Post Updated at 26 Feb, 2024 – 12:22 PM

যেই রাতটি আমাদের কাছে শবে বরাত বলে পরিচিত, হাদীস শরীফে এটিকে বলা হয়েছে লাইলাতুন নিসফ মিন শাবান বা মধ্য শাবানের রজনী। শবে বরাত ফার্সী শব্দ, এর অর্থ ভাগ্য রজনী। আর আরবিতে এই রাত্রকে বুঝাতে লাইলাতুল বারাআত বা মুক্তির রজনী কথাটি ব্যবহৃত হয়। মধ্য শাবানের এই রাত্রিতে কি ভাগ্য লিখা হয়? কুরআনে ভাগ্য লিখার কথা বলা হয়েছে সেটা আসলে কোন রাত? এই রাতের ফজিলতের ব্যাপারে হাদীসের দলিল আছে কী কী? আমরা এই রাতে যা করি আর এই রাত সম্পর্কে যেই ধারণা ও বিশ্বাস পোষণ করি তা কতটা সুন্নাহ সম্মত? এই রাতের আমল কী? পরদিনের রোজা সম্পর্কে হাদীস কী বলে? এ রাতে প্রচলিত শিরক ও বিদআতের কাজগুলো কী কী? এই সকল বিষয় নিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবে এই পোস্টে।

শবে বরাতের রাত নিয়ে এখন প্রতি বছরই চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়। একদল বলে এই রাতের সব কিছুই বাতিল। আরেক দল বলে এই রাতই সর্বশ্রেষ্ঠ রাত। কেউ বলছেন, শবে বরাতের রাতে কোনো আমলই করা যাবে না। এ রাতের বিশেষ কোনো ফজিলতই নেই। কেউ আবার বলছেন সারা রাত জেগে বিশেষ পদ্ধতিতে নামাজ পড়তে হবে। বিশেষ কিছু আমল করতে হবে। হাদীস ও সুন্নাহর আলোকে কোনটি সঠিক- এ নিয়েই আজকের আলোচনা।

 

লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে  হাসানের রাফখাতা   ব্লগে

লেখাটি সম্পাদনা করেছেন মাওলানা শিব্বীর আহমদ। উস্তাযুল হাদীস, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া ঢাকা।

শবে বরাত আসলে কী? হাদীসে শবে বরাতকে কী বলা হয়েছে?

শবে বরাতকে হাদীস শরীফে “লাইলাতুন নিসফ মিন শাবান” বা মধ্য শাবানের রাত্রি বলা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম এই রাতকে এ নামেই অবহিত করতেন। তবে এ রাতটিকে শবে বরাত বলাতেও কোনো সমস্যা নেই। যেমন আমরা সালাতকে নামাজ বলি। নামাজ কথাটা বললে আমরা ঐসব কাজের সমষ্টিকেই বুঝি যেগুলো হাদীসে সালাত শব্দ দ্বারা বুঝানো হয়েছে। আমাদের দেশে সালাতকে নামাজ বলাই প্রচলিত। হ্যাঁ, যদি কেউ শবে বরাত বলে ভাগ্যরজনী বুঝিয়ে থাকেন তবে তা হবে নিতান্তই ভুল। শবে বরাত মানে ভাগ্যরজনী নয়। ভাগ্যরজনী হলো শবে কদর। আর শবে বরাত হচ্ছে মুক্তির রজনী। এ রাতে আল্লাহ তাআলা বান্দাদেরকে গোনাহ থেকে মুক্তি দান করেন।

হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি মধ্য শাবানের রাত্রে আল্লাহ তায়ালা সকল মানুষকে মাফ করে দেন, শুধু দুই শ্রেণীর মানুষকে ক্ষমা করেন না। যারা মনে হিংসা বিদ্বেষ পোষণ করে আর যারা আল্লাহর সাথে শিরক করে।  এ রাতে আল্লাহ তাআলা সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন বলেই আরবিতে একে লাইলাতুল বারাআত বা ক্ষমার রজনী বলা হয়।

আমাদের দেশের অনেক মানুষকে দেখা যায় শবে বরাতকে ভাগ্য রজনী বলার পেছনে শক্ত বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে আছেন।

সূরা  দুখানের ৩ ও ৪ নাম্বার আয়াত হচ্ছে তাদের দলীল।

সূরা দুখান ১-৫
সূরা দুখান ১-৫

অনুবাদঃ

হা মীম। সুস্পষ্ট কিতাবের কসম! নিশ্চয়ই আমি এটি (অর্থাৎ কুরআনকে) নাযিল করেছি বরকতময় রাতে; নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। সে রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়, আমারই নির্দেশে; নিশ্চয় আমি রাসূল প্রেরণকারী।

এখানে আল্লাহ বলেছেন, তিনি কুরআনকে একটি বরকতময় রাত্রিতে নাযিল করেছেন। এই মুবারক রজনীর ব্যাখ্যায় বিভিন্ন সাহাবী ও তাবিয়ীগণ বলেছেন যে, এ রাতটি হলো ‘লাইলাতুল ক্বদর’ বা মহিমান্বিত রজনী। বিখ্যাত সাহাবী ইবনু আব্বাস (রা), ইবনু উমার (রা) থেকে এরকম ব্যাখ্যা এসেছে। তাবেয়ীগণের মধ্যে থেকে আবু আব্দুর রহমান আল-সুলামী, মুজাহিদ বিন জাবর, হাসান বসরী, ক্বাতাদা ইবনু দি’আমা ও আব্দুর রহমান বিন যায়েদ বিন আসলাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। তারা সকলেই বলেছেন যে, লাইলাতুম মুবারাকাহ অর্থ লাইলাতুল ক্বদর।

এ সকল সাহাবী ও তাবেয়ীর মতের বিপরীতে একজন মাত্র তাবেয়ী মত প্রকাশ করেছেন যে, এ আয়াতে বরকতময় রাত্রি বলতে শবে বরাত তথা শাবানের ১৫ তারিখকে বুঝানো হয়েছে। তিনি হচ্ছেন সাহাবী ইবনু আব্বাস (রা) এর খাদেম তাবেয়ী ইকরিমাহ। তিনি বলেন, এখানে মুবারক রজনী বলতে মধ্য শাবানের রাতকে বুঝানো হয়েছে। এ রাতে গোটা বছরের সকল বিষয়ের ফয়সালা হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রসিদ্ধ মুফাসসিরগণ ইকরিমাহ (রহ) এর এই মতকে গ্রহণ করেন নি। কেউ কেউ নিজ নিজ তাফসীরগ্রন্থে  ইকরিমাহ এর মতটিকেও উল্লেখ করেছেন কিন্তু কোনো মন্তব্য করেন নি। আর অধিকাংশ মুফাসসির ইকরিমাহ এর এ মতটি বাতিল বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর বিপরীতে অন্যান্য সাহাবী ও তাবেয়ীর মতটিই সঠিক বলে গ্রহণ করেছেন। তাঁরা বলেন যে, সঠিক মত হলো, এখানে মুবারক রজনী বলতে লাইলাতুল ক্বদরকে বুঝানো হয়েছে। এটিই যে সঠিক মত তার প্রমাণ হচ্ছে কুরআনের অপর কিছু আয়াত ও অসংখ্য সহীহ হাদীস।

উপরে উল্লেখিত সূরা দুখানের ৩-৪ নং আয়াতে শুধু বলা হয়েছে একটি বরকতময় রাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে। আর ঐ রাতেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নির্ধারিত হয়। কিন্তু কোন মাসের কোন রাত্রিতে নাযিল করেছেন তা ঐ আয়াতে উল্লেখ হয় নি। কুরআনের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কুরআনের একটা আয়াতের ব্যাখ্যা অন্য কোনো আয়াতে পাওয়া যায়।

সূরা বাক্বারার ১৮৫ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ স্পষ্ট করে বলেছেন কুরআন কোন মাসে অবতীর্ণ করা হয়েছে।

সূরা বাক্বারা, আয়াত ১৮৫সূরা বাক্বারা, আয়াত ১৮৫

অনুবাদঃ

রমযান মাস, এতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী রূপে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। অতএব তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন তাতে রোযা পালন করে। আর যে অসুস্থ অথবা মুসাফির থাকে, তাকে অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের (জন্য যা) সহজ (তা) করতে চান, তিনি তোমাদের কষ্ট চান না। যেন তোমরা (রোযার) নির্ধারিত সংখ্যা পূরণ করে নিতে পার এবং তোমাদেরকে যে সুপথ দেখিয়েছেন, তার জন্য তোমরা আল্লাহর তকবীর পাঠ (মহিমা বর্ণনা) কর এবং যেন তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পার।

এখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে কুরআন নাযিল হয়েছে রমজান মাসে। তাই কুরআনের এই আয়াতকে মেনে নিয়ে, সূরা দুখানে কুরআন নাযিলের রাতকে শাবানের ১৫ তারিখ বলার কোনো সুযোগ নাই।

চলুন এবার দেখে নেয়া যাক সূরা ক্বদরে আল্লাহ কী বলেছেন।

সূরা ক্বদর
সূরা ক্বদর

অনুবাদঃ

নিশ্চয়ই আমি একে (অর্থাৎ কুরআনকে) নাযিল করেছি লাইলাতুল ক্বদর এ (তথা মর্যাদাপূর্ণ রাত্রিতে)। তুমি কি জান লাইলাতুল ক্বদর কী? লাইলাতুল ক্বদর হচ্ছে এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ ও রূহ (জিবরাইল) প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে অবতীর্ণ হয়। সে রাত আদ্যপান্ত শান্তি – ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত।

এখানেও বলা হয়েছে ক্বদরের রাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে। আর ক্বদরের রাত যে রমজান মাসের শেষ দশ দিনের কোনো একদিন তা অসংখ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল ক্বদ্‌রের অনুসন্ধান কর।

[সহীহ বুখারী ২০১৭]

এসব আয়াত আর হাদীসের প্রেক্ষিতে মুফাসসিরগণ (অর্থাৎ যারা কুরআনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের ব্যাপারে অভিজ্ঞ) তারা এই মর্মে উপনীত হয়েছেন যে, কুরআন রমজান মাসে নাযিল হয়েছে (সূরা বাক্বারা ১৮৫)। আর তা বিশেষ করে লাইলাতুল ক্বদরের মর্যাদাপূর্ণ রাতে নাযিল হয়েছে (সূরা ক্বদর)। আর এই মর্যাদাপূর্ণ রাতই হচ্ছে বরকতময় রাত এবং এই রাতেই ভাগ্য লিপিবদ্ধ করা হয় (সূরা দুখান ৩-৪)।  তাই শবে বরাতকে ভাগ্যরজনী মনে করা নিতান্তই ভুল।

শবে বরাতের হাদীস ফজিলত ও আমল

এ রাতের বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলতের ব্যাপারে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ হাদীসটি হচ্ছে সাধারণ ক্ষমা বিষয়ক। এই রাতে আল্লাহ দুই শ্রেণীর মানুষ ব্যাতীত সবাইকে ক্ষমা করে দিবেন। দুই শ্রেণী হচ্ছে ১। যারা আল্লাহর সাথে শিরক করে ২। যাদের অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষ আছে। হাদীসের পাঠ এমন :

عن معاذ بن جبل, عن النبى (, قال : يطلع الله الى خلقه فى ليلة النصف من شعبان, فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن ]رواه ابن حبان وغيره, ورجاله ثقات, وإسناده متصل غلى مذهب مسلم الذى هو مذهب الحمهورفى المعنعن, ولم يحزم الذهبى بأن مكحولالم يلق مالك بن يخامر كما زعم, وإنما قاله على سبيل الحسان, راجع ,سبر أعلام النبلاء

মুআয ইবনে জাবাল বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।

এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, এ রাতে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে রহমত ও মাগফেরাতের দুয়ার ব্যাপকভাবে উন্মুক্ত হয়। কিন্তু শিরকি কাজ-কর্মে লিপ্ত ব্যক্তি এবং অন্যের ব্যাপারে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণকারী মানুষ এই ব্যাপক রহমত ও সাধারণ ক্ষমা থেকেও বঞ্চিত থাকে। যখন কোনো বিশেষ সময়ের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে রহমত ও মাগফেরাত ঘোষণা হয়, তখন মুমিন বান্দার কর্তব্য, এই সময় এমন সব নেক আমলের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া যার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও মাগফেরাত লাভের উপযুক্ত হওয়া যায় এবং সবধরনের গোনাহ থেকে বিরত থাকা। গোনাহের কারণে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আগত রহমত ও মাগফেরাত থেকে বঞ্চিত হতে হয়।

যেহেতু উপরোক্ত হাদীস এবং অন্যান্য হাদীসে অর্ধ-শাবানের রাতে ব্যাপক মাগফেরাতের ঘোষণা এসেছে, তাই এ রাতটি অনেক পূর্ব থেকেই শবে বরাত তথা মুক্তির রজনী নামে প্রসিদ্ধ হয়েছে। কেননা, এ রাতে গুনাহসমূহ থেকে মুক্তি লাভ হয় এবং পাপের অশুভ পরিণাম থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

যদি শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে দ্বিতীয় কোন হাদীস না থাকত, তবে এই হাদীসটিই এ রাতের ফযীলত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এবং এ রাতে মাগফেরাতের উপযোগী নেক আমলের গুরুত্ব প্রমাণিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট হত। অথচ হাদীসের কিতাবসমূহে নির্ভরযোগ্য সনদে এ বিষয়ক আরো একাধিক হাদীস বর্ণিত হয়েছে।

হাদীসটির সনদ বা সূত্র বিষয়ক আলোচনা

উপরোক্ত হাদীসটি অনেক নির্ভরযোগ্য হাদীসের কিতাবেই নির্ভরযোগ্য সনদের মাধ্যমে বর্ণিত হয়েছে। ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে হিব্বান তার কিতাবু সহীহ এ (যা সহীহ ইবনে হিব্বান নামেই সমধিক প্রসিদ্ধ, ১৩/৪৮১ এ) এই হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। এটি এই কিতাবের ৫৬৬৫ নং হাদীস। এ ছাড়া ইমাম বাইহাকী (রহঃ) শুআবুল ঈমান এ (৩/৩৮২, হাদীস ৩৮৩৩); ইমাম তাবরানী আলমুজামুল কাবীর ও আলমুজামুল আওসাত এ বর্ণনা করেছেন। এ ছাড়াও আরো বহু হাদীসের ইমাম তাদের নিজ নিজ কিতাবে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।

হাদীসটির সনদ সহীহ। এজন্যই ইমাম ইবনে হিব্বান একে কিতাবুস সহীহ এ বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ হাদীসটিকে পারিভাষিক দৃষ্টিকোণ থেকে হাসান বলেছেন; কিন্তু হাসান হাদীস সহীহ তথা নির্ভরযোগ্য হাদীসেরই একটি প্রকার।

ইমাম মুনযিরী, ইবনে রজব, নূরুদ্দীন হাইসামী, কাস্‌তাল্লানী, যুরকানী এবং অন্যান্য হাদীস বিশারদ এই হাদীসটিকে আমলযোগ্য বলেছেন। দেখুন আততারগীব ওয়াততারহীব ২/১৮৮; ৩/৪৫৯. লাতায়েফুল মাআরিফ ১৫১; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৮/৬৫; শারহুল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়্যা ১০/৫৬১।

বর্তমান সময়ের প্রসিদ্ধ শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) সিলসিলাতুল আহাদসিস্‌ সাহীহা ৩/১৩৫-১৩৯ এ এই হাদীসের সমর্থনে আরো আটটি হাদীস উল্লেখ করার পর লেখেনঃ

وجملة القول أن الحديث بمجموع هذه الطرق صحيح بلاريب. والصحة تثبت بأقل منها عددا، مادامت سالمة من الضعف الشديد، كماهو الشأن فى هذاالحديث .

এ সব রেওয়াতের মাধ্যমে সমষ্টিগত ভাবে এই হাদীসটি নিঃসন্দেহে সহীহ প্রমাণিত হয়। তারপর আলবানী (রহঃ) ওই সব লোকের বক্তব্য খন্ডন করটা, যারা কোন ধরণের খোঁজখবর ছাড়াই বলে দেন যে, শবে বরাতের ব্যাপারে কোন সহীহ হাদীস নেই।

শবে বরাতের ফজিলত সংক্রান্ত আরেকটি হাদীস

হযরত আলা ইবনুল হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিত, হযরত আয়েশা (রা.) বলেন,

একবার রাসূলুল্লাহ (স) রাতে নামাযে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে, আমার ধারণা হল তিনি হয়ত মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামায শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা অথবা বলেছেন, ও হুমাইরা, তোমার কি এই আশংকা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার এই আশংকা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা। নবীজী জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জান এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূলই ভাল জানেন। রাসূলুল্লাহ (স) তখন ইরশাদ করলেন,

هذه ليلة النصف من شعبان ان الله عزو جل يطلع على عباده فى ليلة النصف من شعبان فيغفر للمستغفرينويرحمالمشترحمين ويؤخر اهل الحقد كماهم

‘এটা হল অর্ধ শাবানের রাত (শাবানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তার বান্দার প্রতি মনযোগ দেন এবং ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।‘ [শুআবুল ঈমান, বাইহাকী , হাদীস ৩৫৫৪]

ইমাম বাইহাকী (রহঃ) এই হাদীসটি বর্ণনার পর এর সনদের ব্যাপারে বলেছেন,

هذا مرسل جيد (অর্থাৎ এটি ভালো মানের একটি মুরসাল হাদীস)।

এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়, এ রাতে দীর্ঘ নফল পড়া, যাতে সেজদাও দীর্ঘ হবে, শরীয়তের দৃষ্টিতে কাম্য।

আরেকটি হাদীস

আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন মধ্য শাবানের রাত আসে তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগীতে কাটাও এবং দিনের বেলা রোযা রাখ। কেননা, এ রাতে সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে আসেন এবং বলেন, কোন ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করব। আছে কি কোন রিযিক প্রার্থী? আমি তাকে রিযিক দেব। এভাবে সুব্‌হে সাদিক পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রয়োজনের কথা বলে তাদের ডাকতে থাকেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৩৮৪]

এই বর্ণনাটির সনদ যয়ীফ। কিন্তু মুহাদ্দিসীন কেরামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হল, ফাযায়েলের ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে যয়ীফ সূত্রের হাদীস গ্রহণযোগ্য।

উপরোক্ত হাদীসগুলোর আলোকে বলা যায়, শবে বরাত একটি ফজিলতপূর্ণ রাত। এ রাতে আল্লাহ তাআলা বান্দার গোনাহ মাফ করে থাকেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রাতে দীর্ঘ নামাজ পড়েছেন। তাই আমাদের উচিত, এ রাত যতটা সম্ভব ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানো। ফরজ নামাজগুলো তো অবশ্যই যত্নের সঙ্গে আদায় করতে হবে। এটা সারাবছরের ফরজ। এর পাশাপাশি নফল নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, তওবা-ইস্তেগফার, যিকির-দোয়ায় আমরা সাধ্যমতো মশগুল থাকতে পারি।

তবে এই নফল ইবাদত অবশ্যই হতে হবে ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত নয়। নফল ইবাদত নিজের ঘরে করাই ভালো। তবে যারা এ আশঙ্কা করেন, ঘরে ফিরে গেলে আর নফল ইবাদত হবেই না, তারা মসজিদেও নামাজ-তেলাওয়াত করতে পারেন। অবশ্য ঘরে যেন ইবাদতের পরিবেশ থাকে, সেদিকে প্রত্যেক মুসলমানেরই যত্নবান হওয়া উচিত।

সারা বছরের জন্যেই ফরজ নামাজ ব্যতীত সকল সুন্নত ও নফল নামাজ বাসায় পড়া সুন্নাহ। যে কোনো ফরজ নামাজের ক্ষেত্রেও বাসা থেকে সুন্নত পড়ে গিয়ে ফরজ আদায় করে বাকি সুন্নত বা নফল বাড়িতে এসে আদায় করা সুন্নাহ। রাসূল (সা) বলেছেনঃ

اجْعَلُوا فِي بُيُوتِكُمْ مِنْ صَلاَتِكُمْ ، وَلاَ تَتَّخِذُوهَا قُبُورًا

তোমাদের ঘরেও কিছু সালাত আদায় করবে এবং ঘরকে তোমরা কবর বানিয়ে নিও না (বুখারী ৪৩২)

ফজিলতপূর্ণ এ রাতের ফজিলত লাভ করতে চাইলে এভাবেই রাতটি কাটাতে হবে। অনেক জায়গায় এর বিপরীত চিত্র দেখা যায়।  মানুষজন সব মসজিদে জড়ো হয়। বিশেষ খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয় মসজিদের পক্ষ থেকে বা কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে। যুবক ছেলেপলেরা ভ্যানগাড়ি ভাড়া করে সেটায় করে ৮-১০ জন ঘুরে বেড়ায়। আড্ডা-গল্প, আতশবাজি পটকা ফুটানো এগুলো তো চলতেই থাকে। মাজারগুলোতে মানুষ কয়েক কিলোমিটার লাইন ধরে হলেও ঢুকে। মাজারের ভিতর চলে শিরকের মহোৎসব! মাজারের আসেপাশে বসে ভিক্ষুকদের মেলা। দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন মাজারকে টার্গেট করে চলে আসে ভিক্ষুক সিন্ডিকেট। রাস্তার মাঝে লাইন ধরে বসে কুপি বাতি জালিয়ে সেখানে চলে ভিক্ষুকদের কুরআন পড়ার অভিনয়! কবরস্থানগুলোতে চলে বিশেষ মোমবাতি প্রোজ্জ্বলন। আগর বাতি জ্বালানো। এসব থেকে আল্লাহর দোহাই লাগে বিরত থাকুন!

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

অনেকেই জিজ্ঞেস করেন, “শবে বরাতের নামাজের নিয়ম কী?” আসলে এই রাত্রির নামাজ আর দশটা রাত্রিতে পড়া নফল নামাজের মতোই। ভিন্ন কোন পদ্ধতি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবলম্বন করেন নি। তাই নিজেদের মনগড়া সিসটেমে প্রতি রাকাতে ৭ বার বা ১১ বার সূরা ইখলাসের মাধ্যমে ‘শবে বরাতের নামাজ’ না পড়ে স্বাভাবিক নিয়মে ২ রাকাত করে যতটুকু পারা যায় পড়া উচিত। মোকসেদুল মোমিন জাতীয় বিভিন্ন নামাজ শিক্ষা বইয়ে  শবে বরাতের নামাজের নিয়ম, শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম, শবে ক্বদরের নামাজের নিয়ম ইত্যাদি  লেখা থাকে। এগুলো সবই তাদের মনগড়া বক্তব্য। এসব নামাজের ক্ষেত্রে এরকম বিশেষ কোনো নিয়ম  নেই।  স্বাভাবিক সময় যেভাবে দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়েন, শবে বরাতেও একই নিয়মে দুই রাকাত করে নামাজ পড়ুন। শবে বরাতের আলাদা কোনো নামাজ নেই। বিশেষ কোনো সূরা নেই, বিশেষ কোনো রাকাতসংখ্যা নেই। বিশেষ কোনো নিয়তও নেই। নফল নামাজের নিয়ত করে নামাজ পড়ুন।

তাহাজ্জুদ বা কিয়ামুল লাইলের ক্ষেত্রে আমাদের উচিত দীর্ঘ সময় কুরআন তিলাওয়াত করা। লম্বা সূরা জানা না থাকলে যেই ১০ টা সূরা সবাই জানি সেগুলোই ২ রাকাতে ৫ টা, ৫ টা করে পড়তে পারি। তাতেও কিরআত দীর্ঘ করা হবে। সম্ভব হলে অর্থ বুঝে নামাজ পড়া। দীর্ঘ রুকু করা। সিজদাকে দীর্ঘ করা। দোয়া-ইস্তিগফার করা। ঘুমাবার দরকার হলে ঘুমানো। এমন যেন না হয়, সারা রাতের নফল ইবাদতের ক্লান্তিতে ফজরের ফরজ নামাজ ছুটে যায়।

আরেকটি কথা, শবে বরাত শুরু হয়ে যায় মাগরিবের নামাজের সময় থেকেই। কিন্তু সাধারণত আমরা ইশার নামাজের পর নফল ইবাদতে মনোযোগী হই। মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়টুকু অবহেলা করেই কাটিয়ে দিই। মনে রাখতে হবে, এ সময়টুকুও ফজিলতপূর্ণ রাতেরই অংশ। তাই এ সময়ও অবহেলায় কাটানো উচিত নয়।

শবে বরাতের পর দিনের রোজা

শবে বরাতের পরদিন অর্থাৎ ১৫ শাবান রোযা রাখার বিষয়টিও বেশ প্রচলিত। উপরে আমরা হযরত আলী রা.এর সূত্রে যে হাদীস উল্লেখ করেছি, তাতে এ রোযার কথা বলা হয়েছে। আমরা বলে এসেছি, হাদীসটি সনদের দিক থেকে যদিও যয়ীফ, কিন্তু ফাযায়েলের ক্ষেত্রে যয়ীফ হাদীসের ওপরও আমল করা যা। তাছাড়া শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোযা রাখার কথা সহীহ হাদীসে এসেছে এবং আইয়ামে বীয অর্থাৎ প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোযা রাখার বিষয়টিও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।

বলা বাহুল্য, পনের শাবানের দিনটি শাবান মাসেরই একটি দিন এবং তা আইয়ামে বীযের অন্তর্ভূক্ত। এজন্য ফিক্‌হের একাধিক কিতাবেই এদিনে রোযাকে মুস্তাহাব বা মাসনূন লেখা হয়েছে। আবার অনেকে বিশেষভাবে এ দিনের রোযাকে মুস্তাহাব বা মাসনুন বলতে অস্বীকার করেছেন। এ প্রসঙ্গে হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ ত্বাকী উসমানী (দাঃবাঃ) তার ইসলাহী খুতুবাতে বলেন, ‘আরো একটি বিষয় হচ্ছে শবে বরাতের পরবর্তী দিনে অর্থাৎ শাবানের পনের তারিখে রোযা রাখা। গভীরভাবে বিষয়টি উপলব্ধি করা প্রয়োজন। হাদীসে রাসুলের বিশাল ভান্ডার হতে একটি মাত্র হাদীস এর সমর্থনে পাওয়া যায়। তাতে বলা হয়েছে, -শবে বরাতের পরবর্তী দিনটিতে রোযা রাখ।‘ সনদ বর্ণনার সূত্রের দিক থেকে হাদীসটি দুর্বল। তাই এ দিনের রোযাকে এই একটি মাত্র দুর্বল হাদীসের দিকে তাকিয়ে সুন্নত বা মুস্তাহাব বলে দেওয়া অনেক আলেমের দৃষ্টিতে অনুচিত।’

তবে হ্যাঁ, শাবানের গোটা মাসে রোযা রাখার কথা বহু হাদীসে পাওয়া যায়। অর্থাৎ ১ শাবান থেকে ২৭ শাবান পর্যন্ত রোযা রাখার যথেষ্ট ফযীলত রয়েছে। কিন্তু ২৮ ও ২৯ তারিখে রোযা রাখতে রাসূলুল্লাহ (স) নিজেই বারণ করেছেন। ইরশাদ করেন, রমযানের দুএকদিন পূর্বে রোযা রেখো না। যাতে রমযানের জন্যে পূর্ণ স্বস্তির সাথে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়। কিন্তু ২৭ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিনের রোযাই অত্যন্ত বরকতপূর্ণ।

একটি লক্ষ্যণীয় ব্যাপার হচ্ছে যে, শাবানের এই ১৫ তারিখটি তো ‘আইয়ামে বীয’ এর অন্তর্ভূক্ত। আর নবীজী প্রতি মাসের আইয়ামে বীয এ রোযা রাখতেন। সুতরাং যদি কোন ব্যক্তি এই দুটি কারণকে সামনে রেখে শাবানের ১৫ তারিখের দিনে রোযা রাখে যা আইয়ামে বীয এর অন্তর্ভূক্ত, পাশাপাশি শাবানেরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন, তবে ইনশাআল্লাহ নিশ্চয়ই সে প্রতিদান লাভ করবে। তবে শুধু ১৫ শাবানের কারণে এ রোযাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে সুন্নাত বলে দেওয়া অনেক আলেমের মতেই সঠিক নয়। আর সে কারণেই অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরাম মুস্তাহাব রোযার তালিকায় মুহাররমের ১০ তারিখ ও আইয়ামে আরাফা (যিলহজ্জের ৯ তারিখ) এর কথা উল্লেখ করেছেন অথচ শাবানের ১৫ তারিখের কথা পৃথকভাবে কেউই উল্লেখ করেননি। বরং তারা বলেছেন, শাবানের যে কোন দিনই রোযা রাখা উত্তম। সুতরাং এ সকল বিষয়ের দিকে দৃষ্টি রেখে যদি কেউ রোযা রাখে তরে ইনশাআল্লাহ সে সওয়াব পাবে। তবে মনে রাখতে হবে যে, রোজা রাখার ব্যাপারে এ মাসের নির্দিষ্ট কোন দিনের পৃথক কোন বৈশিষ্ট নেই।

তাই আমরা সেফ সাইডে থাকার জন্য শাবানের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ তিনটি রোজাই রাখব ইনশাআল্লাহ। এতে নবীজির (সা) সারা জীবনের সুন্নত আইয়ামে বীজের রোজা রাখার উপর আমাদের আমল করা হবে। আবার উপরের দুর্বল হাদীসটিতে ১৫ তারিখ রোজা রাখার কথা এসেছে, সেটার উপরও আমল করা হবে। কারো যদি একান্তই সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে একটি মাত্র রোজা রাখতে চান সেক্ষেত্রে ১৫ তারিখ অর্থাৎ শবে বরাতের পরদিনের রোজা রাখলেও তা দোষণীয় হবে না ইনশাআল্লাহ।

শবে বরাত পালন করা কি বিদআত?

কট্টর শবে বরাতপন্থী যেমন দেশে আছেন, অর্থাৎ এই রাতকেই যারা বছরের শ্রেষ্ঠতম রাত হিসাবে উদযাপন করেন। আবার আরেক দলের লোক আছেন যারা এক কথায় বলে দেন “শবে বরাত বলে কিছু নাই। সব বিদআত!” এটাও আসলে বাড়াবাড়ি। কোনো কিছুই ঢালাওভাবে বাড়াবাড়ি বা ছাড়াছাড়ির মধ্যে যাওয়া উচিত নয়। মধ্যপন্থা অবলম্বন করার নামই ইসলাম। যারা বলেন “শবে বরাত বলে ইসলামে কিছু নাই” তাদের আসলে এভাবে বলা মোটেই উচিত না। আমাদের উচিত হাদীস দ্বারা শবে বরাতের যতটুকু মর্যাদা প্রমাণিত হয়েছে ততটুকুর উপর অবিচল থাকা। এর চেয়ে কমাবো না, এর চেয়ে বাড়াবোও না। সুন্নাহের মধ্যে থাকা সব সময় নিরাপদ। এর কম বা বেশি করতে গেলেই বিদআত ও শিরকের দিকে ধাবিত হওয়ার আশংকা থাকে।

শবে বরাতকে বিদআত বলা যাবে কি যাবে না তার বিস্তারিত ব্যাখ্যার আগে; জেনে নেয়া যাক বিদআত কাকে বলে বা বিদআতের সংজ্ঞা কী?

যেটা দ্বীন না সেটাকে দ্বীন হিসেবে পালন করাই বিদয়াত।

একটি বৈধ ও জায়েজ কাজ, কিন্তু এর বিশেষ কোনো ফজিলতের কথা কুরআন ও হাদীসে বলা হয়নি। এমন কোনো কাজকে বিশেষ সওয়াবের কাজ বলাটাই বিদআত। যে ইবাদতের বিশেষ কোনো নিয়ম হাদীসে বর্ণিত নেই, তার জন্যে নিজের পক্ষ থেকে বিশেষ কোনো পদ্ধতি চাপিয়ে দেয়াটাও বিদআত। মাগরিবের পর দুই-চার রাকাত নফল নামাজ পড়া অনেক ফজিলতপূর্ণ একটি আমল। তবে এর জন্যে বিশেষ কোনো নিয়ম নেই। অমুক অমুক সূরা পড়তে হবে বলে কোনো কথা নেই। কিন্তু কেউ যদি বলে, মাগরিবের পরের চার রাকাত নফল নামাজ নির্দিষ্ট  এ চারটি সূরা দিয়ে পড়লে এত এত নেকি হবে, তবে তা বিদআত হবে।

এ আলোকে আমরা বলতে পারি যে, সুন্নাহের আলোকে যেসব আমল করার প্রমাণ আমাদের সামনে রয়েছে সেগুলো মোটেই বিদআত নয়। তাই এ রাতে স্বাভাবিক নফল ইবাদত করা বিদআত নয়। হ্যাঁ, এই রাতকে কেন্দ্র করে আরো অনেক রেওয়াজ-রসম রয়েছে। যেগুলোার সঙ্গে সুন্নাহর কোনো সম্পর্ক নেই। এগুলো অবশ্যই বিদআত। এগুলোর কোনোটা কোনোটা ভয়ংকর শিরক। তাই শবে বরাত বা লাইলাতুন নিসফ মিন শাবানকে ঢালাওভাবে বিদআত বলার সুযোগ নাই।

অনেকে “শবে বরাত” এই পরিভাষাটা হাদীসে না থাকার কারণে এভাবে বলেন “ইসলামে শবে বরাত বলে কিছু নাই”। ভাই! তাহলে তো বলতে হবে “ইসলামে নামাজ বলে কিছু নাই, আছে সালাত”। বলতে হবে “রোজা বলে কিছু নাই, আছে সিয়াম”। আমরা সমাজে নামাজ বললে সালাতকে বুঝি, রোজা বললে সাওমকে বুঝি। একই ভাবে শবে বরাত কথাটা প্রচলিত হয়ে গেছে, এর দ্বারা লাইলাতুন নিসফ মিন শাবানকে বুঝাই। তাই “শবে বরাত বলে কিছু নাই” একথা বলা উচিত নয়।

শবে বরাতকে কেন্দ্র করে অনেক বিদআত ও শিরক কাজ আমাদের সমাজে প্রচলিত। কোনো কোনোটা আবার শিরক-বিদআত নয় বরং সাধারণ অনুচিত কাজ। সবগুলো বিস্তারিত না বলে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরছি। আমাদের সকলের উচিত এগুলো থেকে বিরত থাকা।

  1. হালুয়া রুটি বানিয়ে খাওয়া ও দান করাকে এ দিনের বিশেষ ইবাদত মনে করা।
  2. কবরে বাতি জ্বালানো।
  3. মাজারে গিয়ে সিজদা করা। (এটা হারাম! এতে ঈমান চলে যাবে!)
  4. আতশবাজি ও পটকা ফুটানো।
  5. এই রাতে গোসল করাকে বিশেষ সওয়াবের কাজ মনে করা।
  6. দল ধরে ঘুরে বেড়ানোর মাধ্যমে “রাত্রি জাগরণ” সফল করা।
  7. মসজিদে জমায়েত হয়ে সম্মিলিতভাবে নফল নামাজ পড়া।
  8. মসজিদে জমায়েত হয়ে এ রাতের উদ্দেশ্যে বিশেষ হালকায়ে যিকিরের আয়োজন।
  9. মসজিদে মসজিদে বা মহল্লায় মহল্লায় এই দিন উপলক্ষে বিশেষ খানা-দানা ও তবারকের ব্যবস্থা করা।
  10. রাতভর মসজিদের মাইক বাজিয়ে কুরআন তিলাওয়াত, যিকির-আযকার বা ওয়াজ মাহফিল করা।

শবে বরাতের হালুয়া-রুটি বিদআতের উদ্ভব

মুরুব্বিদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য হচ্ছে, এই দিনে রুটি বানিয়ে বিলানো হলে হাশরের দিন রুটির সম পরিমাণে আরশের নিচে ছায়া পাওয়া যাবে। এজন্য এই দিনের রুটিগুলোকে প্রায়শ অনেক বড় করে বানানো হয়। যেন আরশের ছায়ার পরিমাণ বড় হয়। এই হালুয়া রুটির বিদআতী কাজটার জন্য মুরুব্বিদের চেয়ে আর কোনো রেফারেন্স জানা নাই। কারণ এই বিষয়টা কোনো জাল হাদীসের বইতেও নাই।

কোথাও কোথাও শবে বরাত উপলক্ষে ৪০টা রুটি বানিয়ে দান করার রেওয়াজ আছে। এতে ৪০ দিন আরশের ছায়া পাবে এই ধারণা পোষণ করা হয়। এটাও একটা নির্জলা ভুল বিশ্বাস।

ফিরে আসি হালুয়া রুটির আলোচনায়। অনেকে হালুয়া রুটির আয়োজন করে উপরের বর্ণনানুযায়ী আরশের ছায়ার জন্য। আবার কেউ কোন কিছুর উদ্দেশ্যে নয় বরং “সবাই বানায় তাই” তারাও বানায়। হালাল খাবার খেলে ক্ষতি কী? উভয় ক্ষেত্রেই কিন্তু একটা বিদয়াতের চর্চা করা হচ্ছে। একে সমর্থন দেয়া হচ্ছে। খাবারটা হালাল। খাবার দান করা বা প্রতিবেশিকে দিলে সওয়াব। কিন্তু এই দানের পিছনে যেই নিয়তটা রয়েছে সেটা ইসলাম থেকে প্রমাণিত নয়, মনুষ্য নির্মিত। অর্থাৎ আল্লাহ বা তাঁর রাসূলের দেখানো সিসটেমে না করে মনগড়া সিসটেমে। আপনার যদি নিয়মিতই বা মাঝে মাঝে হালুয়া রুটি বানিয়ে প্রতিবেশি ও গরীবদের দান করার প্র্যাক্টিস থাকে, তাহলে হয়ত এই দিনে একই কাজ করলে সেটাকে কো-ইন্সিডেন্স বলে চালিয়ে দেয়া যেতে পারে। কিন্তু তা না করে বছরের এই একটা দিনে যদি আপনার মনে আকাঙ্খা জন্মে যে প্রতিবেশি আর গরিবদের জন্য কিছু করা দরকার আর এটা “হালুয়া রুটি” দিয়েই করতে হবে। তাহলে নিঃসন্দেহে আপনি একটু গর্হিত বিদআতে নিজেকে জড়ালেন।

তবে এই দিবসে হালুয়া রুটি খাওয়ার পক্ষে একটা নতুন তথ্য কিছুদিন আগে জানতে পেরেছি। শিয়া সম্প্রদায়ের একটা গ্রুপের বিশ্বাস হচ্ছে ঈমাম মাহদী এখন থেকে অনেক অনেক আগেই জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর চার বছর বয়সে প্রতিকুল পরিবেশের কারণে আল্লাহ তায়ালা তাকে আসমানে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন। সময়মত তাকে আবার পৃথিবীতে পাঠানো হবে। শিয়াদের এই গ্রুপটা বলেন যে, ঈমাম মাহদীর জন্ম হয়েছিল এই ১৫ শাবান। তাই এটা তাদের কাছে খুশির দিন। ঈদের খুশিতে আমরা যেমন সেমাই-পায়েশ দিয়ে মিষ্টিমুখ করি, তারা তাদের এই খুশির দিনে হালুয়া রুটি খেয়ে মিষ্টিমুখ করে। যেহেতু এটা তাদের ধর্মবিশ্বাস, আর তাদের অনেক রীতিনীতিই আমাদের থেকে ভিন্ন তাই এটা নিয়ে বলার কিছু নাই। আপনি শিয়া মতাদর্শে বিশ্বাসী হলে এটা খুশির দিন হিসাবে পালন করলে সেটা আপনার বিষয়।

এই দিবসকে কেন্দ্র করে পত্রিকা ও বিভিন্ন মিডিয়াতে পড়বে হালুয়া ও বরফী বানানোর রেসিপির ধুম। যেন শবে বরাত মানেই হালুয়া-রুটি! অথচ এর সাথে শবে বরাতের কোনো সম্পর্কই নেই।

মজার ব্যাপার হচ্ছে এই সম্পর্কে কোন বর্ণনা সহিহ হাদীস কেন, কোন জাল হাদীসেও উল্লেখ নাই।

হালুয়া খাওয়ার ব্যাপারে কথিত আছে ওহুদ যুদ্ধের সময় রাসূল (সাঃ) আহত হন। তখন একটি দাঁত ভেঙ্গে যায়। দাঁতের ব্যাথার কারণে তিনি নরম খাবার খাওয়ার জন্য হালুয়া দিয়ে রুটি খেয়েছিলেন। এই তথ্যগুলো সঠিক নয়। ঘটনা হচ্ছে ওহুদের যুদ্ধ সংঘটিত হয় শাওয়ালের ৭ তারিখে। শাবান মাসের পর আসে রমজান মাস, রমজানের পর আসে শাওয়াল মাস। শাবানের ১৫ তারিখ বা তার আশেপাশের দিনগুলোতে ওহুদ যুদ্ধ হয় নাই। শাবানের ১৫ তারিখ নবীজি (সাঃ) হালুয়া খেয়ে থাকলেও সেটা একবারের জন্যেই ছিল। এটাকে রীতি হিসেবে তিনি সারা জীবন পালন করেন নি। সাহাবীরাও পালন করেন নি। তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ীরাও এই দিনে বিশেষ খাবারের আয়োজন করেন নি।

শবে বরাতের রাতে গোসল করার বিদআত

এই রাতে গোসল করেন অনেকে। তাদের বিশ্বাস গোসলের প্রত্যেক পানির ফোটায় ফোটায় গুনাহ ঝড়ে পরে আর সওয়াব লিখা হয়। এই শ্রেণীর মানুষের বিশ্বাস যে, যতক্ষণ পর্যন্ত শরীর থেকে পানি পড়তে থাকবে ততক্ষণ পাপ ঝরে যেতে থাকবে। তাই প্রচন্ডশীত কালেও বিশেষ করে মহিলারা এই রাত্রে গোসল করে ভিজা কাপড় নিয়ে থাকেন। বিশেষ করে মাথা মুছেন না। ভেজা চুল থেকে যত পানি পড়বে সেগুলো পাপ মুছে দিবে। এমন অদ্ভুত বানোয়াট একটা বিশ্বাস অনেকে পোষণ করেন। আসতাগফিরুল্লাহ! আসলে তাদের উদ্দেশ্য ভাল। পাপ ঝরানোর জন্য মাঘ মাসের শীতের রাতেও মানুষ পুকুরে ডুব দেয়। কিন্তু এইরকম কোনো গোসলের ফজিলতের কথা ইসলাম ধর্মে নাই। পাপ মোচনের জন্য এমন উদ্ভট সিসটেম ইসলামে নাই। বরং হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, এই রাতে শিরককারী ও হিংসাপোষণকারী ছাড়া সবাইকে আল্লাহ মাফ করে দিবেন। ঘুমিয়ে থাকলেও সকলেই এই মাফ পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ, যদি অন্তরে বিদ্বেষ আর শিরক না থাকে। হ্যাঁ, আমাদের উচিত, এ ক্ষমার উপযুক্ত নিজেকে করার জন্য সুন্নাহসম্মত পন্থায় যতটা সম্ভব ইবাদতে রাতটি কাটানো।

শবে বরাতের রাতে বৃষ্টি হওয়া ও গাছের সিজদা করার মিথ্যা গল্প

এমন মিথও প্রচলিত আছে এই রাতের একটা বিশেষ সময়ে কুয়াশার মত ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়। প্রকৃতির সকল সৃষ্টি আল্লাহর জন্য সিজদায় অবনত হন। এক বুজুর্গ এমন একটি সময় দেখেন যে গাছপালা সব মাটির সাথে লেগে আছে। তিনি মনে করেছিলেন ঝড় হয়েছে। তাই গাছের সাথে তার ছাগল বেঁধে রাখেন। সকালে উঠে দেখেন সেই ছাগল গাছের মাথায়! কারণ সিজদা থেকে ওঠার পর ছাগল গাছের মাথায় চলে গেছে। এমন বানোয়াট কেচ্ছা-কাহিনীর সবগুলো আপনি হয়ত শুনে থাকতে পারেন আবার কোনটা হয়ত নতুন মনে হতে পারে। কিন্তু এর সবগুলোই আমাদের সমাজ থেকে নেয়া।

আল্লাহ আমাদেরকে এসব উদ্ভট কিসসা কাহিনী থেকে রক্ষা করুন।

শেষ কথা

শবে বরাত কিভাবে পালন করবেন বা এর কালচারটা কেমন হবে- তা হাদীসের অনুসরণেই হওয়া উচিত। প্রচলিত ভুলের উপর ভিত্তি বা মনগড়া রেওয়াজের উপর ভর করে ইসলামি কোন দিবস বা উপলক্ষ্ উদযাপন অনুচিত। কারণ নিজেদের ইচ্ছামত রীতি বানাতে গেলেই সেটা বিদয়াত হবার আশংকা থেকে যায়। অনেকে বলেন একটা বিশেষ দিন পরিবারের সবাই মিলে ভাল-মন্দ খেলে ক্ষতি কী? শবে বরাত উদ্দেশ্য করে বা বিদআত হবার মত নিয়ত না থাকলেই তো হয়! হয়ত হয়, আল্লাহ ভাল জানেন। কিন্তু এর দ্বারা বিদআতীদের কালচারের সাথে আপনার কালচারটা মিলে গেল। আপনার নিয়ত ভিন্ন, কিন্তু কাজ করলেন তাদের মত করে। এতে খানিকটা আশংকা থেকেই যায়।

কিছু রেফারেন্স

শবে বরাত সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানা যাবে এসব লিংক থেকে:

ভিডিও লেকচার

  1. শবে বরাতের নামাজ ও রোজা, ইসলাম কী বলে? – মাওলানা হাসান জামিল
  2. শবে বরাতে কী করবেন? কী করবেন না? – মাওলানা শিব্বীর আহমদ
  3. শবে বরাত নিয়ে আলোচনা – মাওলানা হাসান জামিল
  4. শবে বরাত ভিত্তিহীন নয়ঃ প্রামাণ্যতা, করণীয় ও বর্জনীয় – মাওলানা তাহমীদুল মাওলা
  5. শবে বরাতের প্রমাণ ও বিরোধীদের ভাষাঃ কিছু দুঃখ ও অনুরোধ – মাওলানা তাহমীদুল মাওলা
  6. শবে বরাত বিষয়ে ৭টি কথাঃ কিছু করণীয় ও কিছু ভুল ধারনা – মাওলানা তাহমীদুল মাওলা

আর্টিকেল

  1. বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির কবলে শাবান ও শবে বরাত – মাসিক আলকাউসার , সেপ্টেম্বর ২০০৫
  2. শবে বরাতঃ সীমালঙ্ঘণ ও সীমা সংকোচনমুক্ত মানসিকতা রাখা উচিত – মাওলানা আব্দুল মালেক
  3. হাদীসে শবে বরাতের কোন প্রমাণ আছে কি? – আহলে হক্ব মিডিয়া
  4. শাবান, রমযান, ঈদঃ কিছু প্রশ্নের উত্তর – মাসিক আলকাউসার
  5. শবে বরাত ও শবে ক্বদরে গোসল করার বিধান – আহলে হক্ব মিডিয়া
  6. শবে বরাত ও শবে মেরাজের আমল প্রসঙ্গে – আহলে হক্ব মিডিয়া
  7. শবে বরাতের রাতে মসজিদে সম্মিলিত ইবাদতের বিধান কী? – আহলে হক্ব মিডিয়া
  8. প্রসঙ্গ শবে বারাআতঃ একটি নিরপেক্ষ পর্যালোচনা – আহলে হক্ব মিডিয়া
Comments
  1. শবে বরাতের করণীয় এবং বর্জনীয় নিয়ে লেখার মধ্যে বেশ সময় কাটালাম কিছুই বুঝলাম না এত লিখলে অনেকেই স্ক্রিপ্ করে চলে যায়, কেউ বুঝবে না লিখতে হবে কম বুঝাতে হবে সংক্ষিপ্ত করে বেশি কারণ এতো লেখা পড়ার মতো সময় অনেকের হাতেই থাকে না তাই এডমিনকে বলছি সংক্ষিপ্ত করে আমাদেরকে বুঝানোর জন্য, ধন্যবাদ মুসলিম ডে❤️❤️❤️

    1. ধন্যবাদ আপনার পরামর্শের জন্য।

  2. একটু সংক্ষিপ্ত করে বুঝালে পাঠক দের পড়তে সুভিদা হতো। এতো বড় করে লিখলে অনেকের সময় থাকে না এতো কাজেই স্ক্রীপ করে চলে যাবে পাঠক রা

    1. জ্বি, আমাদের সবারই সময়ের খুব অভাব। বুঝতে পারছি সব কিছু শর্টকাট হলেই সবার সুবিধা।
      তবে কোনো বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ জানা ও জানানোর ক্ষেত্রে মুসলিমস ডে অ্যাপের একটু দুর্বলতা আছে।

  3. Alhamdulillah,Alhamdulillah onak kiso jante parlam.khobe balo legese.Ami ja ja jante chaise akhane paise Alhamdulillah.

  4. সংক্ষিপ্ত না করে পরিপূর্ণ ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
    সময় নষ্ট হবে, পুরাটা পরবে না, স্ক্রিপ করে চলে যাবে, মনোযোগ রাখতে সম্যসা এই কথা গুলো উঠে যাক আমাদের সমাজ থেকে !
    বিদায়াত থেকে বের হয়ে আমাদের আমল হোক সুন্নাহ সম্মত।

    Thank you Muslim Day, You look like million Dollars on this Outfit/Structure ❤️

    1. ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য। অনেকগুলো বই, আর্টিকেল ও আলোচনার উপর ভিত্তি করে লেখাটি লিখা হয়েছে। তাই এটি বড় হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। আমরা চাই মানুষ এটা পড়ে এই টপিকের উপর ভিন্ন ভিন্ন একেকটা বই পড়ুক। আরো বেশি অধ্যয়ন করুক। শর্টকাটে বেহেশতে যাওয়ার চিন্তা আমাদের মন থেকে দূরীভূত হোক।

  5. মসজিদে নামাজ কালাম পড়া টা বিদাত। একদিনের জন্য হলেও আমল করছে। আল্লাহ কে ডাকছে সমবেত ভাবে। এখানেই প্রবলেম????

    1. একদিনের জন্য ডাকবে যখন নিজে নিজে ডাকতে প্রবলেম কোথায়? নবীজি (সা) তো নিজে নিজে আমল করেছেন। মসজিদে মসজিদে সাহাবীদের নিয়ে এ রাতে ঘুরে বেড়ান নি। মসজিদে রাতভর আলোকসজ্জা করে মাহফিল করেন নি।
      দেখেন, নবীজি (সা) এই ফরমেটে নামাজ-কালাম পড়েন নি। কিন্তু আপনি প্রশ্ন করলেন “মসজিদে নামাজ কালাম পড়াটা বিদাত”? অর্থাৎ আপনার কাছে মসজিদে গিয়ে জমায়েত হয়ে নামাজ-কালাম পড়াটা জরুরি। আপনি এটাকে নবীজির (সা) আমল বা সুন্নাহর চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। সকল সাহাবী, তাবেয়ীগণ, ইমামগণ একাকি আমলগুলোর ব্যাপারেই গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের সমাজে এটাকে জমায়েত করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া হয়। কী দরকার?

      কেবল নামাজ পড়লেই সেটা সওয়াবের হয় না। নামাজ যখন নবীজির (সা) নির্দেশিত পন্থায় পড়া হয় তখন সেটা সওয়াবের হয়। নামাজ পড়ে গেলেই শুধু সওয়াব নয়। এমন পরিস্থিতি আছে যখন নামাজ পড়লে গুনাহ হয়। যেমন ৩টি নিষিদ্ধ সময়ে নামাজ পড়লে সওয়াবের পরিবর্তে গুনাহ হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দ্যেশ্য ছাড়া লোক দেখানোর জন্য নামাজ পড়লে সেখানেও অকল্যান রয়েছে। তাই আমাদের উচিত ইসলামকে সেভাবে বুঝা, যেভাবে নবীজি (সা) ও সাহাবীগণ বুঝেছেন। তাদের চেয়ে আগ বাড়িয়ে বেশি বুঝা উচিত নয়।

  6. Jazakumullah khair. Prottekta bishayer upor dolil shoho eto detail jananor jonno shukriya. Muslims Day app use korar karone shobshomoy e search kora charai onek sohih elem orjon kora jay khub shohojei alhamdulillah. Bishesh kore amader muslimder bishesh procholito jeshob culture royeche, ja niye prayi mone proshno ashe kintu udashinotar karone amra research kore jante chaina, kintu apnader kach theke khub shohoj vabei nirbhorjogyo tottho peye jai. Koroniyo- borjoniyo shomporke jante pari. Amal kora shohoj hoy.
    Apnader shobar jonno onek onek doa….

  7. Masha’Allah’
    Khub sundor Kore bujhiye bolar jonno Sukria…. Lekhok k Allah taala nek hayat Dan korun Amin 😊

  8. Allhamdulillah khub shundor alocona
    Poratai porlam abong khub shundor laglo.
    جزاكم الله خيرا

  9. এটা একটা Pdf file আকারে প্রকাশ হলে ভালো

  10. আলহামদুলিল্লাহ অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ

  11. আলহামদুলিল্লাহ আপনারা যে এই পোস্টে শেয়ার করেছেন আমরা অনেক কিছু জ্ঞান অর্জন করতে পারলাম এই শিক্ষাটা নিতে পারলাম তার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

  12. জাঝাকাল্লহু খইর।।খুব সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য।লিখাটা দীর্ঘ হলেও স্পষ্ট বুঝার জন্য বিস্তারিত লিখার বিকল্প নাই।।।

  13. আলহামদুলিল্লাহ।
    খুব উপকৃত হলাম।

  14. Massaallah

  15. ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানতে পারলাম।

  16. আল্লাহুমা ইন্নী উরীদুল

  17. সুবহানাল্লাহ, আল্লাহ আপনাদের ইলম ও আমলে অঢেল বারাকাহ দিক আমিন।

  18. Alhamdulillah,
    Onk kisu jnte parlm.

  19. Thanks Muslims Day

  20. JajakAllahu Khairan for this both amazing and informative post. Alhamdulillah I read it out with my wife. BarakAllahu Feek😊

  21. আলহামদুলিল্লাহ এমন একটি ভালো উদ্যোগ নেয়ার জন্য।

  22. Thank you ,,, onk kicu janlam

  23. মাশাআল্লাহ।এরকম উপকারী শিক্ষামূলক পোস্ট করার জন্য আল্লাহ আপনাকে দুনিয়াতে ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

  24. অনেক জায়গায় এতিম মিসকিনদের মৃত ব্যক্তিদের নামে ভাত বা খাবার দেওয়ার যে রেওয়াজ আছে ১৪/১৫ শাবান তারিখে, সেটার সম্বন্ধে জানালে উপকৃত হতাম।

    1. এটি কোনো এলাকার নিজস্ব রেওয়াজ হয়ে থাকতে পারে। সুন্নাহের আলোকে এরকম কিছু পাওয়া যায় বলে আমাদের জানা নাই।
      মৃত ব্যক্তিদের জন্য সওয়াব পাঠানোর উদ্দেশ্যে দান-সাদাকা বা এতিম মিসকিনদের যে কোনো দিনই খাওয়ানো যেতে পারে। এজন্য ১৫ শাবানকে বিশেষ ভাবে গ্রহণ না করাই শ্রেয়।

  25. আপনাদের অনেক ধন্যবাদ আপনারা খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করলেন ও জানলেন।

  26. ᗩᒪᕼᗩᗰᗪᑌᒪᎥᒪᒪᗩᕼ

  27. ধন্যবাদ আপনাদের কে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য ❤️

  28. আলহামদুলিল্লাহ্… অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। পড়ে খুব ভালো লাগলো। শবে বরাত সম্পর্কে একটা পরিস্কার ধারণা পেলাম। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাদের সবাইকে শিরক ও বিদয়াতমুক্ত সঠিক আমল করার তৌফিক নসিব করুন।

  29. আলহামদুলিল্লাহ…অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। পড়ে খুব ভালো লাগলো। শবে বরাত সম্পর্কে একটা পরিস্কার ধারণা পেলাম। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাদের সবাইকে শিরক ও বিদয়াতমুক্ত সঠিক আমল করার তৌফিক নসিব করুন।

  30. الحمدلله

  31. Alhamdolillah

  32. Alhamdulillah kub valo laglo

  33. Alhamdulillah valo hoice

  34. Very well written with explanation and references ❤️. Jazak Allah.

  35. Alhamdulillah

  36. মাশাআাল্লাহ

  37. জাযাকাল্লাহ খাইরান।
    You have put so much effort on this article.

  38. Zajak allah Khairan,,,,,,🖤

  39. আলহামদুলিল্লাহ যোগ্য উস্তাদের লেখনির মাধ্যমে অনেক উপকৃত হয়েছি। বিশেষ করে জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া এর শিক্ষকগণের লেখা পেয়েছি। তারা সবাই খুব তাহকীক এবং গভীর বিশ্লেষণ করে লিখে।
    অ্যাপ ক্রিয়েটরদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

  40. আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাদের সকলকে
    সহি ও সঠিক ভাবে ইসলামের পথে চলার তাওফিক দান করুন… আমিন

  41. চমৎকার একটি আর্টিকেল।

    অনেক কিছুই জনালাম, ছোটকাল থেকেই অনেক বিদাআত এর মধ্যে ঢুবে ছিলাম! এখন ক্লিয়ার হলাম। ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

  42. Masha’Allah. Great writing.
    I learnt basic concept of Shab-e-barat.

  43. মাশা-আল্লাহ। পুরোটা পড়ে ভালো লেগেছে। অনেক উপকৃত হয়েছি আপনার লিখনি পড়ে। অনেক অজানা বিষয় জানতে পারলাম। ধন্যবাদ এতো সুন্দর উপস্থাপনার জন্য।

  44. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ হি ওয়া বারাকাতু।

    আমার দীর্ঘ 25 বছরের জীবনে আজ প্রথম শবে বরাত এর রাতে বসে শবে বরাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম।
    জানার সুযোগ করে দেয়ায় আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ।

    এতোদিন এর বিস্তারিত না জানলেও আল্লাহ তায়ালার রহমতে প্রচলিত একটি বিদ আত (হালুয়া রুটি)ছাড়া বাকি গুলো থেকে মুক্ত ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ।

    ইদানীং অনেক বিদ আত ( পটকা ফোটানো,
    আলোকসজ্জা, মোমবাতি জ্বালানো, বরই পাতার জলে গোসল করা ইত্যাদি) এর ছড়াছড়ি হয়ে গেছে দেখে নিজের কাছে অনেক প্রশ্ন লুকায়িত ছিলো। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে এসব পালন করি নি কখনো। আজ তা বিস্তারিত জেনে অনেক ভালো লাগছে।

    আমার কিছু বিষয় এখনো অবগত নয়, যদি সম্ভব হয় সেই বিষয় গুলো আমাকে অবগত করলে আন্তরিক ভাবে চির কৃতজ্ঞ থাকবো।

    ১। অনেককেই দেখি প্রতি রমজান মাসে নিয়ম করে কুরআন শরীফ খতম করেন। বেশ ভালো কথা।
    কিন্তু আমি অর্থ বুঝে পড়তে গেলে আমার কোনো রমজান মাসেই কুরআন খতম হয় না, (আমি এমনিতেই ধীর গতি সম্পন্ন) । আমি যেহেতু বাংগালী আমার মনে হয় আরবি ভাষার অর্থ বোঝা উচিত। আমার খুব পরিচিত মা -বোন দের দেখেছি প্রতিযোগীতা দিয়ে কুরআন খতম করতে। কিন্তু তাদের কেউই এর অর্থ বোঝা বা নিয়ম মেনে পড়েন না। এ বিষয়টি কুরআন সুন্নাহর আলোকে যদি বলতেন।

    ২। কোনো আমল যদি আমার মনে হয় এটা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক, আমি মানি না। এক্ষেত্রে কেউ যদি জোর করে তাহলে আমার করণীয়?

    ৩। আমি ব্যক্তিগত & পারিবারিক ভাবে কখনো মাজার সিজদা করি নি। এক দাওয়াত কবুল করেছি(না জেনে)। গিয়ে দেখি সবাই এক মাজার (কবর) কেন্দ্র করে কিছু উচ্চ সংগীত পরিবেশন করেছেন, বিরাট মেলা হয়েছে, সেখানে যুবক যুবতীরা খোশমেজাজে ঘুরাঘুরি করছে, কিছু ব্যক্তি মাজারে কান্নাকাটি করছে, বাড়িতে বাড়িতে মেহমানের ঢল (আমিও মেহমান ছিলাম)।রাত নামতেই তার রুপ বদলে যায়!!! দেখি কেউ মাতাল হয়ে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে নাচানাচি করছেন, কেউ মাইকে বক্তব্য দিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ খাবারের প্যাকেট বিলি করছেন।
    আমি রাতের শুরুতে চলে আসি। আমার মনে হচ্ছিল তারা ইসলাম থেকে অনেক দূরে আছেন, কিংবা ধর্মীয় বিশ্বাসের বিকৃতি ছড়াচ্ছেন। এই যে অনুষ্ঠান, রীতি রেওয়াজ, এসব কি ইসলামের কোথাও উল্লেখ আছে??? যদি জানাতেন উপকৃত হতাম।

    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ হি ওয়া বারাকাতু।

    1. উত্তর : ১. কুরআন শরীফের অর্থ বুঝে তেলাওয়াত করা নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় আমল। কিন্তু এ কুরআন এমনই এক গ্রন্থ, যা না বুঝে পড়লেও সওয়াব হয়। সে হিসেবে যারা কুরআন খতম করেন, তাদের এ আমলও অবশ্যই প্রশংসনীয়। আর নেক কাজে প্রতিযোগিতা করাটাও সরাসরি কুরআনের আলোকেই প্রমাণিত। তাই এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে কুরআন তেলাওয়াত করার সময় অবশ্যই তেলাওয়াতের নিয়ম মেনে বিশুদ্ধভাবে করতে হবে। ভুল-শুদ্ধ মিলিয়ে তেলাওয়াত করলে এবং এদিকে মনোযোগী না হলে সওয়াবের পরিবর্তে গোনাহ হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। তাই তেলাওয়াত যারা করবেন, অর্থ বুঝে হোক কিংবা না বুঝে, সর্বাবস্থায় তেলাওয়াতের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে। তেলাওয়াতের নিয়ম মেনে তেলাওয়াত করতে হবে। নিয়ম মেনে যদি তেলাওয়াত করা হয়, তবে অর্থ বুঝে আসুক বা না আসুক, এটি একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। উল্লেখ্য, অর্থ না বুঝে পড়া আর তেলাওয়াতের নিয়ম না মেনে তেলাওয়াত করা এক নয়।
      আর কেউ যদি বিশুদ্ধ তেলাওয়াতের পাশাপাশি অর্থ বুঝে বুঝে তেলাওয়াত করতে পারেন, তবে তো অনেক ভালো। আপনি দুইভাবেই আমল করতে পারেন। প্রতিদিন দুইটা সময় নির্দিষ্ট করে এক সময় অর্থ বুঝে তেলাওয়াত করতে পারেন, আরেক সময় শুধুই তেলাওয়াত করতে পারেন।
      ২. শুধু মনে হওয়াটা তো যথেষ্ট নয়, যদি আপনি নিশ্চিত হোন কোনো আমলের বিষয়ে- আমলটি ইসলামবিরোধী কিংবা ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, তবে অবশ্যই তা পরিহার করবেন। এ জন্যে কেউ যদি মন খারাপও করে, তবুও তা করা যাবে না। কোনো মানুষকে সন্তুষ্ট করে আল্লাহ তাআলাকে অসন্তুষ্ট করা যাবে না। তবে অবশ্যই হিকমত ও সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নেবেন।
      ৩.এগুলো যে ইসলামে জায়েয নয়, তা তো বলাবাহুল্য। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এসব গর্হিত কর্মকাণ্ড থেকে হেফাযত করুন। আমীন।

  45. Alhamdulillah ami akmat

  46. আলহামদুলিল্লাহ, জা্যাকল্লাহ

  47. আলহামদুলিল্লাহ। অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনারা এই ভাবেই চালিয়ে যান। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে উত্তম নিয়ামত পাবেন।

  48. আর্টিকেলটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম আলহামদুলিল্লাহ। আপনারা এভাবে চালিয়ে যান। আল্লাহ আপনাদের আরো উত্তম নেয়ামত দান করবেন ইনশাআল্লাহ।

  49. Masallha daron article porlam .
    Thank you 💕 Muslimsday.

  50. এই এপসের আর্টিকেলগুলো দেশের বড় বড় বিজ্ঞ আলেমদের বয়ানের সাথে হুবহু মিলে যায়।
    আমার একটা বিষয় জানার কৌতুল হল
    এই এপসের এডমিন যারা আছেন উনারা কি আলেম? নাকি জেনারেল শিক্ষিত?

    1. আলহামদুলিল্লাহ! অ্যাপের ডেভেলপমেন্ট ও পরিচালনা করে থাকেন মূলত জেনারেল শিক্ষিত কিছু ভাই। যিনি পুরো প্রোজেক্টটির সমন্বয় করেন তিনি কম্পিউটার সায়েন্সে অনার্স+মাস্টার্স করেছেন। এর আগে রয়েছে প্রায় ১০ বছর মাদরাসা শিক্ষা।
      অ্যাপের মাসআলা ও যাবতীয় কন্টেন্ট নূন্যতম একজন বিজ্ঞ আলেম দ্বারা সম্পাদিত হয়ে থাকে। আমাদের অ্যাপের শরয়ী সম্পাদক মাওলানা শিব্বীর আহমদ সাহেব। উসতাযুল হাদীস, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া ঢাকা, মোহাম্মদপুর। তাঁর নেতৃত্বে মুসলিমস ডে অ্যাপের কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট ও এর মান নিশ্চিত করার কাজটি হয়ে থাকে। এছাড়াও প্রয়োজনের ভিত্তিতে আরো বিজ্ঞ আলেম ও মুফতি সাহেবগণের থেকে পরামর্শ ও রিভিউ নেয়া হয়ে থাকে।
      আমরা বরাবরই চেষ্টা করে আসছি বিশুদ্ধ ও মানসম্পন্ন বাংলা কন্টেন্ট তৈরি করার। আপনাদের সকলের দুআ একান্ত কাম্য।

  51. অনেক সুন্দর হয়েছে ।সংক্ষিপ্ত না বলে বিস্তারিত বলার কারনে ।কেননা সব বিষয়ে সংক্ষিপ্তকরণ উচিত নয়। পড়তে একটু কষ্ট হলেও দলিলসহ প্রত্যেকটি বিষয়ে জানা উচিত। এ কারণে মুসলিম ডে কে ধন্যবাদ দিলাম।

  52. মাসায়াল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ অনেক সুন্দর আর সুস্পষ্ট ভাবে বর্ননা করা হয়েছে৷ শবে বরাতের বিষয় টা নিয়ে,ধন্যবাদ আপনাদেরকে💕

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

- আমি মুসলিমস ডে এর কমেন্টের নীতিমালার সাথে একমত হয়ে পোস্ট করছি

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ
ক্যাটাগরি সমূহ
ট্যাগ সমূহ
error: অনুগ্রহ করে লেখাটি কপি করবেন না। লিংক শেয়ার করুন। ধন্যবাদ