
Post Updated at 27 Jan, 2025 – 7:15 PM
১. ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় নামাযের মাঝে কথা বলা।
২. কাউকে সালাম দেয়া কিংবা সালামের জবাব দেয়া।
৩. অসুস্থতার কারণে ওহ-আহ শব্দ করা। তবে যদি কেউ অধিক অসুস্থতার কারণে ওহ-আহ শব্দ করা ছাড়া নামায পড়তে না পারে, তাহলে অবশ্য তার নামায হয়ে যাবে।
৪. ওজর ছাড়া গলাকাশি দেয়া। এতে যদি কমপক্ষে দুটি হরফ উচ্চারিত হয়ে যায়, তাহলে নামায ভেঙ্গে যাবে, অন্যথায় নামায ভাঙ্গবে না।
৫. অসুস্থতা কিংবা বিপদের কারণে উচ্চস্বরে কাঁদা। তবে যদি কেউ আল্লাহর ভয়ে কিংবা বেহেশত-দোজখের কথা মনে করে কাঁদে তাহলে নামাযের কোনো সমস্যা হবে না।
৬. নামাযের বাইরের কেউ লুকমা দিলে তা গ্রহণ করা।
৭. নামাযে কুরআন শরীফ দেখে দেখে পড়া।
৮. নাপাক জায়গায় দাঁড়ানো কিংবা সিজদা করা বা শরীরের অন্য কোনো অঙ্গ রাখা। [রদ্দুল মুহতার, ২/৩৮৬]
৯. পানাহার করা, পরিমাণ কম-বেশি যাই হোক।
১০. আমলে কাছির করা। অর্থাৎ এমন কোনো কাজ করা, যা দেখলে কেউ মনে করব- সে নামায পড়ছে না।
১১. কেবলার দিক থেকে সিনা ঘুরে যাওয়া।
১২. জামাতের নামাযে ইমামের আগে মুক্তাদি দাঁড়ানো। যদি মুক্তাদির পায়ের গোড়ালি ইমামের গোড়ালির সামনে চলে যায় তাহলে মুক্তাদির নামায হবে না।
১৪. নামাযে শব্দ করে হাসা। হাসির আওয়াজ যদি পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তি শুনতে পান, অন্য কেউ না শোনে, তাহলে শুধু নামায ভঙ্গ হবে। আর পাশের লোক ছাড়াও অন্যরা (যেমন, বরাবর পেছনের কাতারে দাঁড়ানো ব্যক্তি) যদি শুনতে পায়, তাহলে ওজুও ভেঙ্গে যাবে। আর হাসিতে আওয়াজ না হলে ওযু-নামায কিছুই ভাঙ্গবে না। [রদ্দুল মুহতার, ১/২৭৫]
১৫. তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় নামাযে সতর খুলে থাকা।
১৬. হাঁচির জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা। তবে হাঁচি দিয়ে নিজে আলহামদুলিল্লাহ বললে নামায ভঙ্গ হবে না, অবশ্য ইচ্ছাকৃত তা করা অন্যায়। [ফাতাওয়া আলমগীরী, ১/৯৮]
১৭. স্বেচ্ছায় হোক আর ভুলে হোক, নামাযের ভেতরের বা বাইরের কোনো একটি ফরয ছেড়ে দেয়া। তবে যদি কারও অসুস্থতা বা অন্য কোনো ওজর থাকে এবং এজন্যে সে নামায শুরু করার পূর্বে নামাযের বাইরের কোনো ফরয ছেড়ে দেয় তাহলে নামায হয়ে যাবে। যেমন, ওজরের কারণে নাপাক কাপড়ে নামায পড়া, সতর ঢাকতে না পারা ইত্যাদি।
১৮. দাঁতে আটকে থাকা একটি বুটের সমান বা বেশি কোনো কিছু গিলে ফেলা।
১৯. নামাযের মাঝে বেহুঁশ বা পাগল হয়ে যাওয়া।
২০. দাঁড়ানোর জায়গা থেকে সিজদার জায়গা আধা হাতের চেয়ে অধিক উঁচু হওয়া।
Leave a Reply