Post Updated at 8 Apr, 2023 – 3:11 PM
রমজান মাসের শেষ দশকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত- ইতিকাফ। ইতিকাফ সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। কিফায়া হওয়ার অর্থই হলো, পুরো মহল্লা থেকে কেউ কেউ আদায় করলেই সকলে দায়মুক্ত হয়ে যাবে। আর যদি কেউ আদায় না করে, তবে সকলেই গোনাহগার হবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রমজানেই নিয়মিত ইতিকাফ আদায় করতেন। হাদীস শরীফে আছে, আয়েশা রা. বলেন-
أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ كَانَ يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الْأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ، حَتّى تَوَفّاهُ اللهُ عَزّ وَجَلّ، ثُمّ اعْتَكَفَ أَزْوَاجُهُ مِنْ بَعْدِهِ.
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকালের আগ পর্যন্ত রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। নবীজীর পর তাঁর স্ত্রীগণও ইতিকাফ করতেন।
– সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৭২; সহীহ বুখারী, হাদীস ২০২৬
ইতিকাফ কেন গুরুত্বপূর্ণ
রমজান মাসের রহমত ও বরকত লাভে ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম। টানা দশদিনের জন্যে কেউ যখন ইবাদতের উদ্দেশ্যে নিজের ঘর ছেড়ে মসজিদে চলে আসে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সে তাকওয়া হাসিলের পথে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে। ইতিকাফের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক- কেউ যদি রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করে, তবে সে লাইলাতুল কদর লাভ করবে, এটা জোর দিয়েই বলা যায়। কারণ হাদীস শরীফে বলা হয়েছে,
تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ
তোমরা রমজান মাসের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। -সহীহ বুখারী, হাদীস ২০১৭
লাইলাতুল কদর কবে- তা আমাদেরকে সুস্পষ্টভাবে জানানো হয় নি। বলা হয়েছে, রমজানের শেষ দশকের যে কোনো বেজোড় রাতে হতে পারে। সুনির্দিষ্ট কোনো রাতের কথা আমাদের জানা থাকলেও সে রাতের পুরো সময় আমাদের পক্ষে ইবাদতে কাটানো সহজ ছিল না। একটু বিশ্রাম-ঘুম কিংবা মানবীয় প্রয়োজনে অল্প সময়ের জন্যে হলেও ইবাদত ছেড়ে দেয়া কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়।
কিন্তু যখন কেউ ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে প্রবেশ করে, তখন থেকে শুরু করে ইতিকাফ শেষ করা পর্যন্ত সে ইবাদতের মধ্যেই থাকে। অন্য কোনো ইবাদত যেমন, নামাজ তেলাওয়াত ইত্যাদি না করলেও তার পুরো সময়টাই ইবাদতের মধ্যে কাটে। আর যদি অন্য কোনো ইবাদত করতে পারে, তবে তো তার সওয়াব আরও বৃদ্ধি পাবে। ইতিকাফে বসে কেউ যদি কোনো গোনাহের কাজে না জড়ায় তবে তার পুরো সময়টাই ইবাদত। ঘুম-বিশ্রাম সবটাই ইবাদতের ভেতর দিয়েই কাটে। তাই বলা যায়, কেউ যদি অন্য কোনো অতিরিক্ত ইবাদত নাও করে, তবুও শুধু মসজিদে অবস্থানের মধ্য দিয়েই একজন ইতিকাফকারী লাইলাতুল কদরের ফজিলত লাভ করতে পারে।
রমজান মাসের রোজা আল্লাহ তাআলা ফরজ করেছেন তাকওয়া হাসিল করার জন্যে। রোজা রেখে তাকওয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা সকল মুসলমানের জন্যেই জরুরি। এটাকে বলা যায় সকলের জন্যেই একটা কমন বা সাধারণ সিলেবাস। এ স্তর থেকে অগ্রসর হয়ে যদি কেউ আরও অধিক পরিমাণে রুহ ও আত্মার পরিশুদ্ধি হাসিল করতে চায়, আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চায়, তবে তার জন্যে বিশেষ সিলেবাস রমজানের শেষ দশকের এ ইতেকাফ।
রোজা রেখে অন্য সময়ের কিছু বৈধ কাজও আমরা করতে পারি না। যেমন, পানাহার। তবে এতে দুনিয়ার স্বাভাবিক কাজকর্মে তেমন ব্যত্যয় ঘটে না বললেই চলে। আবার এতটুকুর ভেতর দিয়েই অবচেতন মনেই আমাদের একটি প্রশিক্ষণ হয়ে যায়- কীভাবে প্রকাশ্যে-গোপনে সর্বাবস্থায় আল্লাহ তাআলার বিধান মেনে চলতে হয়। তাঁর বিধানের সামনে নিজের যাবতীয় চাহিদাকে বিসর্জন দিতে হয়। কিন্তু কেউ যখন ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে প্রবেশ করে, তখন তার উপর আরোপিত হয় আরও কিছু সীমাবদ্ধতা। সে মসজিদ থেকে বের হতে পারে না। দিন-রাত তাকে মসজিদেই কাটাতে হয়। এভাবে দুনিয়ার স্বাভাবিক পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আল্লাহর দুয়ারে একাগ্রতার সঙ্গে বসে থাকা- এই তো ইতিকাফ।
এ ইতিকাফের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তাকওয়ার প্রশিক্ষণ আরও সমৃদ্ধ হয়, জোরালো হয়। এর পাশাপাশি ইতিকাফকারীর সামনে খুলে যায় দিনরাত বাধাহীনভাবে আল্লাহ তাআলার দরবারে পড়ে থাকার সুযোগ। তাঁকে স্মরণ করে, তাঁর ধ্যানে মগ্ন থেকে, তাঁর তাসবিহ পাঠ করে যত সময় ইতিকাফে কাটানো যায়, নিজের কৃত গোনাহের জন্যে ইস্তিগফার আর পরম করুণাময়ের রহমতের প্রার্থনা ইতিকাফে যতটা করা যায়, স্বাভাবিকভাবে অন্য সময় তা অসম্ভবই বলা চলে।
তাই ইতিকাফ যেমন আখেরাতের অফুরন্ত সওয়াব ও পুরস্কার লাভের মাধ্যম, তেমনি দুনিয়াতেও আত্মিক উৎকর্ষ সাধন ও আল্লাহ তাআলার দয়া ও অনুগ্রহ লাভেরও অনুপম মাধ্যম।
ইতিকাফের সময়
রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে তা নয় দিনও হতে পারে, দশ দিনও হতে পারে। আগের দিনের সূর্যাস্ত থেকে ইতিকাফ শুরু করতে হবে। তাই কেউ যদি সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইতিকাফ করতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই ২০ রমজান সূর্যাস্তের আগে ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে।
কেউ যদি পূর্ণ দশক ইতিকাফ করতে না পারে, তবে চাইলে দুই-চার দিনও ইতিকাফ করতে পারে। এতে সুন্নতে মুয়াক্কাদা আদায় হবে না ঠিক, কিন্তু ইতিকাফের ফজিলত কিছুটা হলেও অর্জিত হবে। ইতিকাফের সর্বনিম্ন সময়সীমা একদিন। অর্থাৎ আগের দিন সূর্যাস্ত থেকে পরের দিনের সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
ইতিকাফের কয়েকটি মাসায়েল
- ইতিকাফের জন্যে রোজা রাখা জরুরি। যদি কেউ কোনো কারণে রোজা রাখতে না পারে, কিংবা অনিচ্ছাকৃত রোজা ভেঙ্গে যায় অথবা কোনো ওজরের কারণে রোজা ভেঙ্গে ফেলতে হয়, তবে তার ইতিকাফও ভেঙ্গে যাবে। এ ক্ষেত্রে তাকে একদিনের ইতিকাফ কাজা করতে হবে।
- ইতিকাফে থাকাকালে মানবীয় প্রয়োজন ছাড়া মসজিদের সীমার বাইরে যাওয়া যাবে না। মসজিদের সীমা বলে উদ্দেশ্যে হলো, মসজিদ কর্তৃপক্ষ যতটুকু জায়গাকে নামাজের জায়গা হিসেবে নির্ধারণ করেছে। এ সীমার বাইরেও মসজিদের মালিকানাধীন কিছু জায়গা থাকে, যেমন, ওজুখানা, বাথরুম, ইমাম সাহেবের কক্ষ ইত্যাদি। এগুলো যদিও মসজিদের মালিকানাধীন কিংবা মসজিদ কম্পাউন্ডের ভেতরে, কিন্তু এসব মসজিদের অংশ নয়। তাই জরুরি মানবীয় প্রয়োজন ছাড়া এসব জায়গায় যাওয়া যাবে না।
- ওজু করার জন্যে মসজিদের বাইরে যাওয়া যাবে। ফরজ গোসল কিংবা জুমার নামাজের জন্য সুন্নত গোসলের প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে।
- মসজিদে খাবার নিয়ে আসার মতো যদি কেউ না থাকে, তবে খাবার আনার প্রয়োজনে বাড়িতে যাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে আসতে হবে এবং মসজিদে এসে খেতে হবে, বাড়িতে খাওয়া যাবে না।
- যে মসজিদে জুমার নামাজ হয়, এমন মসজিদেই ইতিকাফ করা উত্তম। আর যদি জুমা হয় না এমন কোনো মসজিদে কেউ ইতিকাফ করে, তবে জুমার আগে সে মসজিদ থেকে বের হয়ে অন্য কোনো মসজিদে গিয়ে জুমা আদায় করবে, এরপর আবার আগের মসজিদে ফিরে আসবে। যদি জুমার নামাজের পর সে মসজিদেই থেকে যায় এবং আগের মসজিদে ফিরে না আসে, তবে তার ইতিকাফ আদায় হয়ে যাবে ঠিক, কিন্তু মাকরুহ হবে। আগের মসজিদে ফিরে আসাই উত্তম।
- যে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত হয় না, সেখানে ইতিকাফ করা যাবে না।
- পুরুষদের জন্যে মসজিদেই ইতিকাফ করা জরুরি। আর মহিলারা বাড়িতে ইতিকাফ করবে।
- ইতিকাফ ভেঙ্গে গেলে যদি সুযোগ থাকে, তবে সে রমজানেই পরবর্তী একদিন তা কাযা করে নেয়া উত্তম। তা না করলে পরবর্তীতে রোজা রেখে একদিনের ইতিকাফ কাজা করতে হবে এবং ইতিকাফের নিয়তে এক সূর্যাস্ত থেকে পরবর্তী সূর্যাস্ত পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করতে হবে।
- ইতিকাফ চলা কালে জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করার জন্যেও মসজিদের বাইরে যাওয়া যাবে না। রোগী দেখা কিংবা এ জাতীয় প্রয়োজনেও মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না।
ইতিকাফ শুধুই বয়োবৃদ্ধদের জন্যে নয়
আমাদের সমাজের একটা অসুস্থ রেওয়াজ- সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইতিকাফের দায়িত্ব পালন করার জন্যে কোনো একজন বৃদ্ধ মানুষকে অনুরোধ করা হয়। কোথাওবা অন্য মহল্লা থেকে এমন কাউকে অনুরোধ করে নিয়ে আসা হয়। আবার টাকার বিনিময়েও কেউ কেউ ইতিকাফ করেন। ইতিকাফের এ বিনিময় দেয়া-নেয়া জায়েজ নয়। আর বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিরা যদি ইতিকাফ করেন, তবে তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কথা হলো, এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত পালন করার জন্যে কেন পুরো মহল্লার পক্ষ থেকে একজন বা দুইজনকে দায়িত্ব দেয়া হবে? এ ইবাদতটি যেহেতু ‘কিফায়া’, অর্থাৎ সকলের পক্ষ থেকে কয়েকজন এমনকি একজন পালন করলেও সকলেই দায়মুক্ত হয়ে যাবে, তাই বলে বেশি মানুষের ইতিকাফ করায় তো কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। হাদীসে বরং উৎসাহিতই করা হয়েছে ইতিকাফের প্রতি। তাই আমাদের উচিত, ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত বিবেচনা করে প্রত্যেকেরই এতে অংশগ্রহণ করা।
প্রতিবছর না পারলে মাঝেমধ্যে হলেও তা পালন করতে পারি। ঘরে একাধিক পুরুষ সদস্য থাকলে পালা করে সকলেই এ ইতিকাফ পালন করতে পারি। দুনিয়ার ঝামেলা তো আমাদের থাকেই। ইতিকাফের নিয়ত করে আমরা যদি সেসব ঝামেলাকে মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করি, ব্যবসায়িক দায়দায়িত্ব আগেভাগেই গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি, তবে তা তেমন কঠিন কোনো বিষয় নয়। এভাবে চিন্তা ও চেষ্টা করলে মসজিদে মসজিদে বৃদ্ধি পাবে ইতিকাফকারীদের সংখ্যা, উন্নত থেকে উন্নততর হবে আমাদের তাকওয়ার স্তর।
আরেকটি কথা, তারুণ্য আর যৌবন অন্য সবক্ষেত্রের মতো ইবাদতেরও স্বর্ণসময়। এ সময়ের ইবাদতের তৃপ্তিই অন্যরকম। যৌবনের ইতিকাফে যে স্বাদ অনুভূত হবে, তা বার্ধক্যে পাওয়া যাবে না। তাই আসুন, সুন্নতে মুয়াক্কাদা এ ইবাদতটি পালনে আমরা প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যাই। পুরো দশকের জন্যে ইতিকাফ করা যাদের পক্ষে নিতান্তই অসম্ভব, তারা দুই-চার দিনের জন্যে হলেও নফল ইতিকাফের নিয়তে চলে আসুন মসজিদে।
নামাজের জামাতে যেমন সব বয়সের মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন, মসজিদে মসজিদে তেমনি সব বয়সী ইতিকাফকারীর ভিড় জমে উঠুক। ইতিকাফের নুর ও বরকত আল্লাহ দয়াময় আমাদের সকলেই দান করুন। আমীন।
Hasib Al Muktadir
April 10, 2023 at 4:47 amThanks for this information.🌹🌹🌹🌹
Md. Hafijul islam
April 10, 2023 at 7:06 pmআলহামদুলিল্লাহ। ইতেকাফ করার ইচ্ছে আছে।
Muslims Day Admin
April 10, 2023 at 7:15 pmমাশাআল্লাহ! আল্লাহ কবুল করুন।
Khaled
April 11, 2023 at 11:35 amIs it permissible to do gusl of Friday during itikaf? Our local mosque imam said that it is not permissible. However they have devised an interesting way out. They go out with the intention of wudu and do gusl.
মাওলানা শিব্বীর আহমদ
April 11, 2023 at 10:57 pmজুমার দিনের গোসল করার জন্য ইতেকাফে থাকা অবস্থায় মসজিদের বাইরে যাওয়ার সুযোগ আছে।
Naima
April 11, 2023 at 11:43 amAssalamulaikum. Ami admission candidate. Ami meye.ami itikaf er modha porasuna korte parbo? Ami ki online e cls korte parbo?
মাওলানা শিব্বীর আহমদ
April 11, 2023 at 11:02 pmওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
এতেকাফ অবস্থায় যতটা সম্ভব ইবাদত বন্দেগি করা উচিত। তবে এতেকাফের জায়গা থেকে বের না হয়ে চাইলে আপনি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারবেন। এতে এতেকাফ ভঙ্গ হবে না। আর অনলাইন ক্লাস যদি ভিডিওর মাধ্যমে হয় তবে সেখানে যেন কিছুতেই পর্দা লঙ্ঘন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
[email protected]
April 11, 2023 at 1:42 pmআলহাম দুলিল্লাহ অনেক কিছু জানলাম
আল্লাহ্ যেনো এতেকাফ করার সুযোগ করে দেয় আমিন।
মানসূর
April 11, 2023 at 8:00 pmআর যদি ই’তিকাফ কোন বুযর্গ, আল্লাহওয়ালার সোহবতে হয়, তাহলে তো ‘সোনায় সোহাগা’ (نور على نور)। আল্লাহ তা’আলা সবাইকে কবুল করুন।
Itikaf
April 13, 2023 at 5:33 pmজুমার দিন ছাড়া গোসলের জন্য বাইরে যাওয়ার সুযোগ আছে?
আর গোসলের জন্য যদি বাসায় যেতে হয় সে ক্ষেত্রে কি হুকুম?মসজিদে যদি যথাযথ ব্যবস্থা না থাকে গোসলের জন্য
মাওলানা শিব্বীর আহমদ
April 14, 2023 at 12:27 amফরয গোসলের জন্য যে কোনো সময় বের হওয়া যাবে। বরং বের হয়ে গোসল করাটাই জরুরী।
আর আমরা স্বাভাবিকভাবে গরমের জন্য যে গোসল করি এই গোসলের জন্য এতেকাফ থেকে বের হওয়ার অনুমতি নেই। তবে একান্তই যদি করতে হয় তাহলে প্রস্রাব পায়খানার প্রয়োজনে যখন বের হবে তখন ফেরার পথে ওযুর পরিবর্তে খুব দ্রুত অল্প সময়ের মধ্যে গোসল সেরে আসতে পারবে।