Press ESC to close

প্রসঙ্গ মীলাদুন্নবী : জন্মদিন পালনের ইতিহাস ও ইসলামে জন্মদিন পালনের বিধান

Post Updated at 7 Sep, 2024 – 6:00 PM

মীলাদুন্নবী উদযাপন ও জন্মদিন পালন বিষয়ে ব্লগ সিরিজে আপনাকে স্বাগতম। এই সিরিজের পোস্টগুলোর শিরোনাম ও লিংক নিচে তুলে ধরা হলো:

  1. প্রসঙ্গ মীলাদুন্নবী : জন্মদিন পালনের ইতিহাস ও ইসলামে জন্মদিন পালনের বিধান (আপনি এখন এটি পড়ছেন)
  2. ১২ রবিউল আউয়াল কি নবীজির সা. জন্মদিন?
  3. ঈদে মীলাদুন্নবীর ইতিহাস ও হাস্যকর কিছু দাবী

অন্যান্য ধর্মে জন্মদিন পালনের রীতি

মীলাদুন্নবীর উৎসব মানে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিনের উৎসব। আমাদের সমাজে যখন কারও জন্মদিন পালন করা হয়, তখন আয়োজন করে কেক কাটা হয়। আরও নানা আয়োজন করা হয়। মীলাদুন্নবীর উৎসবে হয়তো কেক কাটা হয় না, কিন্তু যা-ই হয়, সেটা তো জন্মদিনের উৎসবই। তাই আসুন জেনে নিই, জন্মদিন পালনের বিষয়টি কিভাবে বা কাদের থেকে এসেছে। ধারণা কারা হয়, হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মের বহু পূর্ব থেকে জন্মদিনকে উৎসব হিসেবে পালন কারা হত। জন্মদিন সম্পর্কে যতটুকু জানা যায় এর সূচনা হয়েছে ফেরাউন থেকে। বাইবেলের বুক অব জেনেসিসে এসেছে,

‘তৃতীয় দিনটা ছিল ফেরাউনের জন্মদিন। ফেরাউন তার সব দাসদের জন্য ভোজের আয়োজন করলেন। সেই সময়ে ফেরাউন রুটিওয়ালা ও দ্রাক্ষারস পরিবেশককে কারাগার থেকে মুক্তি দিলেন”। (আদি পুস্তক-৪০:২০)

এ ঘটনাটি আনুমানিক খৃষ্টপূর্ব তিন হাজার পঞ্চাশ থেকে চার হাজার বছর পূর্বের।

পেগান সংস্কৃতিতে জন্মদিন

পেগান সংস্কৃতির লোকেরা অদৃশ্য আত্মাকে ভয় পেত, বিশেষভাবে জন্ম দিনে। তাদের প্রায় সকলেরই বিশ্বাস ছিল যে, এই অদৃশ্য আত্মারা আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যখন কোনো ব্যক্তি তাদের দৈনন্দিন জীবনে কোনো পরিবর্তন আসে। যেমন, বয়স বাড়া। তাই ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে এটি উৎযাপন করা হত। তারা হাসি-তামাশা করে সে ব্যক্তির চারপাশ ঘিরে রাখত, যাতে খারাপ আত্মা তার কোনো ক্ষতি করতে না পারে। উপহারের বিনিময়ে পরবর্তী জন্মদিনটা যেন শুভ ও মঙ্গলময় হয় সকলে সেই কামনাই করতেন।

ইহুদি ধর্মে জন্মদিন পালন

ইহুদি ধর্মে মানুষকে উৎসাহিত করা হয়েছে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজনদের জমায়েত করে ধর্মীয়ভাবে আনন্দ উদযাপনের সাথে জন্মদিন পালনের জন্য। ইহুদিদের অনেক রাবায়ি (আলেম) মনে করেন, কোনো ব্যক্তির জন্য তার জন্মদিনটি তার জন্য দোয়া কবুলের একটি বিশেষ দিন। আধুনিক জন্মদিনে ধর্মনিরপেক্ষ অনেক বিষয় থাকলেও এটা ধর্মীয় আচারেরই সার নির্যাস।

হিন্দুধর্মে জন্মদিন পালন

হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রীয় বিবরণ ও জ্যোতিষ গণনার ভিত্তিতে লোক বিশ্বাস অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল ৩২২৮ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের ১৮ অথবা ২১ জুলাই। এ দিনটি জন্মাষ্টমী নামে পরিচিত। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে পড়ে। ভাদ্র ও মাঘ মাসের শুক্লা চতুর্থীকে গণেশ চতুর্থী বলা হয়। গণেশ চতুর্থী বা গণেশোৎসব হিন্দু দেবতা গণেশের বাৎসরিক পূজা-উৎসব। হিন্দু বিশ্বাসে এই দিনটি গণেশের জন্মদিন।

হিন্দু ধর্মে দ্বাদশ অথবা ত্রয়োদশ বছরে জন্মদিন পালিত হয় ‘পৈত পরিধান উৎসব’ হিসেবে। বয়স পূর্তিতে শিশু একটি বড় সূতার কু-লী কাঁধের একপার্শ্বে ঝুলিয়ে রেখে পরিধান করে। এছাড়াও এ উৎসবটি উপনয়ণ নামে স্বীকৃত। হিন্দুদের বর্ণপ্রথায় উচ্চতর বর্ণ হিসেবে ব্রাহ্মণ পরিবারের সংস্কৃতিতে এ উৎসবটি মূলতঃ বালকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

বৌদ্ধধর্মে জন্মদিন

আমরা সবাই বুদ্ধ পূর্ণিমার কথা জানি। বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উৎসব। এই পুণ্যোৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। বৌদ্ধধর্ম মতে, এই পবিত্র তিথিতে বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, বোধি বা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন। এই দিনে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা স্নান করে, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকে।

ভক্তরা প্রতিটি মন্দিরে বহু প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করে, ফুলের মালা দিয়ে মন্দিরগৃহ সুশোভিত করে বুদ্ধের আরাধনায় নিমগ্ন হয়। এছাড়া বুদ্ধরা এই দিনে বুদ্ধ পূজার পাশাপাশি পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেদ প্রার্থনাও করে থাকে।

খৃষ্টানধর্মে জন্মদিন

ক্রিস্টমাস খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছর ২৫ ডিসেম্বর রোমান ক্যাথলিক ও প্রটেস্টান্ট চার্চের অনুসারীরা যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এ উৎসব পালন করে। খ্রিস্টীয় ২০০ সাল থেকে এ উৎসব পালন শুরু হয়। ৩৫৪ সালে দিনটিকে যিশুর জন্মদিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং এ ঘোষণা ৪৪০ সালে পোপ স্বীকার করেন। মূলত পৌত্তলিক রোমানদের উৎসবের বিপরীতে ক্রিস্টমাস পালন শুরু হয়। বলতে গেলে জন্মদিনের ব্যাপক প্রচলন খৃষ্টানদের মাধ্যমেই ছড়িয়েছে।

ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মদিন পালন

এখন দেখা যাচ্ছে, জন্মদিন পালন শুধু বিধর্মীদের সংস্কৃতিই নয়, বরং ধর্মীয়ভাবেও এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাও কোনো একটি ধর্মে নয়, বরং হিন্দু খ্রিষ্টান বৌদ্ধ ইহুদি পেগান—সকলের কাছে তা পালনীয়। এর বিপরীতে ইসলাম ধর্মের পবিত্র কুরআন ও হাদীসে কোথাও জন্মদিন পালনের কোনো ভিত্তি পাওয়া যায় না। আর কোনো মুসলমানের জন্যে অন্য ধর্মের ধর্মীয় কোনো বিষয় পালন করা কিংবা তাদের ধর্মীয় কোনো বিধানের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে কোনো উৎসব করার সুযোগ নেই। তাই দ্ব্যর্থহীনভাবেই বলা যায়, মুসলমানদের জন্যে জন্মদিন পালন করা সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নাজায়েজ। হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

من تشبه بقوم فهو منهم

যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদেরই দলভুক্ত। (সুনানে আবূ দাঊদঃ ৪০৩১)

এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয়, মানুষ অন্যের অনুকরণ করে থাকে তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা থেকে। জন্মদিন পালন যদি ইহুদি ও খৃষ্টানদের কৃষ্টিকালচারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কিংবা ভালোবাসা থেকে হয়, তাহলে সেটা শুধু হারামের মাঝেই সীমাবদ্ধ ধাকবে না, বরং কুফরি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে। (ইমদাদুল আহকাম)

অন্যকোনো পন্থায় জন্মদিন পালন

জন্মদিন পালনের মূল বিষয়টি যেহেতু বিধর্মীদের থেকে এসেছে আর বিষয়টি তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত, তাই বলা যায়, এর মূল জিনিসটিই ইসলামে প্রত্যাখ্যাত, তা যে কোনো পদ্ধতিতেই হোক না কেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

اتَّبِعُوا مَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ وَلَا تَتَّبِعُوا مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءَ قَلِيلًا مَا تَذَكَّرُونَ

তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ করো। তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য সাথীদের অনুসরণ করো না। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর। (সূরা আ’রাফ, আয়াত ৩)

অপর একটি আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ

ثُمَّ جَعَلْنَاكَ عَلَى شَرِيعَةٍ مِنَ الْأَمْرِ فَاتَّبِعْهَا وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَ الَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ

এরপর আমি আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি দীনের বিশেষ বিধানের উপর, সুতরাং আপনি এর অনুসরণ করুন, মূর্খদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করবেন না। (সূরা যাসিয়া, আয়াত ১৮)
এখন কেউ যদি বলে আমি জন্মদিন হিসেবে শুকরিয়া স্বরূপ কিছু আমল করবো তাহলে এই ব্যাপারে কথা হলো, ইসলামে যে বিষয়টি নেই তা ইসলামের অন্তর্ভুক্ত করা বিদআত, যা প্রত্যাখ্যাত।

হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ

কেউ যদি আমাদের দীনে এমন কিছুর অনুপ্রবেশ ঘটায়, যা সঙ্গত নয়, তবে তা প্রত্যাখ্যাত হবে। [সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭]

হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবার মাঝে বলতেন, যাকে আল্লাহ হেদায়াত দেন তাকে ভ্রষ্টকারী কেউ নেই। আর যাকে পথভ্রষ্ট করেন তাকে হেদায়েত দেয়ার কেউ নেই। নিশ্চয়ই সবচেয়ে খাটি কথা হলো আল্লাহর কিতাব ও সর্বোত্তম দিশারী হলো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত এবং সর্ব নিকৃষ্ট কর্ম হলো (দীনের মাঝে) নতুন কিছু উদ্ভাবন করা। প্রত্যেক নতুন উদ্ভাবিত বিষয়ই বিদআত; প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতাই জাহান্নামী। (সুনানে নাসাঈ, হাদীস ১৫৭৮)

এই সিরিজের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়ুন:

  1. ১২ রবিউল আউয়াল কি নবীজির সা. জন্মদিন?
  2. ঈদে মীলাদুন্নবীর ইতিহাস ও হাস্যকর কিছু দাবী

Comments (27)

  • মিজানুর রহমানsays:

    September 26, 2023 at 10:38 am

    আলহামদুলিল্লাহ সরকারিভাবে কখনো কখনো কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে এই দিবসগুলোতে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকায় তা পালন করা আমার বা আমাদের জন্য বেদায়াতের অন্তর্ভুক্ত হবে কিনা
    দয়া করে জানাবেন

    • মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:

      September 27, 2023 at 8:40 am

      প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা তো আর বিদআত হবে না। কিন্তু যদি সেদিন মীলাদুন্নবী কেন্দ্রিক কোনো আয়োজনে শরিক হন, তবে তা বিদআত হবে। অবশ্য ১২ রবিউল আউয়ালে মীলাদুন্নবীর ছুটি থাকবে কিনা, সরকারের কর্তাব্যক্তিগণ তা ভেবে দেখা এখন সময়ের দাবি।

  • মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামsays:

    September 26, 2023 at 3:19 pm

    খুব সুন্দর উপস্থাপন, জাযাকাল্লাহ খায়রাবন।

  • Yea Hafiza Simisays:

    September 28, 2023 at 8:56 am

    এই দিনে কি রোজা রাখা যাবে?
    আমি মিজানুর রহমান আজহারির লেকচার এ শুনেছি যে রোজা রাখা যাবে। তবে যদি রাখা না যায় জানাবেন।

    • মাওলানা শিব্বীর আহমদsays:

      October 19, 2023 at 8:12 pm

      সোমবারে রোজা রাখার কথা হাদীসে আছে। আমাদের জন্য‌ও সোমবারে রোজা রাখা মুস্তাহাব। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবারে রোজা রেখেছেন কেবলই তিনি এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছেন বলে নয়, বরং হাদীসে আছে, তিনি সোমবারে রোজা রাখতেন কারণ তিনি এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছেন, নবুওয়াতপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং সোমবারে মানুষের আমল উপরে উঠানো হয়। আর তিনি চাইতেন তাঁর আমল তিনি রোজাদার অবস্থায় উপরে উঠানো হোক।
      তবে এ হলো সোমবারে রোজা নিয়ে কথা। কিন্তু বার রবিউল আউয়ালকে নবীজির জন্মদিন মনে করে রোজা রাখার কোন নিয়ম শরীয়তে নেই। যদি কেউ সপ্তাহের সোমবারে বৃহস্পতিবারে রোজা রাখেন আর বার রবিউল আউয়ালও সোমবার কিংবা বৃহস্পতিবারে হয়, তবে তিনি সোমবার বা বৃহস্পতিবারে রোজা রাখা মুস্তাহাব হিসেবে রোজা রাখতে পারেন। কিন্তু যিনি এই দুই দিনে রোজা সাধারণত রাখেন না, তিনি কেবলই বার রবিউল আউয়াল উপলক্ষে এই দিনে রোজা রাখা থেকে বিরত থাকবেন।

  • নোমানsays:

    September 28, 2023 at 9:25 am

    একমাত্র শয়তান এই দিনে অসুখী ও বেজার ছিল। আজকে যারা তার অনুসারী তারা ও একই পথে চলে।
    সিরাত দিবস কখন থেকে পালিত হচ্ছে?
    কেন অপ্রয়োজনীয় ফেতনা চড়ান?
    কোন সরকারি দিবস এমনে এমনে হয়না।
    জামাত ইসলামী যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ও মিলাদুন নবীর দিন সরকারি বন্ধ ছিল।
    যদি খারাপ উদ্দেশ্য না থাকে ওপেন মুনাজারার ঘোষণা দেন।

    • Muslims Day Desksays:

      September 28, 2023 at 1:09 pm

      শয়তান কোন দিন বেজার ছিল? ১২ রবিউল আউয়াল? সাহাবীগণ ১২ রবিউল আউয়াল কি বিশেষ ভাবে “সকল ঈদের বড় ঈদ” পালন করতেন? ১২ রবিউল আউয়ালে সাহাবীগণ-তাবেয়ীগণ কি বিশেষ “মীলাদ মাহফিল” ও দোয়ার অনুষ্ঠান করতেন?
      সরকারি বহু দিবসই আছে এমনি এমনি হয়। সেরকম আরেকটি দিবস হচ্ছে “আখেরি চাহার সোম্বা”। এই বিদআতও জাতীয় ভাবে পালিত হয়। যদিও ঐতিহাসিক ভাবে এবং হাদীসের আলোকে এই দিবস কেন্দ্রীক গল্পের কোনো অস্তিত্ব নাই। সীরাত দিবস কে পালন করছে কবে থেকে পালন করছে জানা নাই। কথিত “সকল ঈদের বড় ঈদ” এর আবিষ্কার হয়েছে হিজরি ৩০০-৪০০ সনের দিকে।

  • আবদুল আহাদsays:

    September 28, 2023 at 2:57 pm

    অনেক কিছু জানতে পারলাম।
    মহান আল্লাহ তাআলা আপনাদের উত্তম প্রতিদান দিন। আমিন।।🥰🥰🥰

  • MD SHARIFUL ISALMsays:

    September 29, 2023 at 5:47 am

    মাশাআল্লাহ আল্লাহ সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুক

  • ইকবালsays:

    September 29, 2023 at 12:16 pm

    আল্লাহু আমাদের হেদায়েত দিন। সকল হারামসহ জন্ম দিন পালন হইতে বিরত থাকার তওফিক দিন। আমিন।

  • Khatijasays:

    September 30, 2023 at 6:36 am

    অনেকে এই দিনে নামাজ পড়ে রোজা রাখে এইগুলো করা জাবে কি না জানাবেন

    • Muslims Day Desksays:

      September 30, 2023 at 4:10 pm

      ১২ রবিউল আউয়াল এই তারিখকে কেন্দ্র করে বিশেষ আমল বা বিশেষ ফজিলত কুরআন হাদীস থেকে পাওয়া যায় না। সাহাবীগণও ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে বিশেষ নামাজ-রোজা পড়েছেন এমন কোনো ঘটনাও নাই। তাই আমরা এই তারিখকে কেন্দ্র করে বর্তমান সমাজে প্রচলিত ধারনার অনুসরনে কোনো আমলকে বিশেষ ফজিলতের মনে করে করব না। সাধারন ভাবে অন্য সময় যেমন করি সেরকম করতে কোনো দোষ নাই।
      যেমন এবছরের ১২ রবিউল আউয়াল ছিল বৃহস্পতিবার। যিনি সোম ও বৃহস্পতিবার নফল রোজার আমল করে থাকেন, তিনি এই দিন রোজা রাখলেন। এ রোজার পিছনে ১২ রবিউল আউয়াল উদ্দেশ্য নয়। বরং সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখা সুন্নাহ। সেই নিয়তে রেখেছেন। এতে কোনো দোষ নাই। কিন্তু কেউ যদি নিয়ত করে যে ১২ রবিউল আউয়াল বিশেষ দিন, এ উপলক্ষ্যে বিশেষ আমল হিসাবে বিশেষ ফজিলত লাভের উদ্দেশ্যে রোজা রাখে। তাতে সমস্যা আছে। কেননা এই দিনে বিশেষ ফজিলতের কথা হাদীসে বর্ণিত হয় নি। একই কথা নামাজের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

- আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

সাইট হিট কাউন্টার

সর্বমোট পোস্ট ভিউ: ১,৮২২,৫৬৪

পোস্ট কপি করার অপশন বন্ধ রাখা হয়েছে। অনুগ্রহ করে পোস্টের লিংক কপি করুন