখলে যদি শাওয়ালের ৬টি রোজা রাখা না যায়। তাহলে চাইলে শাওয়ালের ৬টি নফল রোজা আগে রাখতে পারবে। এরপর পরবর্তীতে রমজানের কাজাগুলো আদায় করতে হবে। শাওয়ালের রোজাগুলো নফল আর রমজানের কাজা রোজা আদায় করা ফরজ। তাই নফল রাখতে গিয়ে কোনো ক্রমেই যেন রমজানের কাজা রোজা ছুটে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মোহাম্মদ হানিফ।
April 27, 2023 at 4:30 amআলহামদুলিল্লাহ, আলোচনা খুব ভাল লেগেছে।জাযাকাল্লাহ খায়ের।
নাইমুল ইসলাম
April 27, 2023 at 3:51 pmশাওয়াল মাসের ১৩ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত মোট ৬ দিন সিয়াম থাকলে কি আইয়ামে বীজের সিয়াম এবং পাশাপাশি শাওয়ালের ছয়টি সিয়াম এর সওয়াব একসাথে পাওয়া যাবে?
মাওলানা শিব্বীর আহমদ
April 28, 2023 at 7:46 pmপাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ
ag anonto
April 28, 2023 at 9:41 pmমাশাআল্লাহ অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পেলাম💔💜
মো: আব্দুল হালিম কুমিল্লা সেনানিবাস
April 29, 2023 at 4:43 amআলহামদুলিল্লাহ শুভকামনা রইল, অনেক সুন্দর একটি এ্যাপ্স,,,আমিন
কাফি আহমেদ
April 29, 2023 at 11:28 amশাওয়াল মাসের রোজা নবীজী সাঃ কিভাবে রাখতেন, মানে একসাথে, গ্যাপ দিয়ে, নাকি অন্য কোনভাবে
মাওলানা শিব্বীর আহমদ
April 30, 2023 at 4:19 amনবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাওয়ালের রোজা কিভাবে রাখতেন একসাথে না গ্যাপ দিয়ে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন বর্ণনা আমাদের চোখে পড়েনি। যে হাদিসে তিনি শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতের কথা বলেছেন সে হাদিসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসগণ কেউ কেউ একসঙ্গে এই ছয় রোজা রাখাকে উত্তম বলেছেন, কেউ কেউ মাঝে গ্যাপ দিয়ে এই ছয়টি রোজা রাখাকেও উত্তম বলেছেন। তাই আপনি যেভাবেই আমল করুন আপনি এই রোজার সওয়াব পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
নাজিম
May 4, 2023 at 4:12 amজাযাকাল্লাহ খাইরান
Humaira
May 4, 2023 at 8:03 pmAlhamdulilah,onek kisu jante parlam.
Thank
Maruf Ahmed
May 4, 2023 at 8:23 pmকোন নারী যদি রমজানের রোজা পূর্ণ করার জন্য পিল খেয়ে রমজানের ৩০ রোজা পূর্ণ করে শরীয়তের দৃষ্টিতে তাহার বিধান কি ? তার রোজা কি হবে নাকি হবে না। প্লিজ দয়া করে জানালে উপকৃত হব।
মাওলানা শিব্বীর আহমদ
May 5, 2023 at 5:23 amরোজা আদায় হয়ে যাবে। তবে এমনটি করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
Md Hasanur Rahman
May 5, 2023 at 3:35 amমা শা আল্লাহ
Jalal
May 5, 2023 at 3:58 amAlhamdulillah. Allah swt amader ei ruja gulu rakar towfiq dan korun
Abdul Alim
May 5, 2023 at 1:46 pmমাশা-আল্লাহ অনেক উপকৃত হলাম।
Ariful Islam
May 6, 2023 at 8:19 amসুবাহান্নাল্লাহ .আলহামদুল্লিল্লাহ,আল্লাহুআকবাার
মোঃ ইমরান হোসেন (সোহাগ)
May 8, 2023 at 12:13 amসুবহানাল্লাহ আল্লাহু আকবর আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আপনি হেপাজত করুন সুস্থ রাখুন আমরা সবাই বলবো আমিন আমরা সবাই একইসাথে আমলে নিতে পারি আমিন
Anam
May 10, 2023 at 4:33 pmদারুন লিখা হজরত🖤🍂
Sarmin sultana
May 12, 2023 at 4:40 amআলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক খুশি এমন একটা App আমার ফোনে রাখতে পেরে আপনাদের ধন্যবাদ এতো সুন্দর করে লিখে বুঝানোর জন্য।আমিন🖤🖤🖤
আবুল কাশেম
May 13, 2023 at 4:38 amআসসালামু ওয়ালাইকুম। মাশা-আল্লাহ অনেক শিক্ষনিয় আলোচনা পড়ে উপকৃত হালাম। আলহামদুলিল্লাহ আজকে শাওয়ালের চতুর্থ রোজা রাখার নিয়ত করলাম, আল্লাহ যেন কবুল করেন।
সবার সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
জাযাকাল্লাহ খাইরান।
মাওলানা শিব্বীর আহমদ
May 13, 2023 at 5:45 amআল্লাহ তাআলা কবুল করুন
H.M. kawsar Ahmed
May 14, 2023 at 5:02 amসুবহানাল্লাহ। গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদিস আমাদের সবারই জানা উচিত এবং আমল করা উচিত
Tahsin
May 17, 2023 at 11:27 amকাযা রোযা এবং শাওয়ালের নফল ৬ রোযা কি একত্রে রাখা যায়? ২টিরই নিয়ত করলে ফরয কাযা এবং নফল রোযা আদায় হবে না?
Muslims Day Desk
May 17, 2023 at 6:35 pmজ্বি না। ফরজ রোজা আলাদা ভাবে রাখতে হবে। ফরজের সাথে নফলের আমল মিলিয়ে রাখা যাবে না। কারো রমজানের ৬টি কাজা থাকলে শাওয়ালে সেই ৬টি কাজা রাখলে কেবল রমজানের কাজা আদায় হবে। এই ৬টি কাজা রোজার দ্বারা শাওয়ালের নফল রোজার আমল হবে না।
Nilima
May 22, 2023 at 2:38 amআসসালামু আলাইকুম!
স্যার! আমি শাওয়াল মাসে ছয় রোজা গুলো শেষের দিকে রেখেছি! অর্থাৎ কালকে পর্যন্ত! আমাকে একজন বলল যে ছয় রোজা নাকি মাসের সাথে হিসেব হয় না, হিসেব হয় চাঁদের সাথে! চাঁদ গত তিনদিন নাকি উঠে নাই! চাঁদ শেষ হয়ে গেলে নাকি ছয় রোজাও হয় না বা রাখা যায় না!! আমি জানতে চাচ্ছি এটার সত্যতা কতটুকু?
মাওলানা শিব্বীর আহমদ
May 23, 2023 at 7:24 amওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
আপনার রোজা ঠিকমতোই আদায় হয়েছে, ইনশাআল্লাহ। নতুন চাঁদ উঠার আগে অর্থাৎ পরবর্তী মাস আসার আগে রোজাগুলো রাখতে পারলেই হলো।