Post Updated at 27 May, 2024 – 7:58 AM

কুরবানির পশু জবাই করার পর এর সবকিছুই কুরবানিদাতার জন্যে হালাল হয়ে যায়। তিনি এর যে কোনো অংশ নিজে খেতে পারবেন কিংবা নিজের কোনো কাজে তা লাগাতে পারবেন। যে কোনো কিছু যে কাউকে হাদিয়া বা দান করতে পারবেন। তবে কুরবানির পশুর কোনো কিছুই বিক্রি করতে পারবেন না। বিক্রি করলে এর পুরো মূল্যটাই সদকা করে দিতে হবে, নিজে তা থেকে উপকৃত হওয়া যাবে না। [বাদাইয়ুস সানায়ে‘, ৫/১২০]

প্রথম দিন কুরবানির গোশত দিয়ে খানা শুরু করা

কুরবানির প্রথম দিন, অর্থাৎ ১০ জিলহজ সম্ভব হলে কুরবানির গোশত দিয়ে ঐ দিনের খানা শুরু করা মুসতাহাব। অর্থাৎ সকাল থেকে কিছুই না খেয়ে কুরবানির গোশত প্রথমে খাওয়া। তবে এ বিধান শুধু ১০ তারিখের সঙ্গেই সম্পৃক্ত, ১১ বা ১২ তারিখে তা সুন্নত নয়।

গোশত বণ্টন

কুরবানির গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ গরীব-মিসকিনদের, আরেক ভাগ প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনদের এবং আরেক ভাগ নিজেদের—এভাবে বণ্টন করা উত্তম। অনেকেই এটাকে জরুরি মনে করে থাকেন। এ ধারণা ঠিক নয়। প্রয়োজনবোধে অবশ্যই কমবেশি করা যাবে। এতে কোনো গোনাহ হবে না এবং কুরবানিরও কোনো ক্ষতি হবে না। তবে কিছুই দান না করে কুরবানির পুরো গোশতই নিজেদের জন্য রেখে দেয়া ঠিক নয়।

অমুসলিমকে কুরবানির গোশত দেয়া

কুরবানির গোশত অমুসলিমকেও দেয়া যাবে, এতে কোনো অসুবিধা নেই।

বিয়ে-অলিমা ইত্যাদি কোনো অনুষ্ঠানে কুরবানির গোশত খাওয়ানো

ঈদুল আযহার পর যদি বিয়ে-অলিমা জাতীয় কোনো অনুষ্ঠান হয় এবং সেখানে কুরবানির গোশত দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়, তাতেও কোনো সমস্যা নেই। কুরবানির গোশত নিজে খেতে পারবে, মেহমানদেরও খাওয়াতে পারবে, কোনো অনুষ্ঠানেও খাওয়াতে পারবে। তবে কুরবানির সময় কেবল আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির নিয়ত থাকাটা জরুরি।

পারিশ্রমিক হিসেবে গোশত দেয়া

কাজের লোকদের কুরবানির গোশত, চামড়া বা কুরবানির পশুর অন্য কোনো অংশ পারিশ্রমিক হিসেবে দেয়া যাবে না। উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেয়ার পর যদি কেউ তাদেরকে গোশত হাদিয়া দেয়, কিংবা কুরবানির রান্না করা গোশত দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করে, এতে কোনো অসুবিধা নেই।

মান্নতের কুরবানির গোশত

মান্নতের কুরবানির বিধান কিছুটা ভিন্ন। কেউ যদি কুরবানির মান্নত করে তবে এ কুরবানির গোশত নিজেরা খেতে পারবে না, ধনী কোনো প্রতিবেশী বা আত্মীয়কেও দেয়া যাবে না। বরং পুরোটাই গরীবদের দান করতে হবে।

কুরবানির গোশত সংরক্ষণ

কুরবানির গোশত আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন। তাই যেভাবে ইচ্ছা, যখন ইচ্ছা খাওয়া যাবে। যতদিন ইচ্ছা সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। এতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে পুরোটাই সংরক্ষণ না করে গরীব মিসকিন ও আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে এ কুরবানির গোশত খাওয়া উচিত। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৮১২; বাদাইয়ুস সানায়ে‘, ৫/১২০]

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

- আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ
ক্যাটাগরি সমূহ
ট্যাগ সমূহ
error: অনুগ্রহ করে লেখাটি কপি করবেন না। লিংক শেয়ার করুন। ধন্যবাদ