Post Updated at 21 Apr, 2023 – 10:17 AM
প্রথম রাকাতে অতিরিক্ত তিন তাকবির না বলেই কেরাত শুরু করে দেয়া
ঈদের নামাজের প্রথম রাকাতে কেরাতের পূর্বে তিন তাকবির বলা ওয়াজিব। যদি কেউ ভুলে তাকবিরগুলো না বলেই কেরাত পড়তে শুরু করেন এবং সুরা ফাতেহা ও অন্য কোনো সুরা মেলানোর পর তাকবির না বলার বিষয়টি মনে পড়ে, তাহলে প্রথম রাকাতে আর অতিরিক্ত তাকবির বলতে হবে না। আর যদি কেবল সুরা ফাতেহা (পূর্ণ বা আংশিক) পড়ার পর বিষয়টি মনে পড়ে, তাহলে তিন তাকবির বলে আবার নতুন করে সুরা ফাতেহা পড়বে এরপর অন্য কোনো সুরা পড়বে।
দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর অতিরিক্ত তিন তাকবির না বলে রুকুতে চলে যাওয়া
দ্বিতীয় রাকাতে যদি অতিরিক্ত তাকবিরগুলো না বলেই ইমাম সাহেব রুকুতে চলে যান এবং রুকুতে যাওয়ার পর তাকবিরের কথা মনে পড়ে, তাহলে রুকুর মধ্যেই তাকবিরগুলো আদায় করে নেবেন। তাকবির বলার জন্যে রুকু ছেড়ে দাঁড়াবেন না। আর যদি কেউ রুকু ছেড়ে দাঁড়িয়ে যান এবং পরে যথারীতি নামাজ শেষ করেন তাহলেও নামাজ হয়ে যাবে। তবে এমনটি না করা উচিত।
অতিরিক্ত তাকবিরগুলোর হিসাবে ভুল করা
ঈদের নামাজের প্রথম রাকাতে ছানা পড়ার পর অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলে কেরাত শুরু করতে হয়। আর দ্বিতীয় রাকাতে অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলার পর চতুর্থ তাকবির বলে রুকুতে যেতে হয়। যদি ইমাম সাহেব তাকবিরগুলোর হিসাবে ভুল করেন, এক-দুটি তাকবির কম বা বেশি বলেন, তাহলে ওয়াজিব লঙ্ঘন হবে, তবে নামাজ ভাঙবে না এবং এ কারণে সাহু সিজদাও দিতে হবে না। কারণ বড় জামাতের কারণে ঈদের জামাতে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয় না।
ঈদের নামাজের পর মুসাফাহা-মোয়ানাকা (কোলাকুলি) করা
অনেকে ঈদের নামাজ শেষে মুসাফাহা-মোয়ানাকা (কোলাকুলি) করে থাকে। এটাকে ঈদের দিনের একটি বিশেষ আমলও মনে করে থাকে। অথচ সুন্নত হলো, সাক্ষাতের শুরুতে সালাম-মুসাফাহা করা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের শেষে কিংবা ঈদের নামাজের শেষে মুসাফাহা-মুয়ানাকার রেওয়াজ তাই সুন্নত পরিপন্থী। এ থেকে বিরত থাকা উচিত।