Post Updated at 24 Mar, 2024 – 2:54 PM

রমজান মাসের শেষ দশকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত- ইতিকাফ। ইতিকাফ সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। কিফায়া হওয়ার অর্থই হলো, পুরো মহল্লা থেকে কেউ কেউ আদায় করলেই সকলে দায়মুক্ত হয়ে যাবে। আর যদি কেউ আদায় না করে, তবে সকলেই গোনাহগার হবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রমজানেই নিয়মিত ইতিকাফ আদায় করতেন। হাদীস শরীফে আছে, আয়েশা রা. বলেন-

 

أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ كَانَ يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الْأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ، حَتّى تَوَفّاهُ اللهُ عَزّ وَجَلّ، ثُمّ اعْتَكَفَ أَزْوَاجُهُ مِنْ بَعْدِهِ.

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকালের আগ পর্যন্ত রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। নবীজীর পর তাঁর স্ত্রীগণও ইতিকাফ করতেন।

সহীহ মুসলিমহাদীস ১১৭২সহীহ বুখারীহাদীস ২০২৬

ইতিকাফ কেন গুরুত্বপূর্ণ

রমজান মাসের রহমত ও বরকত লাভে ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম। টানা দশদিনের জন্যে কেউ যখন ইবাদতের উদ্দেশ্যে নিজের ঘর ছেড়ে মসজিদে চলে আসে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সে তাকওয়া হাসিলের পথে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে। ইতিকাফের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক- কেউ যদি রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করে, তবে সে লাইলাতুল কদর লাভ করবে, এটা জোর দিয়েই বলা যায়। কারণ হাদীস শরীফে বলা হয়েছে,

تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ

তোমরা রমজান মাসের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। -সহীহ বুখারী, হাদীস ২০১৭

লাইলাতুল কদর কবে- তা আমাদেরকে সুস্পষ্টভাবে জানানো হয় নি। বলা হয়েছে, রমজানের শেষ দশকের যে কোনো বেজোড় রাতে হতে পারে। সুনির্দিষ্ট কোনো রাতের কথা আমাদের জানা থাকলেও সে রাতের পুরো সময় আমাদের পক্ষে ইবাদতে কাটানো সহজ ছিল না। একটু বিশ্রাম-ঘুম কিংবা মানবীয় প্রয়োজনে অল্প সময়ের জন্যে হলেও ইবাদত ছেড়ে দেয়া কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়।

কিন্তু যখন কেউ ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে প্রবেশ করে, তখন থেকে শুরু করে ইতিকাফ শেষ করা পর্যন্ত সে ইবাদতের মধ্যেই থাকে। অন্য কোনো ইবাদত যেমন, নামাজ তেলাওয়াত ইত্যাদি না করলেও তার পুরো সময়টাই ইবাদতের মধ্যে কাটে। আর যদি অন্য কোনো ইবাদত করতে পারে, তবে তো তার সওয়াব আরও বৃদ্ধি পাবে। ইতিকাফে বসে কেউ যদি কোনো গোনাহের কাজে না জড়ায় তবে তার পুরো সময়টাই ইবাদত। ঘুম-বিশ্রাম সবটাই ইবাদতের ভেতর দিয়েই কাটে। তাই বলা যায়, কেউ যদি অন্য কোনো অতিরিক্ত ইবাদত নাও করে, তবুও শুধু মসজিদে অবস্থানের মধ্য দিয়েই একজন ইতিকাফকারী লাইলাতুল কদরের ফজিলত লাভ করতে পারে।

রমজান মাসের রোজা আল্লাহ তাআলা ফরজ করেছেন তাকওয়া হাসিল করার জন্যে। রোজা রেখে তাকওয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা সকল মুসলমানের জন্যেই জরুরি। এটাকে বলা যায় সকলের জন্যেই একটা কমন বা সাধারণ সিলেবাস। এ স্তর থেকে অগ্রসর হয়ে যদি কেউ আরও অধিক পরিমাণে রুহ ও আত্মার পরিশুদ্ধি হাসিল করতে চায়, আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চায়, তবে তার জন্যে বিশেষ সিলেবাস রমজানের শেষ দশকের এ ইতেকাফ।

রোজা রেখে অন্য সময়ের কিছু বৈধ কাজও আমরা করতে পারি না। যেমন, পানাহার। তবে এতে দুনিয়ার স্বাভাবিক কাজকর্মে তেমন ব্যত্যয় ঘটে না বললেই চলে। আবার এতটুকুর ভেতর দিয়েই অবচেতন মনেই আমাদের একটি প্রশিক্ষণ হয়ে যায়- কীভাবে প্রকাশ্যে-গোপনে সর্বাবস্থায় আল্লাহ তাআলার বিধান মেনে চলতে হয়। তাঁর বিধানের সামনে নিজের যাবতীয় চাহিদাকে বিসর্জন দিতে হয়। কিন্তু কেউ যখন ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে প্রবেশ করে, তখন তার উপর আরোপিত হয় আরও কিছু সীমাবদ্ধতা। সে মসজিদ থেকে বের হতে পারে না। দিন-রাত তাকে মসজিদেই কাটাতে হয়। এভাবে দুনিয়ার স্বাভাবিক পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আল্লাহর দুয়ারে একাগ্রতার সঙ্গে বসে থাকা- এই তো ইতিকাফ।

এ ইতিকাফের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তাকওয়ার প্রশিক্ষণ আরও সমৃদ্ধ হয়, জোরালো হয়। এর পাশাপাশি ইতিকাফকারীর সামনে খুলে যায় দিনরাত বাধাহীনভাবে আল্লাহ তাআলার দরবারে পড়ে থাকার সুযোগ। তাঁকে স্মরণ করে, তাঁর ধ্যানে মগ্ন থেকে, তাঁর তাসবিহ পাঠ করে যত সময় ইতিকাফে কাটানো যায়, নিজের কৃত গোনাহের জন্যে ইস্তিগফার আর পরম করুণাময়ের রহমতের প্রার্থনা ইতিকাফে যতটা করা যায়, স্বাভাবিকভাবে অন্য সময় তা অসম্ভবই বলা চলে।

তাই ইতিকাফ যেমন আখেরাতের অফুরন্ত সওয়াব ও পুরস্কার লাভের মাধ্যম, তেমনি দুনিয়াতেও আত্মিক উৎকর্ষ সাধন ও আল্লাহ তাআলার দয়া ও অনুগ্রহ লাভেরও অনুপম মাধ্যম।

ইতিকাফের সময়

রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে তা নয় দিনও হতে পারে, দশ দিনও হতে পারে। আগের দিনের সূর্যাস্ত থেকে ইতিকাফ শুরু করতে হবে। তাই কেউ যদি সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইতিকাফ করতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই ২০ রমজান সূর্যাস্তের আগে ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে।

কেউ যদি পূর্ণ দশক ইতিকাফ করতে না পারে, তবে চাইলে দুই-চার দিনও ইতিকাফ করতে পারে। এতে সুন্নতে মুয়াক্কাদা আদায় হবে না ঠিক, কিন্তু ইতিকাফের ফজিলত কিছুটা হলেও অর্জিত হবে। ইতিকাফের সর্বনিম্ন সময়সীমা একদিন। অর্থাৎ আগের দিন সূর্যাস্ত থেকে পরের দিনের সূর্যাস্ত পর্যন্ত।

ইতিকাফের কয়েকটি মাসায়েল

  1. ইতিকাফের জন্যে রোজা রাখা জরুরি। যদি কেউ কোনো কারণে রোজা রাখতে না পারে, কিংবা অনিচ্ছাকৃত রোজা ভেঙ্গে যায় অথবা কোনো ওজরের কারণে রোজা ভেঙ্গে ফেলতে হয়, তবে তার ইতিকাফও ভেঙ্গে যাবে। এ ক্ষেত্রে তাকে একদিনের ইতিকাফ কাজা করতে হবে।
  2. ইতিকাফে থাকাকালে মানবীয় প্রয়োজন ছাড়া মসজিদের সীমার বাইরে যাওয়া যাবে না। মসজিদের সীমা বলে উদ্দেশ্যে হলো, মসজিদ কর্তৃপক্ষ যতটুকু জায়গাকে নামাজের জায়গা হিসেবে নির্ধারণ করেছে। এ সীমার বাইরেও মসজিদের মালিকানাধীন কিছু জায়গা থাকে, যেমন, ওজুখানা, বাথরুম, ইমাম সাহেবের কক্ষ ইত্যাদি। এগুলো যদিও মসজিদের মালিকানাধীন কিংবা মসজিদ কম্পাউন্ডের ভেতরে, কিন্তু এসব মসজিদের অংশ নয়। তাই জরুরি মানবীয় প্রয়োজন ছাড়া এসব জায়গায় যাওয়া যাবে না।
  3. ওজু করার জন্যে মসজিদের বাইরে যাওয়া যাবে। ফরজ গোসল কিংবা জুমার নামাজের জন্য সুন্নত গোসলের প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে।
  4. মসজিদে খাবার নিয়ে আসার মতো যদি কেউ না থাকে, তবে খাবার আনার প্রয়োজনে বাড়িতে যাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে আসতে হবে এবং মসজিদে এসে খেতে হবে, বাড়িতে খাওয়া যাবে না।
  5. যে মসজিদে জুমার নামাজ হয়, এমন মসজিদেই ইতিকাফ করা উত্তম। আর যদি জুমা হয় না এমন কোনো মসজিদে কেউ ইতিকাফ করে, তবে জুমার আগে সে মসজিদ থেকে বের হয়ে অন্য কোনো মসজিদে গিয়ে জুমা আদায় করবে, এরপর আবার আগের মসজিদে ফিরে আসবে। যদি জুমার নামাজের পর সে মসজিদেই থেকে যায় এবং আগের মসজিদে ফিরে না আসে, তবে তার ইতিকাফ আদায় হয়ে যাবে ঠিক, কিন্তু মাকরুহ হবে। আগের মসজিদে ফিরে আসাই উত্তম।
  6. যে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত হয় না, সেখানে ইতিকাফ করা যাবে না।
  7. পুরুষদের জন্যে মসজিদেই ইতিকাফ করা জরুরি। আর মহিলারা বাড়িতে ইতিকাফ করবে।
  8. ইতিকাফ ভেঙ্গে গেলে যদি সুযোগ থাকে, তবে সে রমজানেই পরবর্তী একদিন তা কাযা করে নেয়া উত্তম। তা না করলে পরবর্তীতে রোজা রেখে একদিনের ইতিকাফ কাজা করতে হবে এবং ইতিকাফের নিয়তে এক সূর্যাস্ত থেকে পরবর্তী সূর্যাস্ত পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করতে হবে।
  9. ইতিকাফ চলা কালে জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করার জন্যেও মসজিদের বাইরে যাওয়া যাবে না। রোগী দেখা কিংবা এ জাতীয় প্রয়োজনেও মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না।

ইতিকাফ শুধুই বয়োবৃদ্ধদের জন্যে নয়

আমাদের সমাজের একটা অসুস্থ রেওয়াজ- সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইতিকাফের দায়িত্ব পালন করার জন্যে কোনো একজন বৃদ্ধ মানুষকে অনুরোধ করা হয়। কোথাওবা অন্য মহল্লা থেকে এমন কাউকে অনুরোধ করে নিয়ে আসা হয়। আবার টাকার বিনিময়েও কেউ কেউ ইতিকাফ করেন। ইতিকাফের এ বিনিময় দেয়া-নেয়া জায়েজ নয়। আর বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিরা যদি ইতিকাফ করেন, তবে তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কথা হলো, এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত পালন করার জন্যে কেন পুরো মহল্লার পক্ষ থেকে একজন বা দুইজনকে দায়িত্ব দেয়া হবে? এ ইবাদতটি যেহেতু ‘কিফায়া’,  অর্থাৎ সকলের পক্ষ থেকে কয়েকজন এমনকি একজন পালন করলেও সকলেই দায়মুক্ত হয়ে যাবে, তাই বলে বেশি মানুষের ইতিকাফ করায় তো কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। হাদীসে বরং উৎসাহিতই করা হয়েছে ইতিকাফের প্রতি। তাই আমাদের উচিত, ইতিকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত বিবেচনা করে প্রত্যেকেরই এতে অংশগ্রহণ করা।

প্রতিবছর না পারলে মাঝেমধ্যে হলেও তা পালন করতে পারি। ঘরে একাধিক পুরুষ সদস্য থাকলে পালা করে সকলেই এ ইতিকাফ পালন করতে পারি। দুনিয়ার ঝামেলা তো আমাদের থাকেই। ইতিকাফের নিয়ত করে আমরা যদি সেসব ঝামেলাকে মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করি, ব্যবসায়িক দায়দায়িত্ব আগেভাগেই গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি, তবে তা তেমন কঠিন কোনো বিষয় নয়। এভাবে চিন্তা ও চেষ্টা করলে মসজিদে মসজিদে বৃদ্ধি পাবে ইতিকাফকারীদের সংখ্যা, উন্নত থেকে উন্নততর হবে আমাদের তাকওয়ার স্তর।

আরেকটি কথা, তারুণ্য আর যৌবন অন্য সবক্ষেত্রের মতো ইবাদতেরও স্বর্ণসময়। এ সময়ের ইবাদতের তৃপ্তিই অন্যরকম। যৌবনের ইতিকাফে যে স্বাদ অনুভূত হবে, তা বার্ধক্যে পাওয়া যাবে না। তাই আসুন, সুন্নতে মুয়াক্কাদা এ ইবাদতটি পালনে আমরা প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যাই। পুরো দশকের জন্যে ইতিকাফ করা যাদের পক্ষে নিতান্তই অসম্ভব, তারা দুই-চার দিনের জন্যে হলেও নফল ইতিকাফের নিয়তে চলে আসুন মসজিদে।

নামাজের জামাতে যেমন সব বয়সের মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন, মসজিদে মসজিদে তেমনি সব বয়সী ইতিকাফকারীর ভিড় জমে উঠুক। ইতিকাফের নুর ও বরকত আল্লাহ দয়াময় আমাদের সকলেই দান করুন। আমীন।

Comments
  1. Thanks for this information.🌹🌹🌹🌹

  2. আলহামদুলিল্লাহ। ইতেকাফ করার ইচ্ছে আছে।

    1. মাশাআল্লাহ! আল্লাহ কবুল করুন।

  3. Is it permissible to do gusl of Friday during itikaf? Our local mosque imam said that it is not permissible. However they have devised an interesting way out. They go out with the intention of wudu and do gusl.

    1. জুমার দিনের গোসল করার জন্য ইতেকাফে থাকা অবস্থায় মসজিদের বাইরে যাওয়ার সুযোগ আছে।

  4. Assalamulaikum. Ami admission candidate. Ami meye.ami itikaf er modha porasuna korte parbo? Ami ki online e cls korte parbo?

    1. ওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
      এতেকাফ অবস্থায় যতটা সম্ভব ইবাদত বন্দেগি করা উচিত। তবে এতেকাফের জায়গা থেকে বের না হয়ে চাইলে আপনি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারবেন। এতে এতেকাফ ভঙ্গ হবে না। আর অনলাইন ক্লাস যদি ভিডিওর মাধ্যমে হয় তবে সেখানে যেন কিছুতেই পর্দা লঙ্ঘন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

  5. আলহাম দুলিল্লাহ অনেক কিছু জানলাম
    আল্লাহ্ যেনো এতেকাফ করার সুযোগ করে দেয় আমিন।

  6. আর যদি ই’তিকাফ কোন বুযর্গ, আল্লাহওয়ালার সোহবতে হয়, তাহলে তো ‘সোনায় সোহাগা’ (نور على نور)। আল্লাহ তা’আলা সবাইকে কবুল করুন।

    1. জুমার দিন ছাড়া গোসলের জন্য বাইরে যাওয়ার সুযোগ আছে?
      আর গোসলের জন্য যদি বাসায় যেতে হয় সে ক্ষেত্রে কি হুকুম?মসজিদে যদি যথাযথ ব্যবস্থা না থাকে গোসলের জন্য

      1. ফরয গোসলের জন্য যে কোনো সময় বের হ‌ওয়া যাবে। বরং বের হ‌য়ে গোসল করাটাই জরুরী।
        আর আমরা স্বাভাবিকভাবে গরমের জন্য যে গোসল করি এই গোসলের জন্য এতেকাফ থেকে বের হ‌ওয়ার অনুমতি নেই। তবে একান্তই যদি করতে হয় তাহলে প্রস্রাব পায়খানার প্রয়োজনে যখন বের হবে তখন ফেরার পথে ওযুর পরিবর্তে খুব দ্রুত অল্প সময়ের মধ্যে গোসল সেরে আসতে পারবে।

  7. কিছু কারণবশত আমি আমার মসজিদের তৃতীয় তলায় ইতিকাফ করি, যার প্রধান কারণ হচ্ছে তৃতীয় তলাতেই ইস্তিঞ্জা ও হাম্মামখানা রয়েছে। আমি জাম’আতের সময় কি শুধু নিচে নামতে পারবো? আমি নিচে সালাত আদায়ের পর আমার আব্বু খাবার দিয়ে যান।
    *আমি এক মুফতির কাছে জিজ্ঞাসা করায় তিনি আমাকে প্রথম তলাতেই ইতিকাফ করার জন্য উৎসাহ দিলেন। বললেন, উপরে ইতিকাফ করলে পরিপূর্ণ ফজিলত পাওয়া সম্ভব নয়। সমস্যা হওয়া সত্ত্বেও নিচে করাটা উত্তম।
    প্রথম তলায় দু’বছর ইতিকাফ করেছি। সমস্যা হচ্ছে, অন্যান্য ইতিকাফকারীদের সাথে অনেক অনর্থক কথাবার্তা হয়ে যায়। আবার প্রতিদিন এলাকাবাসী আমাদের ইফতার ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেন, আর এই ব্যবস্থা মানে যে সামান্য কিছু কিন্তু তা নয়। তারা খুব ভালো ভাবেই, ভালো খাবারের ব্যবস্থা করেন। আর তেল-মশলাদার খাবার বেশি খেলে ঘুম আসে বা অলসতা লাগে যার দরুন ইবাদত হয় না এবং আমার শরীর এতো তেল-মশলা নিতে পারে না। আমি এমনিতে খুব কম খাই কিন্তু সবার সাথে থাকলে অল্প খেয়ে উঠা যায় না। আমি আমার স্বাস্থ্য ও আমল-ইবাদতের দিক বিবেচনা করেই উপরে ইতিকাফ করতে চাই।

    1. ওঠানামার সিড়ি যদি মসজিদের ভেতরে হয়, তবে জামাআতের সময় নিচে নামতে পারবেন।
      কিন্তু সিড়ি যদি মসজিদের বাইরে হয়, তবে তো নিচে নামার জন্য মসজিদ থেকে বের হতে হবে, যা জটিলতা সৃষ্টির কারণ। তাই এ পরিস্থিতিতে আপনার জন্য নিচে ইতিকাফ করাটাই ভালো হবে। আর আপনি চাইলে তো নিচে ইতিকাফ করেও স্বাস্থ্যগত ওযরের কথা বলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আয়োজিত খাবার এড়িয়ে যেতে পারেন।

  8. আসসালামু আলাইকুম হুজুর আসলে আমি জানতে চাচ্ছি যে ঘরে ভিতরে ইতিকাফ করবো কিভাবে

    1. ওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
      যদি আপনার ঘরে নামাজের স্বতন্ত্র কোনো জায়গা থাকে, তবে সেখানেই ইতিকাফ করবেন। পুরুষেরা যেমন মসজিদে ইতিকাফ করার সময় সেখান থেকে বের হতে পারে না, আপনিও আপনার এ নামাজের জায়গা থেকে বের হতে পারবেন না। আর যদি এমন কোনো জায়গা নির্ধারিত না থাকে, তবে ইতিকাফের জন্য একটি জায়গা নির্ধারণ করে নিন।

  9. কেউ যদি মারা যায় তাহলে কি এতেকাফ থেকে বের হতে পারবে তাকে দেখার জন্য আর যদি মসজিদের সামনে জানাজা হয় তাহলে কি সে জানাজা শরিক হতে পারবে

    1. মৃত ব্যক্তিকে দেখার জন্য কিংবা জানাজায় শরিক হওয়ার জন্যও ইতিকাফ থেকে বের হওয়া যাবে না। যদি একান্ত যেতেই হয়, তবে সেদিনের ইতিকাফ কাযা করে নিতে হবে।

  10. আসসালামু আলাইকুম। আমরা তো মোটামুটি প্রতিদিনই গোসল করি। এখন প্রতিদিনের স্বাভাবিক গোসলের জন্য কি বাইরে বের হতে পারবো??

    আর যদি করো গোসল ফরজ হয় কিন্তু মসজিদে পানি না থাকে তবে সে কি বাড়িতে গিয়ে গোসল করতে পারবে??

    যদি জামা-কাপড় ধোয়ার প্রয়োজন হয় তবে কি বাইরে বের হওয়া যাবে??

    যদি নিজের খাবার নিজেকেই বাড়ি থেকে নিয়ে আনতে হয়, তখন আসা-যাওয়ার পথে কেউ যদি ডাক দেন তাহলে কি তার কাছে যাওয়া যাবে বা কথা বলা যাবে??

    আর যদি কোনো কারণে অনিচ্ছায় করো দুই-একটি ই’তিকাফ কাযা হয় তাহলে সেটা কবে এবং কীভাবে আদায় করবে?? ইদের দিন তো আর করা যাবে না। কারণ সেদিন রোজা রাখা হারাম।

    দয়া করে একটু উপকৃত করবেন হুজুর।

    1. ওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
      ফরয গোসল ও জুমার দিনের সুন্নত গোসলের প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে। কিন্তু আমরা প্রতিদিন যে গোসল করি, এর জন্যে ইতিকাফ অবস্থায় বের হওয়া যাবে না। তবে যদি একান্তই কারও গোসল করতে হয়, তবে প্রস্রাব-পায়খানার জরুরত সেরে যখন ওজু করে মসজিদে আসার কথা, তখন ওজুর পরিবর্তে খুবই অল্প সময়ের মধে্য গোসল সেরে চলে আসবে। ওজু ছোট পবিত্রতা, গোসল বড় পবিত্রতা। তাই এতটুকু করা যেতে পারে। কিন্তু শুধুই গোসলের জন্যে বের হবে না।
      মসজিদে পানি না থাকলে ফরজ বা সুন্নত গোসলের প্রয়োজনে বাড়িতেও যেতে পারবে। তবে অন্য কোনো কাজে সময় ব্যয় করবে না। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আবার মসজিদে ফিরে আসবে।
      জামাকাপড় ধোয়ার প্রয়োজনে বাইরে বের হবে না।
      নিজের খাবার যদি নিজেকেই আনতে হয় এবং পথিমধ্যে কেউ কথা বলতে চান, তবে তার সঙ্গে কথা বলা যাবে। কিন্তু কথা বলার জন্যে কোথাও দাঁড়ানো বা অপেক্ষা করা যাবে না এবং বিলম্ব করা যাবে না।
      ইতিকাফ যদি কোনো একদিন ভেঙে যায়, তবে তো তার আর সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইতিকাফ হবে না। সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইতিকাফ পূর্ণ দশকেই করতে হয়। এমতাবস্থায় তাকে একদিনের ইতিকাফ কাযা করলেই চলবে। যদি রমযানেই সুযোাগ থাকে, তবে তো ঈদের আগে কোনো একদিন এ ইতিকাফ কাজা করে নিলেই হবে। অন্যথায় ঈদের পরে কোনো একদিন নফল রোজা রেখে এক সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী সন্ধ্যা পর্যন্ত ইতিকাফ কাযা করতে হবে। সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইতিকাফ ভেঙে যাওয়ার পরও যদি কেউ বাকি দিনগুলো ইতিকাফ করে কাটায়, তবে তার সুন্নতে মুয়াক্কাদা আদায় হবে না ঠিক, কিন্তু এতেও সে অনেক সওয়াবের অধিকারী হবে। আর আল্লাহ তো মুমিনের নিয়তের ভিত্তিতেই সওয়াব দিয়ে থাকেন।

  11. Assalamu alaikum..Ami Chattagram theke bolchi. eibare,mane 2024 shaler ei cholti ramadane jodi ami itekaf nite chai taile kondin theke amar itekafe dhukte hobe? Kototomo roja theke? 19 rojar iftar korei?

    1. ২০তম রোজার ইফতারের মধ্য দিয়ে আপনার ইতিকাফ শুরু হবে। কারণ ২০তম রোজার ইফতারের মাধ্যমেই হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২১ রমযান শুরু হয়ে যায়। তাই ২০ রমযান সূর্যাস্তের আগেই ইতিকাফের যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করে নিবেন। ইতিকাফের স্থানেই ইফতার করবেন। যে সকল পুরুষগণ মসজিদে ইতিকাফ করবেন তারা ২০ রমযান সূর্যাস্তের আগেই মসজিদে চলে যাবেন। মসজিদে গিয়ে ইফতার করবেন।

  12. ইতিকাফে অংশ গ্রহনকারী নারীর বাসায় সাহায্যকারী না থাকলে সে কি নুন্যতম পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ ও রান্না করতে পারবে?
    ঘরের সকল পুরুষ সদস্য মসজিদে এবং নারী সদস্য বাড়িতে ইতিকাফ করলে নারীরা সম্পুর্ণ ঘরে বিচরণ করতে পারবে?
    মহিলারা ঘরে প্রতিদিনের স্বাভাবিক গোসল করতে পারবে?

    1. যথাসম্ভব ইতিকাফের নির্ধারিত থাকার চেষ্টা করুন। রান্না করার যদি কেউ না থাকে, তবে তো রান্না করা যাবে। রান্না সংক্রান্ত যেসব কাজ ইতিকাফের জায়গায় করা যায়, সেগুলো সেখানেই করুন। ইতিকাফের নির্ধারিত জায়গার বাইরে যতটা সম্ভব কম থাকার চেষ্টা করুন।
      ইতিকাফের জায়গা হিসেবে প্রথমত নামাজের জন্য নির্ধারিত কক্ষকেই বেছে নিন। আর যদি নামাজের জন্যে নির্ধারিত কোনো কক্ষ না থাকে, তবে কোনো কক্ষের অংশবিশেষ কিংবা ছোট কোনো কক্ষকে নির্ধারণ করুন। এ নির্ধারিত জায়গাটুকুর পরিচ্ছন্নতার কাজ আপনি করতে পারবেন এবং এতটুকুতে বিচরণও করতে পারবেন। এর বেশি নয়।
      ইতিকাফ চলা কালে প্রতিদিনের স্বাভাবিক গোসল না করাই নিয়ম। যদি একান্তই করতে হয়, তবে প্রস্রাব-পায়খানার পর যখন ওজু করতে যাবেন, তখন ওজু না করে গোসল সেরে আসুন। শুধুই গোসলের নিয়তে ইতিকাফের জায়গা থেকে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন।

  13. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,,,,,,
    হুজুর আমি যদি ঘরের মধ্যে ইতিকাফ করি,,,,
    ঈদের চাঁদ দেখার পর ইতিকাফ থেকে তো বের হব,,,,,, বের হওয়ার আগে কি কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে???

    1. ওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
      না, ইতিকাফ থেকে বের হওয়ার বিশেষ কোনো নিয়ম নেই। ২৯ রমযানে ঈদের চাঁদ দেখা গেলে সেদিন সূর্যাস্তের সময়, অন্যথায় ৩০ রমযানের সূর্যাস্তের সময় ইতিকাফ শেষ হয়ে যাবে। এরপর স্বাভাবিকভাবেই বের হয়ে যেতে পারবেন।

  14. আসসালামু আলাইকুম, মহিলাদের ইতিকাফের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি। বাসায় থেকে কিভাবে কি কি করতে হবে।

    1. ওয়াআলাইকুমুস সালাম। মহিলারা নিজের ঘরে ইতিকাফ করবে। নামাজের নির্ধারিত জায়গা থাকলে সেখানে ইতিকাফ করবে। আর তা যদি না থাকে, তবে কোনো একটি জায়গাকে নির্ধারিত করে নেবে এবং ইতিকাফের সময়টাতে সেখানেই অবস্থান করবে। একান্ত মানবীয় প্রয়োজন ছাড়া সেখান থেকে বের হবে না।

  15. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,,,,,,
    হুজুর আমি যদি ঘরে ইতিকাফ করি,,,,আমরা কি দুইজন মহিলা একসাথে এক ঘরে ইতিকাফ করতে পারবো???
    আর আমি কি আমার জরুরি প্রয়োজনে আম্মুর সাথে কথা বলতে পারবো ??
    যেহেতু গোসল খানা বারান্দায়,,,,আমি কি কারো সাথে কোন কথা না বলে প্রতিদিনের গোসল করে আসতে পারবো,,,,
    আমি একজন স্টুডেন্ট,,,,,এই প্রথম ইতিকাফ করবো ইনশাআল্লাহ,,,,,,,
    দয়া করে আমাকে ডিটেলসে বলে সাহায্য করুন,,,,,,

    1. ওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
      এক ঘরে দুই জন মহিলা ইতিকাফ করতে পারবেন, কোনো অসুবিধা নেই। ইতিকাফের নির্দিষ্ট জায়গায় থেকে আপনি জরুরি কথাও বলতে পারবেন।
      আর গোসলের জন্য ইতিকাফের জায়গা থেকে বের না হওয়াই ভালো। তবে যদি করতেই হয়, তাহলে প্রস্রাব-পায়খানার জন্য যখন বের হবেন, তখনই ওজুর পরিবর্তে দ্রুত সময়ে গোসল সেরে আসবেন। শুধুই গোসলের নিয়তে বের হবেন না।

  16. আমি সকল ৯:০০ টা থেকে দুপুর ১:১৫ টা পর্যন্ত অফিস কন্টিনিউ করে বাকি সময় টা তে ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করলে ইতিকাফ আদায় হবে?

    উল্লেখ্য, ২৭ রমজানের পূর্বে অফিস থেকে পুরোপুরি ছুটি পাবো না। ২৭ রমজান পর্যন্ত এভাবে চালিয়ে গেলে ইতিকাফ আদায় হবে?

    1. নফল ইতিকাফ হবে। সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইতিকাফের জন্য শেষ দশকের পুরো সময়টাই মসজিদে অবস্থান করে ইতিকাফ করতে হবে।

  17. Assalamu alikum….Ami Jodi etikafe bosi …so Ber hoye basay jete perbo naki Jodi onek kaj important Hoy …mosjide . R basay 1 minute r poth

    1. ওয়াআলাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
      ইতেকাফে বসার পর জরুরি মানবীয় প্রয়োজন (অর্থাৎ প্রস্রাব-পায়খানা ও পবিত্রতা অর্জন) ছাড়া মসজিদের বাইরে বের হওয়া যাবে না। খানাপিনাও মসজিদেই করতে হবে। তবে যদি খুবই জরুরি এমন কোনো কাজ হয়, যা মসজিদে বসে করা সম্ভব, তবে মসজিদেই তা করুন। এতে ইতিকাফ ভাঙবে না।
      তবে মনে রাখতে হবে, দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে পুরোপুরি ফারেগ হয়ে ইবাদতে ডুবে থাকতে পারলেই ইতিকাফের পরিপূর্ণতা ঠিক থাকবে। তাই ইতিকাফে যথাসম্ভব দুনিয়াবি কাজ এড়িয়ে চলুন।

  18. Ami meye.amr ekhon kono study or academic pressure nei.ami kivabe ittekaf korte pari please janaben?

    1. মেয়েরা ঘরে ইতেকাফ করবে। যদি নামাজের জন্যে নির্দিষ্ট কোনো রুম থাকে, তবে সেখানেই করবে। অন্যথায় কোনো একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে নেবে। এরপর ইতিকাফের পুরো সময় সেখানেই অবস্থান করবে। জরুরি মানবীয় প্রয়োজন ছাড়া সেখান থেকে বের হবে না। ওখানে থেকেই ইবাদত, বিশ্রাম ইত্যাদি করতে হবে।

  19. Aassalamualaikom, Mohilara ki vabay korbay sothik vabay bistarito sob bolley onek upokar hoto. Koto din etikaf a bostay hobay Please eaktu bolben.

    1. ওয়াআলাইকুুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
      নিয়ম তো পুরুষের মতোই। দশ দিন হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইতিকাফ। এর কম করলে নফল হবে। তবে পুরুষেরা মসজিদে ইতিকাফ করবে, আর মহিলারা নিজ ঘরে নামাজের নির্ধারিত জায়গায় ইতিকাফ করবে।নামাজের নির্ধারিত জায়গা না থাকলে একটি জায়গা নির্ধারণ করে নেবে। সেখানেই ইতিকাফ করবে।

  20. আসসালামুয়ালাইকুম ।
    আমার স্কুল 24 রমজান পর্যন্ত খোলা থাকবে,আমি কি এর পরের দিন গুলো ইত্তেফাক করতে পারবো?
    ইত্তেফাকের কী জোড় বিজড় দিনে শুরু করতে হবে এমন কোনো নিয়ম আছে?

    1. স্কুল ছুটির পরের দিনগুলো আপনি নফল ইতিকাফ করতে পারেন। জোড়-বিজোড় দিনে শুরু করার কোনো বিশেষ নিয়ম নাই। যে কোনো দিন শুরু করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

- আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ
ক্যাটাগরি সমূহ
ট্যাগ সমূহ
error: অনুগ্রহ করে লেখাটি কপি করবেন না। লিংক শেয়ার করুন। ধন্যবাদ